০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

উপকূলীয় পানির লবণাক্ততা সংকট নিরসনে তরুণদের উদ্ভাবনী দৌড়

প্রস্তাবনা
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘদিনের প্রধান সমস্যা নিরাপদ মিঠাপানির ঘাটতি। লবণাক্ততা ক্রমে ভেতরে ঢুকে পড়াঅপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব এই সংকটকে আরো জটিল করেছে। এ বাস্তবতায় স্থানীয় প্রয়োজনে মানানসইস্বল্পব্যয়ী ও টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ব্র্যাক আন্তর্জাতিক পানি ও স্যানিটেশন কেন্দ্র (আইআরসি)-এর অংশীদারিত্বে এবং নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় আয়োজন করে ব্র্যাক-আইআরসি ওয়াটার হ্যাকাথন

হ্যাকাথনের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য
এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কমিউনিটি-কেন্দ্রিক নবীন ধারণা শনাক্ত করে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়নের পথ খুলে দেওয়াযাতে লবণাক্ততা-পীড়িত অঞ্চলের জন্য কার্যকর প্রযুক্তি ও সামাজিক প্রয়োগযোগ্য মডেল বাছাই করা যায়। তরুণ প্রকৌশলীডিজাইনারসামাজিক উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণ দেখিয়েছেজলবায়ু সহনশীল পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন প্রজন্মের আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে।

আবেদন ও বাছাই প্রক্রিয়া
হ্যাকাথনে ২৫০টিরও বেশি প্রস্তাব জমা পড়ে। বহুস্তরীয় মূল্যায়নের পর ১১টি দল ও ব্যক্তিকে চূড়ান্ত পর্বে বিচারকদের সামনে উপস্থাপনার সুযোগ দেওয়া হয়। এই কঠোর বাছাই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে উপস্থাপিত ধারণাগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণস্থানীয়ভাবে অভিযোজ্য এবং সম্প্রসারণযোগ্য।

চূড়ান্ত পর্ব ও বিজয়ী উদ্যোগ
ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ১৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে দুটি প্রকল্প প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করে।
প্রথম পুরস্কার: প্রজেক্ট জলবন্ধু – একটি স্মার্ট কমিউনিটি-চালিত ওয়াটার গ্রিডযেখানে অংশগ্রহণপয়েন্ট প্রণোদনা ও শক্তি ব্যবহারের সমন্বয়ে টেকসই সরবরাহ গড়ে তোলা” শীর্ষক উদ্যোগটি সাশ্রয়ী ব্যয়স্থানীয় চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যসম্প্রসারণের সম্ভাবনা ও বাস্তব প্রয়োগযোগ্যতার কারণে বিচারকদের সর্বোচ্চ প্রশংসা পায়।
দ্বিতীয় পুরস্কার: অ্যাটমসফেরিক ময়েশ্চার ফর কোস্টাল কমিউনিটি” প্রকল্পটি (দল: মিফতাহুল জান্নাত লাবিবামো: জাহিদুল আলম ও ড. পার্থ দাস) উপকূলীয় পরিবেশে বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা আহরণকে ব্যবহারিক পানির উৎসে রূপান্তরের নবীন দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বিশেষভাবে নির্বাচিত হয়।

পরবর্তী পদক্ষেপ: পাইলট বাস্তবায়ন
আয়োজকদের পরিকল্পনা অনুযায়ীবিজয়ী ধারণাগুলো উপকূলীয় কয়েকটি নির্বাচিত এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতাস্থানীয় সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য ও বৃহত্তর পরিসরে বিস্তার লাভের উপযোগিতা মূল্যায়ন করা হবে। পাইলট ফলাফল ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও নীতি সহায়তার রূপরেখা তৈরিতে সহায়ক হবে।

বিচারক প্যানেলের গঠন
বিচারক প্যানেলে ছিলেন:

·       ড. শিবলী সাদিক – সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার (ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট)নেদারল্যান্ডস দূতাবাসবাংলাদেশ

·       এ.এইচ.এম খালেকুর রহমান – তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীজনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)

·       ড. সুফিয়া খানম – সিনিয়র রিসার্চ ফেলোবাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)

·       ড. তানভীর আহমেদ – অধ্যাপকসিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

·       আরিয়েন নাফস – ওয়াটার রিসোর্সেস অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিস্টআইআরসি নেদারল্যান্ডস

·       মো. জিল্লুর রহমান – হেড অব ইমপ্লিমেন্টেশনব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি

·       সারা আফরিন – হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড প্রোগ্রাম কমিউনিকেশনব্র্যাক

বিচারকদের অভিমত
ড. তানভীর আহমেদ মন্তব্য করেন যে হ্যাকাথন তরুণদের অমলিন ও মৌলিক ভাবনা বুঝে নেওয়ার এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এবং এসব চিন্তার ভেতরে সুপ্ত ব্যাপক সম্ভাবনা নিহিত। এ.এইচ.এম খালেকুর রহমান বলেনউপস্থাপিত ধারণাগুলো কেবল প্রযুক্তিনির্ভর ছিল নাএতে সামাজিক বাস্তবতা ও কমিউনিটির অংশগ্রহণও যুক্ত হয়েছেযা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

উদ্ভাবন ও সামাজিক প্রভাব
এই হ্যাকাথন দেখিয়েছেপ্রান্তিক উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা সৃষ্ট পানির সংকট ও জীবিকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ উদ্ভাবনের ক্ষেত্র কতটা বিস্তৃত। পানি সংগ্রহপরিশোধনবিতরণব্যবস্থাপনা ও অংশগ্রহণভিত্তিক নজরদারিতে কমিউনিটি-চালিত ডিজিটাল ও স্বল্পব্যয়ী সমাধান সামনে আসায় ভবিষ্যতে জলবায়ু সহনশীল পরিকল্পনা প্রণয়নে নতুন দিক উন্মোচিত হবে।

জাতীয় ও বৈশ্বিক তাৎপর্য
আয়োজকদের প্রত্যাশাএ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় জলবায়ু সহনশীল পানি ব্যবস্থাপনার চর্চাকে শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তাগবেষণা ও বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত সমাধানই বৃহত্তর নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তি গড়ে তোলে।

তরুণদের উদ্ভাবনী
উপকূলীয় পানির লবণাক্ততা সংকট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর পানি ও স্যানিটেশনজলবায়ু সহনশীলতাএবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ব্র্যাক-আইআরসি ওয়াটার হ্যাকাথন’ দেখিয়েছেসমন্বিত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে প্রণোদিত করলে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে বাস্তব পরিবর্তনের পথ তৈরি হয়। বিজয়ী উদ্যোগগুলোর পাইলট ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত বাস্তবায়ন ও নীতি সমর্থন গড়ে উঠবেএ প্রত্যাশা এখন সংশ্লিষ্ট সকলের।

উপকূলীয় পানির লবণাক্ততা সংকট নিরসনে তরুণদের উদ্ভাবনী দৌড়

০৪:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

প্রস্তাবনা
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘদিনের প্রধান সমস্যা নিরাপদ মিঠাপানির ঘাটতি। লবণাক্ততা ক্রমে ভেতরে ঢুকে পড়াঅপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব এই সংকটকে আরো জটিল করেছে। এ বাস্তবতায় স্থানীয় প্রয়োজনে মানানসইস্বল্পব্যয়ী ও টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ব্র্যাক আন্তর্জাতিক পানি ও স্যানিটেশন কেন্দ্র (আইআরসি)-এর অংশীদারিত্বে এবং নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় আয়োজন করে ব্র্যাক-আইআরসি ওয়াটার হ্যাকাথন

হ্যাকাথনের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য
এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কমিউনিটি-কেন্দ্রিক নবীন ধারণা শনাক্ত করে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়নের পথ খুলে দেওয়াযাতে লবণাক্ততা-পীড়িত অঞ্চলের জন্য কার্যকর প্রযুক্তি ও সামাজিক প্রয়োগযোগ্য মডেল বাছাই করা যায়। তরুণ প্রকৌশলীডিজাইনারসামাজিক উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণ দেখিয়েছেজলবায়ু সহনশীল পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন প্রজন্মের আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে।

আবেদন ও বাছাই প্রক্রিয়া
হ্যাকাথনে ২৫০টিরও বেশি প্রস্তাব জমা পড়ে। বহুস্তরীয় মূল্যায়নের পর ১১টি দল ও ব্যক্তিকে চূড়ান্ত পর্বে বিচারকদের সামনে উপস্থাপনার সুযোগ দেওয়া হয়। এই কঠোর বাছাই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে উপস্থাপিত ধারণাগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণস্থানীয়ভাবে অভিযোজ্য এবং সম্প্রসারণযোগ্য।

চূড়ান্ত পর্ব ও বিজয়ী উদ্যোগ
ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ১৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে দুটি প্রকল্প প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করে।
প্রথম পুরস্কার: প্রজেক্ট জলবন্ধু – একটি স্মার্ট কমিউনিটি-চালিত ওয়াটার গ্রিডযেখানে অংশগ্রহণপয়েন্ট প্রণোদনা ও শক্তি ব্যবহারের সমন্বয়ে টেকসই সরবরাহ গড়ে তোলা” শীর্ষক উদ্যোগটি সাশ্রয়ী ব্যয়স্থানীয় চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যসম্প্রসারণের সম্ভাবনা ও বাস্তব প্রয়োগযোগ্যতার কারণে বিচারকদের সর্বোচ্চ প্রশংসা পায়।
দ্বিতীয় পুরস্কার: অ্যাটমসফেরিক ময়েশ্চার ফর কোস্টাল কমিউনিটি” প্রকল্পটি (দল: মিফতাহুল জান্নাত লাবিবামো: জাহিদুল আলম ও ড. পার্থ দাস) উপকূলীয় পরিবেশে বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা আহরণকে ব্যবহারিক পানির উৎসে রূপান্তরের নবীন দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বিশেষভাবে নির্বাচিত হয়।

পরবর্তী পদক্ষেপ: পাইলট বাস্তবায়ন
আয়োজকদের পরিকল্পনা অনুযায়ীবিজয়ী ধারণাগুলো উপকূলীয় কয়েকটি নির্বাচিত এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সক্ষমতাস্থানীয় সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য ও বৃহত্তর পরিসরে বিস্তার লাভের উপযোগিতা মূল্যায়ন করা হবে। পাইলট ফলাফল ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও নীতি সহায়তার রূপরেখা তৈরিতে সহায়ক হবে।

বিচারক প্যানেলের গঠন
বিচারক প্যানেলে ছিলেন:

·       ড. শিবলী সাদিক – সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার (ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট)নেদারল্যান্ডস দূতাবাসবাংলাদেশ

·       এ.এইচ.এম খালেকুর রহমান – তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীজনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)

·       ড. সুফিয়া খানম – সিনিয়র রিসার্চ ফেলোবাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)

·       ড. তানভীর আহমেদ – অধ্যাপকসিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

·       আরিয়েন নাফস – ওয়াটার রিসোর্সেস অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিস্টআইআরসি নেদারল্যান্ডস

·       মো. জিল্লুর রহমান – হেড অব ইমপ্লিমেন্টেশনব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি

·       সারা আফরিন – হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড প্রোগ্রাম কমিউনিকেশনব্র্যাক

বিচারকদের অভিমত
ড. তানভীর আহমেদ মন্তব্য করেন যে হ্যাকাথন তরুণদের অমলিন ও মৌলিক ভাবনা বুঝে নেওয়ার এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এবং এসব চিন্তার ভেতরে সুপ্ত ব্যাপক সম্ভাবনা নিহিত। এ.এইচ.এম খালেকুর রহমান বলেনউপস্থাপিত ধারণাগুলো কেবল প্রযুক্তিনির্ভর ছিল নাএতে সামাজিক বাস্তবতা ও কমিউনিটির অংশগ্রহণও যুক্ত হয়েছেযা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

উদ্ভাবন ও সামাজিক প্রভাব
এই হ্যাকাথন দেখিয়েছেপ্রান্তিক উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা সৃষ্ট পানির সংকট ও জীবিকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ উদ্ভাবনের ক্ষেত্র কতটা বিস্তৃত। পানি সংগ্রহপরিশোধনবিতরণব্যবস্থাপনা ও অংশগ্রহণভিত্তিক নজরদারিতে কমিউনিটি-চালিত ডিজিটাল ও স্বল্পব্যয়ী সমাধান সামনে আসায় ভবিষ্যতে জলবায়ু সহনশীল পরিকল্পনা প্রণয়নে নতুন দিক উন্মোচিত হবে।

জাতীয় ও বৈশ্বিক তাৎপর্য
আয়োজকদের প্রত্যাশাএ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় জলবায়ু সহনশীল পানি ব্যবস্থাপনার চর্চাকে শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তাগবেষণা ও বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত সমাধানই বৃহত্তর নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তি গড়ে তোলে।

তরুণদের উদ্ভাবনী
উপকূলীয় পানির লবণাক্ততা সংকট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর পানি ও স্যানিটেশনজলবায়ু সহনশীলতাএবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ব্র্যাক-আইআরসি ওয়াটার হ্যাকাথন’ দেখিয়েছেসমন্বিত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তিকে প্রণোদিত করলে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে বাস্তব পরিবর্তনের পথ তৈরি হয়। বিজয়ী উদ্যোগগুলোর পাইলট ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত বাস্তবায়ন ও নীতি সমর্থন গড়ে উঠবেএ প্রত্যাশা এখন সংশ্লিষ্ট সকলের।