০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: মোদিকে চীনের বিজয় প্যারেডে যাওয়ার আহ্বান, ভারতে তার প্রভাব

উপস্থিতির প্রেক্ষাপট

বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী সেপ্টেম্বরের তৃতীয় দিনে বেইজিংয়ে চীনের বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একজন ইতিহাসবিদ অনুরোধ করেছেন। এ ধরনের উপস্থিতি চীন, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা যেতে পারত, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন বাস্তবে মোদির সেখানে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম।

প্রস্তাবনা ও যুক্তি

বিশ্বের দক্ষিণের গবেষণা নেটওয়ার্ক ট্রাইকন্টিনেন্টাল: ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল রিসার্চ-এর পরিচালক বিজয় প্রশাদ সম্প্রতি একটি লাইভ শোতে বলেছেন যে তিনি দৃঢ়ভাবে চান মোদি ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে উপস্থিত হয়ে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে একত্রিত হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির স্মরণে অংশ নিন। প্রশাদ বলেন, চীন, ভারত ও রাশিয়া একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে পারে এবং সম্পর্কগুলো এমনভাবে পরিচালনা করে, রাশিয়ার সহায়তাকে কাজে লাগিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ফারাকগুলো কার্যকরভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

সীমান্ত বিবাদ ও সমাধানের প্রসঙ্গ

প্রশাদ ভারত-চীন সীমান্ত বিবাদকে একটি রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখেছেন যা সমাধানযোগ্য। তার মতে, আদর্শভাবে ঐক্য ও কূটনীতির মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠা যায় যদি বড় শক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও মধ্যস্থতায় মনোযোগ দেওয়া হয়। তিনি সীমান্তকে যুদ্ধ বা একপাক্ষিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, আলোচনা ও রূপান্তরের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখতে বলেছেন।

সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া ও বাস্তবতা

অবশ্য পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক চীন-ভারত সম্পর্কের কিছু শীতলতা কাটিয়ে ওঠার পরেও মোদি ওই কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন এমন সম্ভাবনা খুব কম। রাজনৈতিক বাস্তবতা, অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া এবং ভারতীয় জনমতকে বিবেচনায় নিয়ে দেখা যায় যে, তৃতীয় কোনো দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে—বিশেষত যেখানে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে দৃশ্যমান সমঝোতার ইঙ্গিত থাকে—যোগদান ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের জন্য জটিলতা তৈরি করতে পারে।

বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে মোদির উপস্থিতি হলে তা চীন-ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে একটি নতুন দৃশ্যে উপস্থাপন করতে পারত। তবুও সীমান্ত বিবাদ, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ এবং সূক্ষ্ম কূটনৈতিক হিসাব নিকাশের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে তার সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে হচ্ছে। যোগদানের ক্ষেত্রে বাস্তবতা এবং কল্পনার সীমা কোথায় শেষ হয়, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: মোদিকে চীনের বিজয় প্যারেডে যাওয়ার আহ্বান, ভারতে তার প্রভাব

০৩:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

উপস্থিতির প্রেক্ষাপট

বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী সেপ্টেম্বরের তৃতীয় দিনে বেইজিংয়ে চীনের বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একজন ইতিহাসবিদ অনুরোধ করেছেন। এ ধরনের উপস্থিতি চীন, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা যেতে পারত, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন বাস্তবে মোদির সেখানে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম।

প্রস্তাবনা ও যুক্তি

বিশ্বের দক্ষিণের গবেষণা নেটওয়ার্ক ট্রাইকন্টিনেন্টাল: ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল রিসার্চ-এর পরিচালক বিজয় প্রশাদ সম্প্রতি একটি লাইভ শোতে বলেছেন যে তিনি দৃঢ়ভাবে চান মোদি ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে উপস্থিত হয়ে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে একত্রিত হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির স্মরণে অংশ নিন। প্রশাদ বলেন, চীন, ভারত ও রাশিয়া একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে পারে এবং সম্পর্কগুলো এমনভাবে পরিচালনা করে, রাশিয়ার সহায়তাকে কাজে লাগিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ফারাকগুলো কার্যকরভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

সীমান্ত বিবাদ ও সমাধানের প্রসঙ্গ

প্রশাদ ভারত-চীন সীমান্ত বিবাদকে একটি রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখেছেন যা সমাধানযোগ্য। তার মতে, আদর্শভাবে ঐক্য ও কূটনীতির মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠা যায় যদি বড় শক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও মধ্যস্থতায় মনোযোগ দেওয়া হয়। তিনি সীমান্তকে যুদ্ধ বা একপাক্ষিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, আলোচনা ও রূপান্তরের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখতে বলেছেন।

সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া ও বাস্তবতা

অবশ্য পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক চীন-ভারত সম্পর্কের কিছু শীতলতা কাটিয়ে ওঠার পরেও মোদি ওই কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন এমন সম্ভাবনা খুব কম। রাজনৈতিক বাস্তবতা, অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া এবং ভারতীয় জনমতকে বিবেচনায় নিয়ে দেখা যায় যে, তৃতীয় কোনো দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে—বিশেষত যেখানে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে দৃশ্যমান সমঝোতার ইঙ্গিত থাকে—যোগদান ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের জন্য জটিলতা তৈরি করতে পারে।

বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে মোদির উপস্থিতি হলে তা চীন-ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে একটি নতুন দৃশ্যে উপস্থাপন করতে পারত। তবুও সীমান্ত বিবাদ, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ এবং সূক্ষ্ম কূটনৈতিক হিসাব নিকাশের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে তার সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে হচ্ছে। যোগদানের ক্ষেত্রে বাস্তবতা এবং কল্পনার সীমা কোথায় শেষ হয়, তা এখনো স্পষ্ট নয়।