০১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাকযুদ্ধের বিএমডব্লিউ ক্যাব্রিওলেট পেবল বিচে গৌরব, ইতিহাসের গাড়িতে মঞ্চ জয় বয়স্কদের ওষুধের অতিভার: একসঙ্গে আটটির বেশি ওষুধে বাড়ছে মাথাঘুরে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছুটিতে পরিবারের প্রযুক্তি ঝামেলা কমানোর সহজ কৌশল চীনের প্রযুক্তি উত্থান, অর্থনীতির ভেতরে গভীর ফাটল বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ নতুন ড্রোন মডেলে নিষেধাজ্ঞা আরও কড়াকড়ি যুক্তরাষ্ট্রে, তালিকায় ডিজেআইসহ সব বিদেশি ড্রোন জবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন: নারী-বান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে জেসিডির ১৩ দফা ইশতেহার ক্রীড়াপ্রেমী প্রকৌশলী মাসুদ হাসান জামালীর ইন্তেকাল বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কে রাজনীতির ঊর্ধ্বে বাণিজ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে ঢাকা: ড. সালেহউদ্দিন

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)

ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ।

ওয়াইজ লিখেছেন, আদমশুমারিতে ডোমদের। সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। অনেক নিম্নবর্গের মানুষকে ডোমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৮৭২ সালের আদমশুমারিতে ঢাকায় ডোমদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৬৪১ জন, অথচ ওয়াইজের মতে, ঢাকায় তখন ডোম পরিবারের সংখ্যা খুব বেশি হলে ২০, মোট সংখ্যা প্রায় ১০০।

ঢাকায় জনশ্রুতি এই যে, নবাবি আমলে পাটনা থেকে ডোমদের আনা হয় মৃতদেহ সৎকারের জন্য। ডোমরা যে পূর্ববঙ্গে বহিরাগত এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। দেশে তারা জল্লাদের কাজ করতেন। এখনও মর্গে অনেক ক্ষেত্রে ডোমরাই কাজ করেন।

ডোম

ঢাকায় ডোমদের গুরু ভগবৎ, আবার একাংশ মানেন রাজা হরিশচন্দ্রকে। হরিশচন্দ্র নাকি তার ধন-সম্পদ ছেড়ে ডোমদের সঙ্গে থাকতেন এবং তাদের হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করেন। এদের প্রধান পূজা শ্রাবণী পূজা অনুষ্ঠিত হয় শ্রাবণ মাসে।

ডোমরা মাংসপ্রিয় তবে গরুর মাংস খান না। নিজেদের অনুষ্ঠানে মেয়েরা গান গাইলেও অন্যদের অনুষ্ঠানে যান না। হিন্দু সমাবেশে ডোম অদ্ভুত। ডোম থাকলে সবাই হয়ে যায় অপবিত্র। কিন্তু শ্বশানে ডোম উপস্থিত থাকলে জাত যায় না।’

ডোরিয়া

ডোরিয়া নামে মুঘল আমলে ঢাকায় তৈরি হতো এক ধরনের মসলিন যা অত সূক্ষ্ম ছিল না। ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জামা তৈরি জন্য ব্যবহার করা হতো।

(চলবে)

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকযুদ্ধের বিএমডব্লিউ ক্যাব্রিওলেট পেবল বিচে গৌরব, ইতিহাসের গাড়িতে মঞ্চ জয়

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)

০৭:০০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ।

ওয়াইজ লিখেছেন, আদমশুমারিতে ডোমদের। সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। অনেক নিম্নবর্গের মানুষকে ডোমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৮৭২ সালের আদমশুমারিতে ঢাকায় ডোমদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৬৪১ জন, অথচ ওয়াইজের মতে, ঢাকায় তখন ডোম পরিবারের সংখ্যা খুব বেশি হলে ২০, মোট সংখ্যা প্রায় ১০০।

ঢাকায় জনশ্রুতি এই যে, নবাবি আমলে পাটনা থেকে ডোমদের আনা হয় মৃতদেহ সৎকারের জন্য। ডোমরা যে পূর্ববঙ্গে বহিরাগত এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। দেশে তারা জল্লাদের কাজ করতেন। এখনও মর্গে অনেক ক্ষেত্রে ডোমরাই কাজ করেন।

ডোম

ঢাকায় ডোমদের গুরু ভগবৎ, আবার একাংশ মানেন রাজা হরিশচন্দ্রকে। হরিশচন্দ্র নাকি তার ধন-সম্পদ ছেড়ে ডোমদের সঙ্গে থাকতেন এবং তাদের হিন্দুধর্মে দীক্ষিত করেন। এদের প্রধান পূজা শ্রাবণী পূজা অনুষ্ঠিত হয় শ্রাবণ মাসে।

ডোমরা মাংসপ্রিয় তবে গরুর মাংস খান না। নিজেদের অনুষ্ঠানে মেয়েরা গান গাইলেও অন্যদের অনুষ্ঠানে যান না। হিন্দু সমাবেশে ডোম অদ্ভুত। ডোম থাকলে সবাই হয়ে যায় অপবিত্র। কিন্তু শ্বশানে ডোম উপস্থিত থাকলে জাত যায় না।’

ডোরিয়া

ডোরিয়া নামে মুঘল আমলে ঢাকায় তৈরি হতো এক ধরনের মসলিন যা অত সূক্ষ্ম ছিল না। ডোরা কাটা মসলিনকে বলা হতো ডোরিয়া। ডোরিয়া লম্বায় ছিল দশ থেকে বারো গজের মতো আর চওড়ায় এক গজ। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জামা তৈরি জন্য ব্যবহার করা হতো।

(চলবে)