০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫
ট্রেড আলোচনা স্থবির, শুল্ক হুমকি বাড়ছে: যুক্তরাষ্ট্র–ভারত অংশীদারিত্বে টানাপোড়ন  জলঢাকা নদী: ইতিহাস, পথচলা ও বর্তমান বাস্তবতা বাংলাদেশে কার্প মাছ চাষ: দেশি মাছের বৈচিত্র্য ধ্বংসের হুমকি ও করণীয় বম জনগোষ্ঠীর তিন সদস্যের কারা মৃত্যু—বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও নিরপরাধ বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১৫৫ নাগরিকের বিবৃতি উন্নত দেশগুলোর জন্য কৃষিপণ্যের বাজার উন্মুক্ত করা কি সুবিবেচনার কাজ? এ.টি.এম. শামসুজ্জামান: অভিনয়ের কিংবদন্তি এক জীবনগাথা বাংলাদেশের চা উৎপাদন, বাড়তি স্থানীয় চাহিদা ও লাভজনকতা সুবিধা দিয়ে বাড়তি শুল্কে ছাড় পেল বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে জ্বালানি জোগাবে জরা ধরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৩)

সুবিধা দিয়ে বাড়তি শুল্কে ছাড় পেল বাংলাদেশ

সমকালের একটি শিরোনাম “সুবিধা দিয়ে বাড়তি শুল্কে ছাড় পেল বাংলাদেশ”

বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাল্টা শুল্ক’ শেষ পর্যন্ত ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে তৃতীয় দফার আলোচনার শেষ দিনে এবং ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছে বাণিজ্য চুক্তি করে। চুক্তিতে বাংলাদেশ কী কী সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। এটি নিশ্চিত, সে দেশ থেকে আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। নতুন শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও প্রস্তুতির জন্য আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে।

প্রথমে ৩৭ শতাংশ এবং পরে ৩৫ শতাংশ ঘোষণা করে আলোচনার সুযোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুধু বাংলাদেশ নয়, সবার ক্ষেত্রে একই কৌশল নেন তিনি। আলোচনার মধ্যেই বাণিজ্য সচিব জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দিয়েছে। অন্যদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ৫ বছরে ৩৫ লাখ টন গম কেনার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর আগে বাজেটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয় এমন প্রায় ১০০ পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়।

নতুন শুল্কহারকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সরকার মনে করছে, কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে বাড়তি শুল্ক কমানো সম্ভব হয়েছে। আর রপ্তানিকারকরা বলেছেন, বাড়তি ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা তাদের জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। আবার প্রতিযোগীদের সঙ্গে সমান বা কাছাকাছি এবং কারও কারও চেয়ে কম শুল্ক বাংলাদেশের ওপর কার্যকর হয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে পণ্যভিত্তিক শুল্কের সঙ্গে বাড়তি ২০ শতাংশ যোগ হলে ৩৫ শতাংশ হবে। আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি শুল্কে আমদানির ফলে মার্কিন ক্রেতা এবং স্থানীয় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমতে পারে। ফলে রপ্তানির ওপর চাপ আসতে পারে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: শেষ চড়াইয়ে জুলাই জাতীয় সনদ”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করতে চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের সংলাপ শেষে সনদ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোর মতামত ও স্বাক্ষর নেওয়ার কাজটুকুই এখন বাকি। তবে সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার কারণে শেষের এই কাজ যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে সমাধা হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

গত ২৮ জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া প্রকাশের পর থেকে এর বাস্তবায়নের পন্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কথা জানা যাচ্ছে। খসড়ায় সনদটি দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, যাতে অনাপত্তি জানিয়েছে বিএনপিসহ অনেক দল। বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলো মনে করে, আগামী জাতীয় সংসদে এই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল বলছে, নির্বাচনের আগে আইনি ভিত্তি ঠিক করার পাশাপাশি নির্বাচিত সরকার আসার আগেই সনদ বাস্তবায়নের উদ্যোগ শুরু করতে হবে। এই দলগুলো জুলাই সনদের খসড়ায় এটি বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা না থাকায় তাতে স্বাক্ষর না করারও হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে ৩১ জুলাই শেষ দিনের বৈঠকে সিপিবি, বাসদসহ চারটি বামপন্থী দল সংবিধানের মূলনীতি প্রসঙ্গে ভিন্নমত দিয়েছে। বিদ্যমান চার নীতি বাদ দিতে কমিশনের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বৈঠক বর্জন করেছে দলগুলো। কমিশনের প্রস্তাবে পরিবর্তন না এলে জুলাই সনদে তাদের স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা কম বলেও জানিয়ে দিয়েছে দল চারটি।

জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি গড়ায় রাজপথেও। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩০ ঘণ্টার বেশি রাজধানীর ব্যস্ত শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অবশ্য ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা’ দাবিদার আরেকটি পক্ষ সেই অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা করলে পুলিশ দুই পক্ষকে লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কাল সমাবেশের নগরী হবে ঢাকা”

আগামীকাল সমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে ঢাকা। এদিন রাজধানীর মূল প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে ছাত্র সমাবেশ ডেকেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একই সময়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দুই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। সমাবেশে বড় জমায়েত করে শক্তি দেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দু’পক্ষই। ইতিমধ্যে সমাবেশকে সামনে রেখে সারা দেশের নেতাকর্মীদের রাজধানীতে আসার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রদলের ভূমিকা, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বার্তা দেবে সংগঠনটি। ওদিকে, সমাবেশ থেকে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি।

ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাঠ দখল রাখতে চাইছে বিএনপি। ছাত্রদলের সমাবেশে লাখ লাখ নেতাকর্মীদের জমায়েত করে সেই শক্তি প্রদর্শন করতে চাচ্ছে দলটি। প্রতিনিয়তই জেলা, থানা, ওয়ার্ড এবং মহানগর নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলছে বৈঠক। ইতিমধ্যে সারা দেশে নেতাকর্মীদের ঢাকায় সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শক্তির বিশেষ বার্তা দিতে চায় ছাত্রদল। এরইমধ্যে এ কর্মসূচি পালনে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি’র হাইকমান্ড। সমাবেশকে সামনে রেখে গত বুধবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে সমাবেশ সফল করার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে সারা দেশের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন তারেক রহমান। সূত্র জানান, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছাত্র সমাবেশ করতে উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রদল। এজন্য জেলা, মহানগরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক গঠন করা হয়েছে প্রায় ৯০টি সাংগঠনিক টিম। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটিয়ে বড় শোডাউন করার পরিকল্পনা করছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির মানবজমিনকে বলেন, সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। এটি ছাত্রদলের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। সারা দেশের কয়েক লাখ নেতাকর্মী এই সমাবেশে যোগ দেবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে সারা দেশের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আগামীকাল রোববার বেলা ২টায় শাহবাগে ছাত্রদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া, সাবেক ছাত্র নেতারাও এই সমাবেশে অংশ নেবেন। একই সময়ে দুই জায়গায় সমাবেশকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে। সমাবেশে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এজন্য নেতাকর্মীদের ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রদল। সেগুলো হলো- ছাত্র সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসা যাবে না।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বছরে দুই লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হলেও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নেই বেশির ভাগই”

দেশে প্রতি বছর কওমি ও আলিয়া ধারার মাদ্রাসা থেকে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তবে আধুনিক কারিগরি ও পেশাভিত্তিক শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত। কেবল একটি ধারায় শিক্ষা নেয়া এসব গ্র্যাজুয়েটের সিংহভাগই থাকছেন বেকার, কিংবা বাধ্য হচ্ছেন অনানুষ্ঠানিক পেশায় যুক্ত হতে। অনেকে আবার নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই যুক্ত হচ্ছেন যৎসামান্য বেতনে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক কারিকুলামের অভাব, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা, কওমি ধারার সব স্তরের স্বীকৃতি না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তারা দেশের আনুষ্ঠানিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাই কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় না ঘটলে এসব শিক্ষার্থী আরো বেশি সংখ্যায় প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থান থেকে ছিটকে পড়বেন। হতাশা বাড়বে বিশাল এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা মো. আল-আমিন। ফাজিল (স্নাতক সমমান) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ২০২২ সালে। এরপর প্রায় তিন বছর চেষ্টা করেও আশানুরূপ চাকরি পাননি। বর্তমানে তিনি কৃষিপণ্যের ব্যবসা করছেন। মো. আল-আমিন বলেন, ‘সরকারি চাকরি অনেক সময়সাপেক্ষ হওয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের চেষ্টা করেছিলাম। বেশ কয়েকটিতে ভাইভাও দিয়েছি। কিন্তু কোথাও সুযোগ পাইনি। মাঝে আট মাস স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছি। তবে সেখানে বেতন অনেক কম ও অনিয়মিত ছিল। এসব কারণে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেছি।’

মো. আল-আমিন আরো বলেন,

‘আমাদের সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষা এখনো মূল স্রোতে চলতে পারছে না। আমি যেসব জায়গায় ভাইভা দিয়েছি, সেখানে নিয়োগকর্তাদের প্রশ্নের ধরন এবং কথাবার্তায় মনে হয়েছিল তারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বিষয়ে আস্থার ঘাটতিতে রয়েছেন। তাদের হয়তো ধারণা ছিল আমার স্নাতক সমমানের ডিগ্রি থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হওয়ায় দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রেড আলোচনা স্থবির, শুল্ক হুমকি বাড়ছে: যুক্তরাষ্ট্র–ভারত অংশীদারিত্বে টানাপোড়ন 

সুবিধা দিয়ে বাড়তি শুল্কে ছাড় পেল বাংলাদেশ

০৯:০০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সুবিধা দিয়ে বাড়তি শুল্কে ছাড় পেল বাংলাদেশ”

বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাল্টা শুল্ক’ শেষ পর্যন্ত ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে তৃতীয় দফার আলোচনার শেষ দিনে এবং ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছে বাণিজ্য চুক্তি করে। চুক্তিতে বাংলাদেশ কী কী সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। এটি নিশ্চিত, সে দেশ থেকে আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। নতুন শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও প্রস্তুতির জন্য আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে।

প্রথমে ৩৭ শতাংশ এবং পরে ৩৫ শতাংশ ঘোষণা করে আলোচনার সুযোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুধু বাংলাদেশ নয়, সবার ক্ষেত্রে একই কৌশল নেন তিনি। আলোচনার মধ্যেই বাণিজ্য সচিব জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দিয়েছে। অন্যদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ৫ বছরে ৩৫ লাখ টন গম কেনার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর আগে বাজেটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয় এমন প্রায় ১০০ পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়।

নতুন শুল্কহারকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সরকার মনে করছে, কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে বাড়তি শুল্ক কমানো সম্ভব হয়েছে। আর রপ্তানিকারকরা বলেছেন, বাড়তি ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা তাদের জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। আবার প্রতিযোগীদের সঙ্গে সমান বা কাছাকাছি এবং কারও কারও চেয়ে কম শুল্ক বাংলাদেশের ওপর কার্যকর হয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে পণ্যভিত্তিক শুল্কের সঙ্গে বাড়তি ২০ শতাংশ যোগ হলে ৩৫ শতাংশ হবে। আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি শুল্কে আমদানির ফলে মার্কিন ক্রেতা এবং স্থানীয় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমতে পারে। ফলে রপ্তানির ওপর চাপ আসতে পারে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: শেষ চড়াইয়ে জুলাই জাতীয় সনদ”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করতে চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের সংলাপ শেষে সনদ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোর মতামত ও স্বাক্ষর নেওয়ার কাজটুকুই এখন বাকি। তবে সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার কারণে শেষের এই কাজ যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে সমাধা হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

গত ২৮ জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া প্রকাশের পর থেকে এর বাস্তবায়নের পন্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কথা জানা যাচ্ছে। খসড়ায় সনদটি দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, যাতে অনাপত্তি জানিয়েছে বিএনপিসহ অনেক দল। বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলো মনে করে, আগামী জাতীয় সংসদে এই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল বলছে, নির্বাচনের আগে আইনি ভিত্তি ঠিক করার পাশাপাশি নির্বাচিত সরকার আসার আগেই সনদ বাস্তবায়নের উদ্যোগ শুরু করতে হবে। এই দলগুলো জুলাই সনদের খসড়ায় এটি বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা না থাকায় তাতে স্বাক্ষর না করারও হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে ৩১ জুলাই শেষ দিনের বৈঠকে সিপিবি, বাসদসহ চারটি বামপন্থী দল সংবিধানের মূলনীতি প্রসঙ্গে ভিন্নমত দিয়েছে। বিদ্যমান চার নীতি বাদ দিতে কমিশনের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বৈঠক বর্জন করেছে দলগুলো। কমিশনের প্রস্তাবে পরিবর্তন না এলে জুলাই সনদে তাদের স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা কম বলেও জানিয়ে দিয়েছে দল চারটি।

জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি গড়ায় রাজপথেও। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩০ ঘণ্টার বেশি রাজধানীর ব্যস্ত শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অবশ্য ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা’ দাবিদার আরেকটি পক্ষ সেই অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা করলে পুলিশ দুই পক্ষকে লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কাল সমাবেশের নগরী হবে ঢাকা”

আগামীকাল সমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে ঢাকা। এদিন রাজধানীর মূল প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে ছাত্র সমাবেশ ডেকেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একই সময়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দুই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। সমাবেশে বড় জমায়েত করে শক্তি দেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দু’পক্ষই। ইতিমধ্যে সমাবেশকে সামনে রেখে সারা দেশের নেতাকর্মীদের রাজধানীতে আসার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রদলের ভূমিকা, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বার্তা দেবে সংগঠনটি। ওদিকে, সমাবেশ থেকে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি।

ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাঠ দখল রাখতে চাইছে বিএনপি। ছাত্রদলের সমাবেশে লাখ লাখ নেতাকর্মীদের জমায়েত করে সেই শক্তি প্রদর্শন করতে চাচ্ছে দলটি। প্রতিনিয়তই জেলা, থানা, ওয়ার্ড এবং মহানগর নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলছে বৈঠক। ইতিমধ্যে সারা দেশে নেতাকর্মীদের ঢাকায় সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শক্তির বিশেষ বার্তা দিতে চায় ছাত্রদল। এরইমধ্যে এ কর্মসূচি পালনে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি’র হাইকমান্ড। সমাবেশকে সামনে রেখে গত বুধবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে সমাবেশ সফল করার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে সারা দেশের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন তারেক রহমান। সূত্র জানান, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছাত্র সমাবেশ করতে উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রদল। এজন্য জেলা, মহানগরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক গঠন করা হয়েছে প্রায় ৯০টি সাংগঠনিক টিম। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটিয়ে বড় শোডাউন করার পরিকল্পনা করছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির মানবজমিনকে বলেন, সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। এটি ছাত্রদলের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। সারা দেশের কয়েক লাখ নেতাকর্মী এই সমাবেশে যোগ দেবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে সারা দেশের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আগামীকাল রোববার বেলা ২টায় শাহবাগে ছাত্রদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া, সাবেক ছাত্র নেতারাও এই সমাবেশে অংশ নেবেন। একই সময়ে দুই জায়গায় সমাবেশকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে। সমাবেশে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এজন্য নেতাকর্মীদের ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রদল। সেগুলো হলো- ছাত্র সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসা যাবে না।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বছরে দুই লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হলেও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নেই বেশির ভাগই”

দেশে প্রতি বছর কওমি ও আলিয়া ধারার মাদ্রাসা থেকে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তবে আধুনিক কারিগরি ও পেশাভিত্তিক শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত। কেবল একটি ধারায় শিক্ষা নেয়া এসব গ্র্যাজুয়েটের সিংহভাগই থাকছেন বেকার, কিংবা বাধ্য হচ্ছেন অনানুষ্ঠানিক পেশায় যুক্ত হতে। অনেকে আবার নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই যুক্ত হচ্ছেন যৎসামান্য বেতনে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক কারিকুলামের অভাব, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা, কওমি ধারার সব স্তরের স্বীকৃতি না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তারা দেশের আনুষ্ঠানিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাই কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় না ঘটলে এসব শিক্ষার্থী আরো বেশি সংখ্যায় প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থান থেকে ছিটকে পড়বেন। হতাশা বাড়বে বিশাল এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা মো. আল-আমিন। ফাজিল (স্নাতক সমমান) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ২০২২ সালে। এরপর প্রায় তিন বছর চেষ্টা করেও আশানুরূপ চাকরি পাননি। বর্তমানে তিনি কৃষিপণ্যের ব্যবসা করছেন। মো. আল-আমিন বলেন, ‘সরকারি চাকরি অনেক সময়সাপেক্ষ হওয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের চেষ্টা করেছিলাম। বেশ কয়েকটিতে ভাইভাও দিয়েছি। কিন্তু কোথাও সুযোগ পাইনি। মাঝে আট মাস স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছি। তবে সেখানে বেতন অনেক কম ও অনিয়মিত ছিল। এসব কারণে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেছি।’

মো. আল-আমিন আরো বলেন,

‘আমাদের সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষা এখনো মূল স্রোতে চলতে পারছে না। আমি যেসব জায়গায় ভাইভা দিয়েছি, সেখানে নিয়োগকর্তাদের প্রশ্নের ধরন এবং কথাবার্তায় মনে হয়েছিল তারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বিষয়ে আস্থার ঘাটতিতে রয়েছেন। তাদের হয়তো ধারণা ছিল আমার স্নাতক সমমানের ডিগ্রি থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হওয়ায় দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।’