০২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৭)

খাজা হায়দার গনি শায়েক [-১৮৫২]

উনিশ শতকের ঢাকার বিশিষ্ট ফার্সি ও উর্দু কবি।

খাজে দেওয়ান পঞ্চায়েত ভবন

সম্পর্কে ছিলেন নবাব গণির জ্ঞাতি চাচা। তাঁর নাম খাজা ফয়েজুদ্দিন হায়দার গণি। শায়েক নামে তিনি লিখতেন, শিষ্য ছিলেন মির্জা গালিবের। তাঁর একটি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায় ইনশায়ে সায়েক।

খাজে দেওয়ান লেন

খাজে দেওয়ানে লেন দুটি- প্রথম ও দ্বিতীয় লেন। শায়েস্তা খান যখন বাংলার সুবাদার, তখন তাঁর দিওয়ান ই বুইতান বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন দিওয়ান খাজা মুরলিধর। তিনি যে এলাকায় বাস করতেন, সে এলাকা কালক্রমে পরিচিত হয়ে ওঠে খাজে দিওয়ান/দেওয়ান নামে।

টুপি বিক্রির দোকান (টুপিপট্টি)

এখানে দুটি গলি খাজে দেওয়ান ১ম লেন ও খাজে দেওয়ান দ্বিতীয় লেন। এ মহল্লায় অনেকেই জড়িত ছিলেন পুরনো কাপড় দিয়ে টুপি তৈরির পেশায়। সে কারণে মহল্লাটি অনেক সময় পরিচিত ছিল টুপি পট্টি নামে।

খাটুয়া

পুরনো ঢাকার পরিচিত খাবার ছিল খাটুয়া। সেটি আর কিছু নয়। বাসি পোলাও মাংস, মরিচ (শুকনো) রসুন, আমের আচার একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে (গরম করে) পরিবেশন করা হতো।’

খাসা

মুঘল আমলে ঢাকা থেকে এক ধরনের সূক্ষ্ম মসলিন রপ্তানি হতো বিদেশে যাকে, বলা হতো খাসা। খাসা শব্দটিও ফার্সি। মিহি ও সূক্ষ্ম মসলিন ছিল খাসা। তবে এর বুনন ছিল ঘন। সতেরো শতকে সোনারগাঁ বিখ্যাত ছিল খাসা মসলিনের জন্য। আঠারো ও উনিশ শতকে আবার জঙ্গলবাড়ি বিখ্যাত ছিল এ মসলিনের জন্য। তখন একে বলা হতো জঙ্গল খাসা। ইংরেজরা একে বলতো কুষা।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৭)

০৭:০০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

খাজা হায়দার গনি শায়েক [-১৮৫২]

উনিশ শতকের ঢাকার বিশিষ্ট ফার্সি ও উর্দু কবি।

খাজে দেওয়ান পঞ্চায়েত ভবন

সম্পর্কে ছিলেন নবাব গণির জ্ঞাতি চাচা। তাঁর নাম খাজা ফয়েজুদ্দিন হায়দার গণি। শায়েক নামে তিনি লিখতেন, শিষ্য ছিলেন মির্জা গালিবের। তাঁর একটি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায় ইনশায়ে সায়েক।

খাজে দেওয়ান লেন

খাজে দেওয়ানে লেন দুটি- প্রথম ও দ্বিতীয় লেন। শায়েস্তা খান যখন বাংলার সুবাদার, তখন তাঁর দিওয়ান ই বুইতান বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন দিওয়ান খাজা মুরলিধর। তিনি যে এলাকায় বাস করতেন, সে এলাকা কালক্রমে পরিচিত হয়ে ওঠে খাজে দিওয়ান/দেওয়ান নামে।

টুপি বিক্রির দোকান (টুপিপট্টি)

এখানে দুটি গলি খাজে দেওয়ান ১ম লেন ও খাজে দেওয়ান দ্বিতীয় লেন। এ মহল্লায় অনেকেই জড়িত ছিলেন পুরনো কাপড় দিয়ে টুপি তৈরির পেশায়। সে কারণে মহল্লাটি অনেক সময় পরিচিত ছিল টুপি পট্টি নামে।

খাটুয়া

পুরনো ঢাকার পরিচিত খাবার ছিল খাটুয়া। সেটি আর কিছু নয়। বাসি পোলাও মাংস, মরিচ (শুকনো) রসুন, আমের আচার একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে (গরম করে) পরিবেশন করা হতো।’

খাসা

মুঘল আমলে ঢাকা থেকে এক ধরনের সূক্ষ্ম মসলিন রপ্তানি হতো বিদেশে যাকে, বলা হতো খাসা। খাসা শব্দটিও ফার্সি। মিহি ও সূক্ষ্ম মসলিন ছিল খাসা। তবে এর বুনন ছিল ঘন। সতেরো শতকে সোনারগাঁ বিখ্যাত ছিল খাসা মসলিনের জন্য। আঠারো ও উনিশ শতকে আবার জঙ্গলবাড়ি বিখ্যাত ছিল এ মসলিনের জন্য। তখন একে বলা হতো জঙ্গল খাসা। ইংরেজরা একে বলতো কুষা।

(চলবে)