সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতীয় রুপি ২৩.৯ দিরহাম ছুঁয়েছে, যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গড়া ২৩.৯৩-এর রেকর্ডের প্রায় সমান। এর ফলে প্রবাসী ভারতীয়রা বাড়তি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সর্বোচ্চ লাভের সুযোগ পাচ্ছেন।
রুপির হঠাৎ পতন: বর্তমান রেট
- • বেশ কয়েক মাস ২৩.৩–২৩.৪ দিরহাম পর্যায়ে স্থিতিশীল থাকার পর রুপি হঠাৎ ২৩.৯ দিরহামে নেমে এসেছে।
- • আমিরাতের এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো ইতিমধ্যে প্রতি দিরহামে ২৩.৮০-এরও বেশি ক্রয়দর অফার করছে।
- • মাস শেষের বেতন পর্ব চলায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
পতনের প্রধান কারণ
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য উত্তেজনা
যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বসিয়েছে, ফলে বাজারে অনিশ্চয়তা বেড়েছে।
বৈদেশিক বিনিয়োগের টানাপোড়েন
বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তুলে নিচ্ছেন; তহবিল প্রবাহ কমেছে।
![]()
মজবুত মার্কিন ডলার
শক্তিশালী অর্থনৈতিক সূচকে ডলার সূচক বহু-সপ্তাহের উচ্চতায় উঠেছে, অন্যান্য মুদ্রা দুর্বল হয়েছে।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ইস্যুতে শাস্তিমূলক ঝুঁকি
সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনিশ্চয়তা রুপির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
আমদানি বিল মেটাতে ডলারের চাহিদা
ভারতীয় আমদানিকারকেরা বেশি ডলার কিনছেন, ফলে রুপির মান আরও পড়ছে।
আরও দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অনিশ্চয়তা দূর না হলে বা বৈদেশিক মূলধন ফিরে না এলে রুপি আরও কমতে পারে। ২৩.৯ স্তরটি কাছাকাছি সময়ে টিকে থাকলেও নতুন রেকর্ড নিম্নমানে পৌঁছানোর ঝুঁকি থেকেই যায়।

রেমিট্যান্স পাঠাবেন এখনই, নাকি অপেক্ষা করবেন?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা কৌশলবিদদের ধারণা, বর্তমান দরই সাম্প্রতিক পতনের সর্বোচ্চ সুবিধা দিচ্ছে। সামান্য পুনরুদ্ধার হলেও বাড়তি লাভ মিলবে না। এলকেপি সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক যতীন ত্রিবেদী বলেন, ‘রুপি সামান্য ঘুরে দাঁড়ালেই লাভ কমে যাবে। বুধবারের আরবিআই নীতিনির্ধারণী বৈঠক বাজারে নতুন অস্থিরতা আনতে পারে।’
সংক্ষিপ্ত তথ্যছক
- • বর্তমান রেট: ১ দিরহাম = ২৩.৯ রুপি
- • রেকর্ড নিম্ন: ২৩.৯৩ (ফেব্রুয়ারি ২০২৫)
- • মূল চালিকা শক্তি: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক, শক্তিশালী ডলার, বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার
- • বিশেষজ্ঞ মত: এখনই রেমিট্যান্স পাঠানো সবচেয়ে লাভজনক
- • পরবর্তী ট্রিগার: বুধবারের আরবিআই নীতিগত সিদ্ধান্ত
রুপি-দিরহাম বিনিময়হার রেকর্ড নিম্নসীমার দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে। আমিরাত-প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য এটি বিরল লাভের সুযোগ। অনিশ্চয়তা থাকলেও সাময়িক সুফল পেতে এখনই রেমিট্যান্স পাঠানো অধিক যৌক্তিক বলে বিশেষজ্ঞেরা মত দিচ্ছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















