০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
ডিজনিতে ফিরছেন বিটিএসের জিমিন ও জাংকুক, আসছে ‘আর ইউ শিওর?!’ সিজন–২ স্নেক সাও-স্কেলড ভিপার: এক ভয়ঙ্কর সাপের জীবন এবং বৈশিষ্ট্য টেইলর শেরিডান কীভাবে টেলিভিশনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হিট–কারখানায় পরিণত হলেন মোবাইলে ক্রোমে এআই মোড আরও সহজ করল গুগল রোলিং স্টোন স্পেশাল ও ডিজে স্নেকের গানে একদিনেই তিন ফ্রন্ট খুলল স্ট্রে কিডস হরর-কমেডি ‘মেকিং আ ব্রাইডসমেইড’ শেষ, এখন স্ট্রিমিং বিক্রির পথে কেক বানানোর কৌশল: ঘরে বসেই নিখুঁত বেকিংয়ের গাইড লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্র্যান্ডে–এরিভোর চমক, ক্লাসিক ডুয়েটেই মাত করল হলিউড মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (অন্তিম পর্ব-৩৬৫) বলিউডের ‘হক’ মুক্তি, আলোচনায় বাস্তব মামলার অনুপ্রেরণা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)

ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ।

ওয়াইজ লিখেছেন, আদমশুমারিতে ডোমদের। সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। অনেক নিম্নবর্গের মানুষকে ডোমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৮৭২ সালের আদমশুমারিতে ঢাকায় ডোমদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৬৪১ জন, অথচ ওয়াইজের মতে, ঢাকায় তখন ডোম পরিবারের সংখ্যা খুব বেশি হলে ২০, মোট সংখ্যা প্রায় ১০০।

ঢাকায় জনশ্রুতি এই যে, নবাবি আমলে পাটনা থেকে ডোমদের আনা হয় মৃতদেহ সৎকারের জন্য। ডোমরা যে পূর্ববঙ্গে বহিরাগত এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। দেশে তারা জল্লাদের কাজ করতেন। এখনও মর্গে অনেক ক্ষেত্রে ডোমরাই কাজ করেন।

ডোম

ঢাকায় ডোমদের গুরু ভগবৎ, আবার একাংশ মানেন রাজা হরিশচন্দ্রকে। হরিশচন্দ্র নাকি তার ধন-সম্পদ ছেড়ে ডোমদের সঙ্গে থাকতেন এবং তাদের হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করেন। এদের প্রধান পূজা শ্রাবণী পূজা অনুষ্ঠিত হয় শ্রাবণ মাসে।

ডোমরা মাংসপ্রিয় তবে গরুর মাংস খান না। নিজেদের অনুষ্ঠানে মেয়েরা গান গাইলেও অন্যদের অনুষ্ঠানে যান না। হিন্দু সমাবেশে ডোম অদ্ভুত। ডোম থাকলে সবাই হয়ে যায় অপবিত্র। কিন্তু শ্বশানে ডোম উপস্থিত থাকলে জাত যায় না।’

ডোরিয়া

ডোরিয়া নামে মুঘল আমলে ঢাকায় তৈরি হতো এক ধরনের মসলিন যা অত সূক্ষ্ম ছিল না। ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জামা তৈরি জন্য ব্যবহার করা হতো।

(চলবে)

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিজনিতে ফিরছেন বিটিএসের জিমিন ও জাংকুক, আসছে ‘আর ইউ শিওর?!’ সিজন–২

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)

০৭:০০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ।

ওয়াইজ লিখেছেন, আদমশুমারিতে ডোমদের। সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। অনেক নিম্নবর্গের মানুষকে ডোমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৮৭২ সালের আদমশুমারিতে ঢাকায় ডোমদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৬৪১ জন, অথচ ওয়াইজের মতে, ঢাকায় তখন ডোম পরিবারের সংখ্যা খুব বেশি হলে ২০, মোট সংখ্যা প্রায় ১০০।

ঢাকায় জনশ্রুতি এই যে, নবাবি আমলে পাটনা থেকে ডোমদের আনা হয় মৃতদেহ সৎকারের জন্য। ডোমরা যে পূর্ববঙ্গে বহিরাগত এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। দেশে তারা জল্লাদের কাজ করতেন। এখনও মর্গে অনেক ক্ষেত্রে ডোমরাই কাজ করেন।

ডোম

ঢাকায় ডোমদের গুরু ভগবৎ, আবার একাংশ মানেন রাজা হরিশচন্দ্রকে। হরিশচন্দ্র নাকি তার ধন-সম্পদ ছেড়ে ডোমদের সঙ্গে থাকতেন এবং তাদের হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করেন। এদের প্রধান পূজা শ্রাবণী পূজা অনুষ্ঠিত হয় শ্রাবণ মাসে।

ডোমরা মাংসপ্রিয় তবে গরুর মাংস খান না। নিজেদের অনুষ্ঠানে মেয়েরা গান গাইলেও অন্যদের অনুষ্ঠানে যান না। হিন্দু সমাবেশে ডোম অদ্ভুত। ডোম থাকলে সবাই হয়ে যায় অপবিত্র। কিন্তু শ্বশানে ডোম উপস্থিত থাকলে জাত যায় না।’

ডোরিয়া

ডোরিয়া নামে মুঘল আমলে ঢাকায় তৈরি হতো এক ধরনের মসলিন যা অত সূক্ষ্ম ছিল না। ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জামা তৈরি জন্য ব্যবহার করা হতো।

(চলবে)