বাংলাদেশি তরুণরা এখন ডিজিটাল ডিজাইন দিয়ে আয় করছে। । স্টিকার প্যাক থেকে শুরু করে বাজেট টেমপ্লেট পর্যন্ত—তারা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এসব ডাউনলোডযোগ্য হস্তশিল্প বিক্রি করছে এবং নিজেদের খরচ চালাচ্ছে।
ছবি আঁকা থেকে ইনকামের পথে

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়া রহমান ট্যাবলেটে আঁকা নিজের ডিজিটাল স্টিকার বন্ধুবান্ধবের প্রশংসা পাওয়ার পর Etsy-তে বিক্রি শুরু করেন। ছয় মাসের মধ্যেই তার শপে ১,০০০-এর বেশি ফলোয়ার যুক্ত হয় এবং সেই আয়েই এখন তার সফটওয়্যার ও ইন্টারনেট খরচ মেটানো সম্ভব হয়।
কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট সাদ খান নিজের খরচ ট্র্যাক করার এক্সেল স্প্রেডশিটকে কাস্টমাইজযোগ্য টেমপ্লেটে রূপান্তর করে ফেসবুক গ্রুপে বিক্রি শুরু করেন। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ৩০,০০০ টাকার বেশি আয় করেছেন।
যেসব প্ল্যাটফর্ম তরুণদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে
তরুণ উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ক্রেতা পৌঁছাতে বিভিন্ন মার্কেটপ্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন—
-
• ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক শপস: অল্প খরচে অনলাইন স্টোর খোলা যায় এবং bKash ও Nagad-এর মাধ্যমে সহজে লেনদেন করা যায়।

-
• দারাজের ডিজিটাল স্টোরফ্রন্ট ও ফেসবুক গ্রুপ: দেশের অভ্যন্তরে পণ্য বিক্রির সুযোগ দেয়, কোনো আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার ঝামেলা ছাড়াই।
বাংলাদেশি বিক্রেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট অপশন সীমিত হওয়ায় বৈদেশিক বিক্রি প্রায়ই থেমে যায়। অনেকেই বিদেশে থাকা বন্ধু বা তৃতীয় পক্ষের সাহায্যে লেনদেন করেন, ফলে লাভের পরিমাণ কমে যায়।
রিয়া, সাদ এবং তাদের মতো আরও অনেকের জন্য, এই DIY ডিজিটাল হস্তশিল্প শুধুমাত্র একটি পার্ট-টাইম ইনকাম নয়—এটি ভবিষ্যতের ডিজিটাল স্টুডিও বা টেক স্টার্টআপের প্রাথমিক ধাপ। এই সাফল্য ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশে একটি সৃজনশীল ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতির নতুন ধারা তৈরি হচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















