সমকালের একটি শিরোনাম “শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি”
রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির ঘটনায় পৃথক তিন মামলা করে দুদক। এ তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এসব মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের চেয়ে কম শুল্কের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র”
বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে রাশিয়া, চীন ও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের শাস্তি দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে ইরানের জ্বালানি তেল কেনার সঙ্গে জড়িত ৬টি ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে ওয়াশিংটনে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার পর বাংলাদেশি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা শুল্ক ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে সরাসরি কোনো নিশ্চয়তা না পাওয়া গেলেও শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমানোর ব্যাপারে স্পষ্ট ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ পাওয়া গেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপে ভারসাম্য রক্ষা ও বাংলাদেশকে অনুকূল অবস্থানে আনার লক্ষ্যে ২৫টি বোয়িং উড়োজাহাজ অর্ডার, ৭ লাখ টন গম, এলএনজি, তুলা, ওষুধ, মূলধনী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক কাঁচামাল ও কৃষিজ পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা। গত সোমবার পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা দেয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিল—যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ওপর শুল্কহার যেন ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এই প্রস্তাবের পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক নজির—ভিয়েতনাম ২০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন ১৯ শতাংশ, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ১৫ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্য ১০ শতাংশ হারে এমন সমঝোতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশের দাবি, এই পরিসরেই একটি যৌক্তিক ও প্রতিযোগিতামূলক হার নির্ধারণ সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনার চূড়ান্ত দফার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্য প্রায় সম্পূর্ণ নিরসন হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আলোচনায় থাকা একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত শুল্ক হার ও প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে একটি বাস্তবসম্মত এবং পরিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা এখন ‘প্রবল।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কোটির নিচে কথা নেই রিয়াদের”
বাবা ছিলেন দিনমজুর। অভাব-অনটন ও টানাটানির সংসার। নিজের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারতো না। মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে এইচএসসি শেষ করে চলে আসে ঢাকায়। এসে ভর্তি হয় গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে। ঢাকায় আসার পরও তার টানাটানি করে চলতে হতো। কিন্তু ৫ই আগস্টের পরপরই ভাগ্য বদলে যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তকমা লাগিয়ে চাঁদাবাজিতে নামে। শুধু চাঁদাবাজি নয়, বদলি, নিয়োগ, জমি দখল, জমি উদ্ধার- সবকিছুই তাকে দিয়ে সম্ভব হতো। দলবল নিয়ে গড়ে তোলে একটি চাঁদাবাজি চক্র। আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্টের দোসর, শেখ হাসিনার সহযোগীসহ নানা তকমা দিয়ে মব সৃষ্টি করে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, বাড়ির মালিক, সরকারি চাকরিজীবী, শিল্পপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে আদায় করতো টাকা। এ ছাড়া, সংগঠনের নামে বিভিন্ন অজুহাতেও চাঁদাবাজি করতো। এভাবে প্রায় এক বছরে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তার টাকা ইনকামের হিসাব দেখে খোদ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও হতভম্ব। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদের এমন বিস্ময় উত্থান সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। গুলশানের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে রিয়াদ ও তার চার সহযোগী। গুলশান থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ রিমান্ডে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে রিয়াদ ও তার সহযোগীরা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নির্ভয়ে চেকের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা চাঁদা নিতো রিয়াদ। মামলা, হামলা, মবের ভয় দেখিয়ে যেমন টাকা নিতো তেমনি বদলি, নিয়োগ, জমি দখল, জমি উদ্ধার, বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের নামে টাকা আদায় করতো। রিমান্ডের তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাতে পুলিশ রিয়াদের নাখালপাড়ার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার একটি চেক পায় পুলিশ। আগামী ২রা আগস্ট ওই চেকটি ক্যাশ হওয়ার কথা ছিল। গুলশানে আওয়ামীপন্থি এক ব্যবসায়ীর জমি উদ্ধারের জন্য ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয় রিয়াদের সঙ্গে। সেই চুক্তির ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেনের চেক ছিল রিয়াদের বাসায়। এ ছাড়াও, পুলিশ তার ঘর থেকে অন্তত ১০টি এফডিআরের স্লিপ পেয়েছে। সেখানে ২০ লাখ টাকার বেশি জমা রয়েছে। গত কয়েক মাসে রিয়াদের একটি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টেই ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তদন্তে জানা গেছে, রিয়াদের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি ঢুকেছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। আরও কয়েকটি ব্যাংকেও তার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা তার টাকার হিসাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া, রিয়াদের চাঁদাবাজি নিয়ে কাজ শুরু করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার”
রাঙ্গামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইউপিডিএফের আস্তানা থেকে একে-৪৭ ও রাইফেলসহ অন্যান্য অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, অভিযান এখনো চলমান। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।