০১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

বঙ্গোপসাগরের তলের প্লেট ও বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি—একটি ভয়াবহ সম্ভাবনার দিকচিত্র

ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান ও প্লেটের সংঘাত: এক নীরব বিপদের উৎস

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল, বিশেষত কক্সবাজার উপকূল ও তার আশপাশের বঙ্গোপসাগরের নিচে অবস্থিত একটি সক্রিয় ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল। এই অঞ্চলটি ভারতীয় প্লেট ও বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত। ভারতীয় প্লেট ধীরে ধীরে বার্মা প্লেটের নিচে ঢুকে যাচ্ছে—একটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যাকে “subduction” বা নিমজ্জন বলা হয়। এই ধরনের প্লেটের গতিবিধি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সঞ্চয় করে, যা এক পর্যায়ে ভূমিকম্প ও সুনামির রূপ নিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে আশঙ্কা করছেন, বঙ্গোপসাগরের নিচে একটি “মেগা থ্রাস্ট ফল্ট” গড়ে উঠছে, যেটি এক সময়ে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। এমন একটি ভূমিকম্প শুধু কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি এর সাথে সুনামি যুক্ত হয়।

চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য সুনামি উৎপত্তির প্রক্রিয়া

সুনামি সাধারণত সাগরতলের বিশালাকার প্লেটের আকস্মিক নড়াচড়ার ফলে সৃষ্ট হয়, যা পানির স্তরে বড় ধরনের বিচ্যুতি ঘটায় এবং সেখান থেকে বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে। কক্সবাজারের উপকূল সংলগ্ন প্লেট গঠনের ধরন এমনই একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে এমন একটি সুনামির সম্ভাবনা অস্বীকার করার উপায় নেই।

২০২১ সালে প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, কক্সবাজার থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগরের একাংশে ২০-২৫ কিলোমিটার গভীরে ২০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফল্ট লাইন সক্রিয় রয়েছে, যা একদিকে মিয়ানমারের আরাকান উপকূল ও অন্যদিকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ফল্ট লাইনে শক্তি জমা হচ্ছে প্রতি বছর, যা কোনো এক সময় প্রবল ভূমিকম্প এবং সুনামির কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি এ অঞ্চলে ৮.২ বা তার অধিক মাত্রার একটি ভূমিকম্প ঘটে,তবে বঙ্গোপসাগরে ১০-১৫ মিটার উচ্চতার সুনামি তরঙ্গ তৈরি হতে পারে,যা মাত্র ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, পাথরঘাটা, সন্দ্বীপ ও চট্টগ্রামের উপকূলে আঘাত হানবে।

বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলসমূহ

বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক গঠন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশটি তিনটি প্রধান ভূমিকম্প ঝুঁকির অঞ্চলে বিভক্ত:

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল – এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও ঢাকা শহরের পূর্বাংশ। এই অঞ্চলগুলো ভারতীয় এবং বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যার ফলে এখানে প্রায়শই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল – এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চল,টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, খুলনা, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া অঞ্চল। এইসব অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল – রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে রয়েছে, তবে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নয়।

শহর ঘনত্ব ও অবকাঠামোগত ঝুঁকি

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট—এই তিনটি শহর ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। কারণ শুধু ভৌগোলিক অবস্থান নয়, এই শহরগুলোতে জনসংখ্যার ঘনত্ব, অপরিকল্পিত দালান নির্মাণ এবং দুর্বল ভূগঠনের কারণেও ক্ষতির আশঙ্কা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ২০২০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, মাত্র ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ঢাকায় ঘটলে ৭০ হাজার ভবন ধ্বসে পড়তে পারে এবং দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ হতাহত হতে পারে।

প্রস্তুতি ও সতর্কতা: সম্ভাব্য বিপর্যয় মোকাবিলায় করণীয়

ভূমিকম্প ও সুনামির সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশে এখনো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণের নিয়ম থাকলেও বাস্তবে তার যথাযথ প্রয়োগ খুবই দুর্বল। অধিকাংশ ভবন পুরাতন, জরাজীর্ণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নয়।

ভূমিকম্প ও সুনামি নিয়ে উপকূলবাসীর সচেতনতা কম | প্রথম আলো

এছাড়াও, উপকূলবর্তী এলাকার জনগণ ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামি সম্পর্কে সচেতন নয়। একটি সুনামির পরিণতি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এসে হাজির হতে পারে, অথচ সেখানে সুরক্ষা কেন্দ্র, আগাম বার্তার ব্যবস্থা বা জনসচেতনতা কার্যক্রম প্রায় অনুপস্থিত।

সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বিপর্যয় অনিবার্য

বঙ্গোপসাগরের তলে সক্রিয় প্লেটের বর্তমান গঠন এবং কক্সবাজার উপকূলে এর অবস্থান বাংলাদেশের জন্য এক নীরব অথচ ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূকম্পন বা সুনামির ঘটনা আগাম জানানো সম্ভব না হলেও প্রস্তুতি, সতর্কতা এবং নীতিগত পরিকল্পনার মাধ্যমে এর ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব। এখনই সময় সরকার, নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী ও সাধারণ মানুষকে সম্মিলিতভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার। না হলে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র—আরেকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের ঘুমন্ত বাস্তবতাকে চিরতরে নাড়িয়ে দিতে পারে।

বঙ্গোপসাগরের তলের প্লেট ও বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি—একটি ভয়াবহ সম্ভাবনার দিকচিত্র

০৩:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান ও প্লেটের সংঘাত: এক নীরব বিপদের উৎস

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল, বিশেষত কক্সবাজার উপকূল ও তার আশপাশের বঙ্গোপসাগরের নিচে অবস্থিত একটি সক্রিয় ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল। এই অঞ্চলটি ভারতীয় প্লেট ও বার্মা মাইক্রোপ্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত। ভারতীয় প্লেট ধীরে ধীরে বার্মা প্লেটের নিচে ঢুকে যাচ্ছে—একটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যাকে “subduction” বা নিমজ্জন বলা হয়। এই ধরনের প্লেটের গতিবিধি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সঞ্চয় করে, যা এক পর্যায়ে ভূমিকম্প ও সুনামির রূপ নিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে আশঙ্কা করছেন, বঙ্গোপসাগরের নিচে একটি “মেগা থ্রাস্ট ফল্ট” গড়ে উঠছে, যেটি এক সময়ে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। এমন একটি ভূমিকম্প শুধু কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি এর সাথে সুনামি যুক্ত হয়।

চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য সুনামি উৎপত্তির প্রক্রিয়া

সুনামি সাধারণত সাগরতলের বিশালাকার প্লেটের আকস্মিক নড়াচড়ার ফলে সৃষ্ট হয়, যা পানির স্তরে বড় ধরনের বিচ্যুতি ঘটায় এবং সেখান থেকে বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে। কক্সবাজারের উপকূল সংলগ্ন প্লেট গঠনের ধরন এমনই একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে এমন একটি সুনামির সম্ভাবনা অস্বীকার করার উপায় নেই।

২০২১ সালে প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, কক্সবাজার থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগরের একাংশে ২০-২৫ কিলোমিটার গভীরে ২০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফল্ট লাইন সক্রিয় রয়েছে, যা একদিকে মিয়ানমারের আরাকান উপকূল ও অন্যদিকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ফল্ট লাইনে শক্তি জমা হচ্ছে প্রতি বছর, যা কোনো এক সময় প্রবল ভূমিকম্প এবং সুনামির কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি এ অঞ্চলে ৮.২ বা তার অধিক মাত্রার একটি ভূমিকম্প ঘটে,তবে বঙ্গোপসাগরে ১০-১৫ মিটার উচ্চতার সুনামি তরঙ্গ তৈরি হতে পারে,যা মাত্র ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, পাথরঘাটা, সন্দ্বীপ ও চট্টগ্রামের উপকূলে আঘাত হানবে।

বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলসমূহ

বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক গঠন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশটি তিনটি প্রধান ভূমিকম্প ঝুঁকির অঞ্চলে বিভক্ত:

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল – এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও ঢাকা শহরের পূর্বাংশ। এই অঞ্চলগুলো ভারতীয় এবং বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যার ফলে এখানে প্রায়শই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল – এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চল,টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, খুলনা, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া অঞ্চল। এইসব অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল – রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে রয়েছে, তবে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নয়।

শহর ঘনত্ব ও অবকাঠামোগত ঝুঁকি

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট—এই তিনটি শহর ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। কারণ শুধু ভৌগোলিক অবস্থান নয়, এই শহরগুলোতে জনসংখ্যার ঘনত্ব, অপরিকল্পিত দালান নির্মাণ এবং দুর্বল ভূগঠনের কারণেও ক্ষতির আশঙ্কা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ২০২০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, মাত্র ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ঢাকায় ঘটলে ৭০ হাজার ভবন ধ্বসে পড়তে পারে এবং দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ হতাহত হতে পারে।

প্রস্তুতি ও সতর্কতা: সম্ভাব্য বিপর্যয় মোকাবিলায় করণীয়

ভূমিকম্প ও সুনামির সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশে এখনো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণের নিয়ম থাকলেও বাস্তবে তার যথাযথ প্রয়োগ খুবই দুর্বল। অধিকাংশ ভবন পুরাতন, জরাজীর্ণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নয়।

ভূমিকম্প ও সুনামি নিয়ে উপকূলবাসীর সচেতনতা কম | প্রথম আলো

এছাড়াও, উপকূলবর্তী এলাকার জনগণ ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামি সম্পর্কে সচেতন নয়। একটি সুনামির পরিণতি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এসে হাজির হতে পারে, অথচ সেখানে সুরক্ষা কেন্দ্র, আগাম বার্তার ব্যবস্থা বা জনসচেতনতা কার্যক্রম প্রায় অনুপস্থিত।

সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বিপর্যয় অনিবার্য

বঙ্গোপসাগরের তলে সক্রিয় প্লেটের বর্তমান গঠন এবং কক্সবাজার উপকূলে এর অবস্থান বাংলাদেশের জন্য এক নীরব অথচ ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূকম্পন বা সুনামির ঘটনা আগাম জানানো সম্ভব না হলেও প্রস্তুতি, সতর্কতা এবং নীতিগত পরিকল্পনার মাধ্যমে এর ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব। এখনই সময় সরকার, নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী ও সাধারণ মানুষকে সম্মিলিতভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার। না হলে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র—আরেকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের ঘুমন্ত বাস্তবতাকে চিরতরে নাড়িয়ে দিতে পারে।