০৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

প্রতারক ভিসা এজেন্সির ফাঁদে পড়বেন না: ঢাকাস্থ থাই দূতাবাসের সতর্কবার্তা

থাই ই-ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতারণা ও জালিয়াতিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা জারি করেছে। ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে যে, কিছু বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি আবেদনকারীদের কাছ থেকে অস্বাভাবিকভাবে বেশি সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে, অথচ সঠিকভাবে আবেদন কিংবা পেমেন্ট সম্পন্ন করছে না।

প্রতারণার ধরণ: দূতাবাস কিছু সাধারণ প্রতারণার ধরন শনাক্ত করেছে, যেমন: ভুয়া পেমেন্ট রসিদ প্রদান, যা দেখে মনে হয় আবেদনকারী ভিসা ফি পরিশোধ করেছেন, যদিও বাস্তবে তা করা হয়নি। ভুয়া স্ট্যাটাস আপডেট, যা দেখায় যে ভিসা আবেদন দূতাবাস বাতিল করেছে—কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আবেদনটি দূতাবাসের সিস্টেমেই কখনো জমা পড়েনি। ফলে আবেদনকারীরা অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অনেকেই একই প্রতারক এজেন্সির মাধ্যমে আবার আবেদন করে নতুন করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

দূতাবাসের পরামর্শ: প্রতারণা থেকে বাঁচতে থাই দূতাবাস নিচের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো দিয়েছে:

১. নিজে আবেদন করুন: সরাসরি আবেদন করার জন্য www.thaievisa.go.th ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। নিজে আবেদন করলে আপনি আপনার আবেদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং অতিরিক্ত খরচ ও প্রতারণার ঝুঁকি কমবে।

২. এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে সাবধান হোন: যদি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, তাহলে একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য এজেন্সি ব্যবহার করুন। আবেদন জমা দেওয়ার পর এজেন্সির কাছ থেকে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করুন এবং নিজে লগইন করে আবেদনপত্রের অগ্রগতি দেখুন।

ভিসা স্ট্যাটাস বোঝার জন্য নির্দেশনা: “Pending Payment” – আবেদন তৈরি হয়েছে, কিন্তু পেমেন্ট হয়নি, আবেদন অসম্পূর্ণ। “Pending Document Check” – জমাকৃত কাগজপত্র যাচাই চলছে। “Pending Approval” – যাচাই সম্পন্ন হয়েছে, সাক্ষাৎকারের সম্ভাবনা আছে বা নেই, দূতাবাসের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন।

৩. ভিসা গ্রহণ: আবেদন অনুমোদিত হলে ই-ভিসাটি আপনার ইমেইলে পাঠানো হবে এবং আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করে “Manage Visa Application(s)” অপশনে গিয়ে “Download” ক্লিক করে ভিসাটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

৪. প্রক্রিয়াকরণ সময় ও আবেদন সংখ্যা: দূতাবাস প্রতিদিন ৯০০ থেকে ২,০০০টি আবেদন গ্রহণ করে এবং অনেক জাল কাগজপত্রের সাথেও মোকাবিলা করে। এ কারণে, প্রতিটি আবেদন সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করতে হয়। ফলে ভিসা প্রক্রিয়ায় ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত অনুরোধ প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে, যার প্রভাব পড়ে অন্য আবেদনকারীর ওপরও।

দূতাবাস বাংলাদেশি নাগরিকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভিসা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপদ ও সঠিকভাবে ভ্রমণের পরিকল্পনার জন্য সকল আবেদনকারীকে শুধুমাত্র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: রয়েল থাই দূতাবাস, ঢাকা, বাংলাদেশ | ১৭ জুলাই ২০২৫

প্রতারক ভিসা এজেন্সির ফাঁদে পড়বেন না: ঢাকাস্থ থাই দূতাবাসের সতর্কবার্তা

০৬:৩১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

থাই ই-ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতারণা ও জালিয়াতিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা জারি করেছে। ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে যে, কিছু বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি আবেদনকারীদের কাছ থেকে অস্বাভাবিকভাবে বেশি সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে, অথচ সঠিকভাবে আবেদন কিংবা পেমেন্ট সম্পন্ন করছে না।

প্রতারণার ধরণ: দূতাবাস কিছু সাধারণ প্রতারণার ধরন শনাক্ত করেছে, যেমন: ভুয়া পেমেন্ট রসিদ প্রদান, যা দেখে মনে হয় আবেদনকারী ভিসা ফি পরিশোধ করেছেন, যদিও বাস্তবে তা করা হয়নি। ভুয়া স্ট্যাটাস আপডেট, যা দেখায় যে ভিসা আবেদন দূতাবাস বাতিল করেছে—কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আবেদনটি দূতাবাসের সিস্টেমেই কখনো জমা পড়েনি। ফলে আবেদনকারীরা অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অনেকেই একই প্রতারক এজেন্সির মাধ্যমে আবার আবেদন করে নতুন করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

দূতাবাসের পরামর্শ: প্রতারণা থেকে বাঁচতে থাই দূতাবাস নিচের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো দিয়েছে:

১. নিজে আবেদন করুন: সরাসরি আবেদন করার জন্য www.thaievisa.go.th ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। নিজে আবেদন করলে আপনি আপনার আবেদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং অতিরিক্ত খরচ ও প্রতারণার ঝুঁকি কমবে।

২. এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে সাবধান হোন: যদি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, তাহলে একটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য এজেন্সি ব্যবহার করুন। আবেদন জমা দেওয়ার পর এজেন্সির কাছ থেকে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করুন এবং নিজে লগইন করে আবেদনপত্রের অগ্রগতি দেখুন।

ভিসা স্ট্যাটাস বোঝার জন্য নির্দেশনা: “Pending Payment” – আবেদন তৈরি হয়েছে, কিন্তু পেমেন্ট হয়নি, আবেদন অসম্পূর্ণ। “Pending Document Check” – জমাকৃত কাগজপত্র যাচাই চলছে। “Pending Approval” – যাচাই সম্পন্ন হয়েছে, সাক্ষাৎকারের সম্ভাবনা আছে বা নেই, দূতাবাসের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন।

৩. ভিসা গ্রহণ: আবেদন অনুমোদিত হলে ই-ভিসাটি আপনার ইমেইলে পাঠানো হবে এবং আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করে “Manage Visa Application(s)” অপশনে গিয়ে “Download” ক্লিক করে ভিসাটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

৪. প্রক্রিয়াকরণ সময় ও আবেদন সংখ্যা: দূতাবাস প্রতিদিন ৯০০ থেকে ২,০০০টি আবেদন গ্রহণ করে এবং অনেক জাল কাগজপত্রের সাথেও মোকাবিলা করে। এ কারণে, প্রতিটি আবেদন সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করতে হয়। ফলে ভিসা প্রক্রিয়ায় ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত অনুরোধ প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে, যার প্রভাব পড়ে অন্য আবেদনকারীর ওপরও।

দূতাবাস বাংলাদেশি নাগরিকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভিসা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপদ ও সঠিকভাবে ভ্রমণের পরিকল্পনার জন্য সকল আবেদনকারীকে শুধুমাত্র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: রয়েল থাই দূতাবাস, ঢাকা, বাংলাদেশ | ১৭ জুলাই ২০২৫