০৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ভারত থেকে পুশইন দুই হাজার ছাড়িয়েছে

সমকালের একটি শিরোনাম “গোপালগঞ্জে দিনভর সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ৪”

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলা-সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল বুধবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। নিহত হন চারজন। ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। গতকাল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন– গোপালগঞ্জ শহরের কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৯), শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪)। এরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পরিবার অভিযোগ করেছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস নামে এক যুবক সেখানে ভর্তি হয়েছেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর পেটে ও আঙুলে গুলি লেগেছে।

এনসিপি দাবি করেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে গণঅভ্যুত্থান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গি কায়দায় হামলা চালিয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ইইডিতে তোলপাড়”

দুই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব সময়মতো না দেওয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আলতাব হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইইডির ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ নিয়ে চলছে তোলপাড়।

প্রকল্প দুটি হলো বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বিজিবি হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) এবং সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)।

গত ৩০ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা যায়। এক অফিস আদেশে বলা হয়, পরিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের সংশোধন/মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্তির তিন মাস আগে পাঠানোর কথা থাকলেও ‘সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই প্রকল্পের ওপর গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পিএসসি সভায় ১ সপ্তাহের সংশোধিত প্রকল্প দলিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলেও তা যথাসময়ে পাওয়া যায়নি। প্রকল্পটির এ পর্যায়ে এসে মেয়াদ বৃদ্ধিসহ সংশোধনী প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ পরিকল্পনা শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

একইভাবে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বিজিবি হেড কোয়ার্টার্স, ঢাকার অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটি মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ দিন আগে পাঠানো হয়েছে বলে অপর এক আদেশে উল্লেখ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষতার কারণেই মূলত প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানো হয়েছে; যা ইইডির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ভারত থেকে পুশইন দুই হাজার ছাড়িয়েছে”

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই পুনর্জাগরণে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ‘ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি’ প্রদর্শনী। গতকাল এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত থেকে পুশইনকৃতদের সংখ্যা ইতিমধ্যে দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে ভারতীয় কাউকে পুশইন করা হলে তাদের অবশ্যই ফেরত পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে না। কারণ, ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষযে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন ‘বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে ভারত থেকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’ এটা নিয়ে আমাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। অবশ্যই ভারতীয় যারা আছেন, তারা ভারতে ফেরত যাবেন। সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নমনীয় না। আমরা এর বিচার দাবি করছি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের যে অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে পুশইন তার পরিপন্থি। আমরা একাধিকবার, সম্প্রতি আবারো তাদের মনে করিয়ে দিয়েছি, তোমাদের সঙ্গে আমাদের একটি মেকানিজম আছে। আমরা দেখবো এবং আমাদের লোক হলে অবশ্যই আমরা ফেরত নেবো। তিনি জানান, এই অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় কিছু লোককে আমরা ফেরত নিয়েছি। আমরা জোর দিচ্ছি, এটি যেন তারা বজায় রাখে।ভারতীয় সামগ্রী

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সম্পৃক্ততায় আটক ৫ বাংলাদেশির প্রসঙ্গেও কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদ সম্পৃক্ত অভিযোগে ৫ বাংলাদেশির বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, সামনে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও অনেকে গ্রেপ্তার হতে পারে- এমন আভাস দিয়েছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা অতীতকে মনে রাখতে চাই দুঃখ নিয়ে নয়, গর্ব নিয়ে। এই গর্ব শুধু ভাষণ বা স্মরণে নয়, বরং প্রাত্যহিক চিন্তায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে ও দায়িত্ববোধে। জুলাই পুনর্জাগরণ সবসময় জাগ্রত রাখতে আহ্বান জানান তিনি।

নন-ডিসক্লোজার চুক্তির প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, নন-ডিসক্লোজার চুক্তি হতেই পারে, এই তথ্যটা আমরা গোপন রাখবো। এক্ষেত্রে কী হবে না হবে, আমি কিন্তু সবকিছু জানিও না। আমি এই সম্পর্কে কোনো কমেন্ট করতে চাই না। যেহেতু নেগোসিয়েশন চলছে, দেখি ফলাফল কী দাঁড়ায়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “কর্ণফুলী টানেল থেকে ১৭০ কোটি টাকা লোকসানের লক্ষ্য”

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত ব্যয়বহুল কর্ণফুলী টানেল চালুর পর থেকেই রয়েছে লোকসানে। টোল বাবদ যা আয় হচ্ছে, তা দিয়ে টানেলটির পরিচালন ব্যয়ই উঠছে না। ব্যয় মেটাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ গুনতে হচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। সেতু কর্তৃপক্ষের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর টানেল থেকে লোকসান গুনতে হতে পারে ১৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত টানেলের ভেতর রাখতে হয় কৃত্রিম অক্সিজেন ও আলো সরবরাহ, সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সার্বক্ষণিক জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ কারণে টানেলটি পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রকল্পটির জন্য করা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নির্মাণের পর টানেলটিতে দুই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। একটি হলো প্রতিদিনকার রক্ষণাবেক্ষণ—বিদ্যুৎ সরবরাহ, কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ করে অক্সিজেন সরবরাহসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ এতে অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে প্রতি পাঁচ বছর পর একবার বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ। এছাড়া কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক পরিচালন ব্যয়। বিপরীতে আয়ের প্রধান খাত ওই পথে চলাচল করা যানবাহন থেকে আদায় হওয়া টোল।

কর্ণফুলী টানেল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চীনের বহুজাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। চুক্তিমূল্য ৯৮৪ কোটি টাকা।

টানেলটি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, উদ্বোধনের পর ২০২৩-২৪ অর্থবছর টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা বাবদ ব্যয় হয় ১৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। একই অর্থবছর প্রায় ৮৭ লাখ টাকা টোল অব্যাহতি দেয় সংস্থাটি। সব মিলিয়ে পরিচালন ব্যয় হয় ১৭৫ কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে টোল আদায় হয় কেবল ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে কর্ণফুলী টানেল চালুর পর প্রথম অর্থবছরই লোকসান গুনতে হয় প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা।

ভারত থেকে পুশইন দুই হাজার ছাড়িয়েছে

০৯:০০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “গোপালগঞ্জে দিনভর সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ৪”

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলা-সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় গতকাল বুধবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। নিহত হন চারজন। ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। গতকাল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন– গোপালগঞ্জ শহরের কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৯), শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪)। এরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পরিবার অভিযোগ করেছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস নামে এক যুবক সেখানে ভর্তি হয়েছেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর পেটে ও আঙুলে গুলি লেগেছে।

এনসিপি দাবি করেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে গণঅভ্যুত্থান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গি কায়দায় হামলা চালিয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ইইডিতে তোলপাড়”

দুই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব সময়মতো না দেওয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আলতাব হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইইডির ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ নিয়ে চলছে তোলপাড়।

প্রকল্প দুটি হলো বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বিজিবি হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) এবং সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)।

গত ৩০ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা যায়। এক অফিস আদেশে বলা হয়, পরিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের সংশোধন/মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্তির তিন মাস আগে পাঠানোর কথা থাকলেও ‘সদর দপ্তর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই প্রকল্পের ওপর গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পিএসসি সভায় ১ সপ্তাহের সংশোধিত প্রকল্প দলিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলেও তা যথাসময়ে পাওয়া যায়নি। প্রকল্পটির এ পর্যায়ে এসে মেয়াদ বৃদ্ধিসহ সংশোধনী প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ পরিকল্পনা শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

একইভাবে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বিজিবি হেড কোয়ার্টার্স, ঢাকার অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটি মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ দিন আগে পাঠানো হয়েছে বলে অপর এক আদেশে উল্লেখ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষতার কারণেই মূলত প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানো হয়েছে; যা ইইডির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ভারত থেকে পুশইন দুই হাজার ছাড়িয়েছে”

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই পুনর্জাগরণে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ‘ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি’ প্রদর্শনী। গতকাল এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত থেকে পুশইনকৃতদের সংখ্যা ইতিমধ্যে দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে ভারতীয় কাউকে পুশইন করা হলে তাদের অবশ্যই ফেরত পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে না। কারণ, ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষযে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন ‘বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে ভারত থেকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’ এটা নিয়ে আমাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। অবশ্যই ভারতীয় যারা আছেন, তারা ভারতে ফেরত যাবেন। সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নমনীয় না। আমরা এর বিচার দাবি করছি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের যে অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে পুশইন তার পরিপন্থি। আমরা একাধিকবার, সম্প্রতি আবারো তাদের মনে করিয়ে দিয়েছি, তোমাদের সঙ্গে আমাদের একটি মেকানিজম আছে। আমরা দেখবো এবং আমাদের লোক হলে অবশ্যই আমরা ফেরত নেবো। তিনি জানান, এই অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় কিছু লোককে আমরা ফেরত নিয়েছি। আমরা জোর দিচ্ছি, এটি যেন তারা বজায় রাখে।ভারতীয় সামগ্রী

অনুষ্ঠানে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সম্পৃক্ততায় আটক ৫ বাংলাদেশির প্রসঙ্গেও কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদ সম্পৃক্ত অভিযোগে ৫ বাংলাদেশির বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, সামনে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও অনেকে গ্রেপ্তার হতে পারে- এমন আভাস দিয়েছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা অতীতকে মনে রাখতে চাই দুঃখ নিয়ে নয়, গর্ব নিয়ে। এই গর্ব শুধু ভাষণ বা স্মরণে নয়, বরং প্রাত্যহিক চিন্তায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে ও দায়িত্ববোধে। জুলাই পুনর্জাগরণ সবসময় জাগ্রত রাখতে আহ্বান জানান তিনি।

নন-ডিসক্লোজার চুক্তির প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, নন-ডিসক্লোজার চুক্তি হতেই পারে, এই তথ্যটা আমরা গোপন রাখবো। এক্ষেত্রে কী হবে না হবে, আমি কিন্তু সবকিছু জানিও না। আমি এই সম্পর্কে কোনো কমেন্ট করতে চাই না। যেহেতু নেগোসিয়েশন চলছে, দেখি ফলাফল কী দাঁড়ায়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “কর্ণফুলী টানেল থেকে ১৭০ কোটি টাকা লোকসানের লক্ষ্য”

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত ব্যয়বহুল কর্ণফুলী টানেল চালুর পর থেকেই রয়েছে লোকসানে। টোল বাবদ যা আয় হচ্ছে, তা দিয়ে টানেলটির পরিচালন ব্যয়ই উঠছে না। ব্যয় মেটাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ গুনতে হচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। সেতু কর্তৃপক্ষের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর টানেল থেকে লোকসান গুনতে হতে পারে ১৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত টানেলের ভেতর রাখতে হয় কৃত্রিম অক্সিজেন ও আলো সরবরাহ, সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সার্বক্ষণিক জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ কারণে টানেলটি পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রকল্পটির জন্য করা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নির্মাণের পর টানেলটিতে দুই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ দরকার। একটি হলো প্রতিদিনকার রক্ষণাবেক্ষণ—বিদ্যুৎ সরবরাহ, কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ করে অক্সিজেন সরবরাহসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ এতে অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে প্রতি পাঁচ বছর পর একবার বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ। এছাড়া কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক পরিচালন ব্যয়। বিপরীতে আয়ের প্রধান খাত ওই পথে চলাচল করা যানবাহন থেকে আদায় হওয়া টোল।

কর্ণফুলী টানেল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চীনের বহুজাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। চুক্তিমূল্য ৯৮৪ কোটি টাকা।

টানেলটি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, উদ্বোধনের পর ২০২৩-২৪ অর্থবছর টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা বাবদ ব্যয় হয় ১৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। একই অর্থবছর প্রায় ৮৭ লাখ টাকা টোল অব্যাহতি দেয় সংস্থাটি। সব মিলিয়ে পরিচালন ব্যয় হয় ১৭৫ কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে টোল আদায় হয় কেবল ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে কর্ণফুলী টানেল চালুর পর প্রথম অর্থবছরই লোকসান গুনতে হয় প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা।