১০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

রাশিয়া‑চীন বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা

রাশিয়া ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোববার বেইজিংয়ে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিষয়টি দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শাংহাই কো‑অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভায় যোগ দিতে বেইজিংয়ে যান। সেখানে তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই‑এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ইউক্রেন সংকটের সমাধান‑সম্ভাবনা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছে।”

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, এসসিও, ব্রিকস, জি‑২০ ও এপেক‑সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়া‑চীনের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় জোরদারের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।”

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকের লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়া এবং বৈশ্বিক অস্থিরতা ও পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবিলা করা। কোরীয় উপদ্বীপ ও ইরানের পরমাণু ইস্যুতেও দুপক্ষ মতবিনিময় করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের বেইজিং সফরকালে রাশিয়া ও চীন “সীমাহীন অংশীদারিত্ব” ঘোষণা করে; ওই সফর‐শেষে কয়েক দিনের মধ্যেই রুশ সেনারা ইউক্রেনে প্রবেশ করে। প্রেসিডেন্ট পুতিন মাঝে‑মধ্যেই চীনকে “মিত্র” হিসেবে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দ্বী ও রাশিয়াকে মূল রাষ্ট্রভিত্তিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে—এ প্রেক্ষাপটে বেইজিং ও মস্কোর ঘনিষ্ঠতা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে।

রাশিয়া‑চীন বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা

০৫:৫৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

রাশিয়া ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোববার বেইজিংয়ে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিষয়টি দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শাংহাই কো‑অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভায় যোগ দিতে বেইজিংয়ে যান। সেখানে তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই‑এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ইউক্রেন সংকটের সমাধান‑সম্ভাবনা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছে।”

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, এসসিও, ব্রিকস, জি‑২০ ও এপেক‑সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়া‑চীনের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় জোরদারের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।”

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকের লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়া এবং বৈশ্বিক অস্থিরতা ও পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবিলা করা। কোরীয় উপদ্বীপ ও ইরানের পরমাণু ইস্যুতেও দুপক্ষ মতবিনিময় করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের বেইজিং সফরকালে রাশিয়া ও চীন “সীমাহীন অংশীদারিত্ব” ঘোষণা করে; ওই সফর‐শেষে কয়েক দিনের মধ্যেই রুশ সেনারা ইউক্রেনে প্রবেশ করে। প্রেসিডেন্ট পুতিন মাঝে‑মধ্যেই চীনকে “মিত্র” হিসেবে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দ্বী ও রাশিয়াকে মূল রাষ্ট্রভিত্তিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে—এ প্রেক্ষাপটে বেইজিং ও মস্কোর ঘনিষ্ঠতা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে।