১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম—বন্দরনগরীর স্থবিরতা ও নাগরিক দুর্ভোগের এক দীর্ঘচিত্র

 বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা’—চট্টগ্রামবাসীর নিয়তি

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত, সেই শহরের নাগরিকদের কাছে বর্ষাকাল এক আতঙ্কের নাম—জলাবদ্ধতা। কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতেই অচল হয়ে যায় নগরজীবন। আধুনিক বন্দর, শিল্পকারখানা, ব্যাংক, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার কেন্দ্র হয়েও জলাবদ্ধতা যেন এই নগরের অমোচনীয় ব্যাধি।

শহরের গঠনগত ত্রুটি: পরিকল্পনাহীন নগরায়ণের পরিণতি

চট্টগ্রাম শহর পাহাড় ও সমতলের মিলিত ভূপ্রকৃতিতে গঠিত। এটি একটি প্রাকৃতিক জলাধার-নির্ভর এলাকা হওয়ায় বৃষ্টির পানি স্বাভাবিক প্রবাহে নিচু এলাকায় জমা হয়। অতীতে এসব পানি দ্রুত খাল ও নদী দিয়ে সরে যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নালা-খাল দখল এবং অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সেই প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

খাল ও নালাগুলো মাটি, আবর্জনা ও প্লাস্টিক বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। নগরের নিচু এলাকাগুলো-খাতুনগঞ্জ, চকবাজার, বাকলিয়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বায়েজিদ, কাপাসগোলা, চাক্তাই, সল্টগোলা, বারিক বিল্ডিং, বন্দর সংলগ্ন অঞ্চল—বৃষ্টির অল্প সময় পরেই হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল নেই কেন?

নাগরিক দুর্ভোগ: স্কুলঅফিসহাসপাতাল সবই বিপর্যস্ত

জলাবদ্ধতায় শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ভিজে বইখাতা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারে না। অফিসগামী মানুষ নোংরা পানিতে জুতা হাতে হাঁটতে বাধ্য হয়। যেকোনো জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় দেরি ঘটে, কারণ অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারে না।

বিশেষত আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, যেটি একসময় অভিজাত পল্লি ছিল, এখন জলাবদ্ধতার কারণে ভয়াবহ বাসযোগ্য সংকটে পড়েছে। প্রতিবছরই এই এলাকায় গৃহস্থালি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়—ফ্রিজ, টিভি, খাট, সোফা—সব ভেসে যায় বা নষ্ট হয়ে পড়ে।

বন্দর ও ব্যবসা ক্ষতির মুখে: জাতীয় অর্থনীতির জন্য চরম ঝুঁকি

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রধান প্রবেশদ্বার। কিন্তু জলাবদ্ধতা বন্দরের কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মালবাহী ট্রাক আটকে থাকে, শ্রমিকরা কাজ করতে পারে না, কন্টেইনার স্থানান্তর ব্যাহত হয়। এর ফলে আমদানি পণ্যের খরচ বাড়ে, রপ্তানির সময়মতো ডেলিভারি সম্ভব হয় না।

খাতুনগঞ্জ দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার। এখানে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের বেচাকেনা হয়। এই এলাকাও জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে। এতে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয় এবং মূল্য বাড়ে, যার প্রভাব পড়ে সারাদেশের বাজারে।

পরিবেশগত প্রভাব: স্বাস্থ্যহানিসহ জলবাহিত রোগের প্রকোপ

জলাবদ্ধতার কারণে নোংরা ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গু, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, পেটের অসুখসহ বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে রোগপ্রবণতা বেশি দেখা যায়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, বিশেষ করে ডায়রিয়া ও জ্বরজনিত সমস্যায়।

পানি জমে থাকায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে বর্জ্যযুক্ত পানি রাস্তা দিয়ে উপচে পড়ে, যা মারাত্মক দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।

সরকারের প্রকল্প ও বাস্তবতার ফারাক

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং সিটি কর্পোরেশন কয়েকটি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প হাতে নিলেও বাস্তবায়নে ধীর গতি ও দুর্নীতি বড় প্রতিবন্ধক। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। মেগা প্রকল্পের কথা বলা হলেও খাল উদ্ধার, নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ এবং টেকসই নগর পরিকল্পনায় কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ‘বছরের পর বছর ধরে একই প্রতিশ্রুতি শুনে আসছি, কিন্তু জলাবদ্ধতা বাড়ছেই।’

উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিডিএ'র ৪৯৪২ কোটি টাকার তিন প্রকল্প | Suprobhat Bangladesh

সম্ভাব্য সমাধান: দীর্ঘমেয়াদি ও পরিকল্পিত ব্যবস্থা জরুরি

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে প্রয়োজন—

  • • জরুরি ভিত্তিতে খাল ও ড্রেন পুনঃখনন,
  • • খাল দখলমুক্ত করা,
  • • কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা বর্জ্য ফেলা,
  • • আধুনিক পাম্প স্টেশন ও জলসংগ্রহ ব্যবস্থা চালু করা,
  • • বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য রেইনওয়াটার হারভেস্টিং বাধ্যতামূলক করা,
  • • শহরের পরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা রোধে উপযোগী স্থাপনা অনুমোদন।

শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, নাগরিক সচেতনতা ও প্রশাসনিক আন্তরিকতার সমন্বয়েই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা, সড়ক ছাপিয়ে বাসাবাড়িতে পানি

বন্দরনগরীকে জলমুক্ত করতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ জরুরি

চট্টগ্রাম শুধু একটি নগর নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবাহের মূল শিরা। এই নগরের জলাবদ্ধতা শুধু একটি নাগরিক দুর্ভোগ নয়, এটি পুরো দেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে দিতে পারে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা, প্রয়োগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা এখন সময়ের দাবি।

চট্টগ্রামের মানুষ বর্ষাকে ভয় না পেয়ে উপভোগ করতে চায়। প্রয়োজন কেবল কার্যকর সমাধান, যথাসময়ে যথাযথ কাজ। চট্টগ্রাম আবারও হতে পারে দেশের গর্ব—যদি নগরটি জলমুক্ত হয়।

জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম—বন্দরনগরীর স্থবিরতা ও নাগরিক দুর্ভোগের এক দীর্ঘচিত্র

০৩:০০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

 বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা’—চট্টগ্রামবাসীর নিয়তি

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত, সেই শহরের নাগরিকদের কাছে বর্ষাকাল এক আতঙ্কের নাম—জলাবদ্ধতা। কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতেই অচল হয়ে যায় নগরজীবন। আধুনিক বন্দর, শিল্পকারখানা, ব্যাংক, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার কেন্দ্র হয়েও জলাবদ্ধতা যেন এই নগরের অমোচনীয় ব্যাধি।

শহরের গঠনগত ত্রুটি: পরিকল্পনাহীন নগরায়ণের পরিণতি

চট্টগ্রাম শহর পাহাড় ও সমতলের মিলিত ভূপ্রকৃতিতে গঠিত। এটি একটি প্রাকৃতিক জলাধার-নির্ভর এলাকা হওয়ায় বৃষ্টির পানি স্বাভাবিক প্রবাহে নিচু এলাকায় জমা হয়। অতীতে এসব পানি দ্রুত খাল ও নদী দিয়ে সরে যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নালা-খাল দখল এবং অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সেই প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

খাল ও নালাগুলো মাটি, আবর্জনা ও প্লাস্টিক বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। নগরের নিচু এলাকাগুলো-খাতুনগঞ্জ, চকবাজার, বাকলিয়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বায়েজিদ, কাপাসগোলা, চাক্তাই, সল্টগোলা, বারিক বিল্ডিং, বন্দর সংলগ্ন অঞ্চল—বৃষ্টির অল্প সময় পরেই হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল নেই কেন?

নাগরিক দুর্ভোগ: স্কুলঅফিসহাসপাতাল সবই বিপর্যস্ত

জলাবদ্ধতায় শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ভিজে বইখাতা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারে না। অফিসগামী মানুষ নোংরা পানিতে জুতা হাতে হাঁটতে বাধ্য হয়। যেকোনো জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় দেরি ঘটে, কারণ অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারে না।

বিশেষত আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, যেটি একসময় অভিজাত পল্লি ছিল, এখন জলাবদ্ধতার কারণে ভয়াবহ বাসযোগ্য সংকটে পড়েছে। প্রতিবছরই এই এলাকায় গৃহস্থালি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়—ফ্রিজ, টিভি, খাট, সোফা—সব ভেসে যায় বা নষ্ট হয়ে পড়ে।

বন্দর ও ব্যবসা ক্ষতির মুখে: জাতীয় অর্থনীতির জন্য চরম ঝুঁকি

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রধান প্রবেশদ্বার। কিন্তু জলাবদ্ধতা বন্দরের কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মালবাহী ট্রাক আটকে থাকে, শ্রমিকরা কাজ করতে পারে না, কন্টেইনার স্থানান্তর ব্যাহত হয়। এর ফলে আমদানি পণ্যের খরচ বাড়ে, রপ্তানির সময়মতো ডেলিভারি সম্ভব হয় না।

খাতুনগঞ্জ দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার। এখানে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের বেচাকেনা হয়। এই এলাকাও জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে। এতে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয় এবং মূল্য বাড়ে, যার প্রভাব পড়ে সারাদেশের বাজারে।

পরিবেশগত প্রভাব: স্বাস্থ্যহানিসহ জলবাহিত রোগের প্রকোপ

জলাবদ্ধতার কারণে নোংরা ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গু, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, পেটের অসুখসহ বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে রোগপ্রবণতা বেশি দেখা যায়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, বিশেষ করে ডায়রিয়া ও জ্বরজনিত সমস্যায়।

পানি জমে থাকায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে বর্জ্যযুক্ত পানি রাস্তা দিয়ে উপচে পড়ে, যা মারাত্মক দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।

সরকারের প্রকল্প ও বাস্তবতার ফারাক

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং সিটি কর্পোরেশন কয়েকটি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প হাতে নিলেও বাস্তবায়নে ধীর গতি ও দুর্নীতি বড় প্রতিবন্ধক। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। মেগা প্রকল্পের কথা বলা হলেও খাল উদ্ধার, নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ এবং টেকসই নগর পরিকল্পনায় কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ‘বছরের পর বছর ধরে একই প্রতিশ্রুতি শুনে আসছি, কিন্তু জলাবদ্ধতা বাড়ছেই।’

উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিডিএ'র ৪৯৪২ কোটি টাকার তিন প্রকল্প | Suprobhat Bangladesh

সম্ভাব্য সমাধান: দীর্ঘমেয়াদি ও পরিকল্পিত ব্যবস্থা জরুরি

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে প্রয়োজন—

  • • জরুরি ভিত্তিতে খাল ও ড্রেন পুনঃখনন,
  • • খাল দখলমুক্ত করা,
  • • কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা বর্জ্য ফেলা,
  • • আধুনিক পাম্প স্টেশন ও জলসংগ্রহ ব্যবস্থা চালু করা,
  • • বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য রেইনওয়াটার হারভেস্টিং বাধ্যতামূলক করা,
  • • শহরের পরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা রোধে উপযোগী স্থাপনা অনুমোদন।

শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, নাগরিক সচেতনতা ও প্রশাসনিক আন্তরিকতার সমন্বয়েই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা, সড়ক ছাপিয়ে বাসাবাড়িতে পানি

বন্দরনগরীকে জলমুক্ত করতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ জরুরি

চট্টগ্রাম শুধু একটি নগর নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবাহের মূল শিরা। এই নগরের জলাবদ্ধতা শুধু একটি নাগরিক দুর্ভোগ নয়, এটি পুরো দেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে দিতে পারে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা, প্রয়োগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা এখন সময়ের দাবি।

চট্টগ্রামের মানুষ বর্ষাকে ভয় না পেয়ে উপভোগ করতে চায়। প্রয়োজন কেবল কার্যকর সমাধান, যথাসময়ে যথাযথ কাজ। চট্টগ্রাম আবারও হতে পারে দেশের গর্ব—যদি নগরটি জলমুক্ত হয়।