০৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনে কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ বিজিএমইএর সাধারণ মানুষের সচেতনতাই ডিজিটাল ভূমিসেবার সাফল্য: সিনিয়র সচিব মানবাধিকার সংগঠনের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে সংকুচিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিসর শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি, দাবি না মানলে লং মার্চের ঘোষণা গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই অন্তত ১০টি বসতঘর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উত্তপ্ত বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা আইসিসিআরের দিগন্ত সিরিজে সংগীতের সন্ধ্যা কলকাতায় বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক কমাতে বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করল জাপান চব্বিশ সেকেন্ডে উনত্রিশ গুলি, আত্মরক্ষার দাবি ঘিরে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে মার্কোস জুনিয়র ২০২৫ সালে কোনোমতে টিকে ছিলেন। ২০২৬ সালে কি তিনি পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে পাবেন?

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৬৩)

অনেক পণ্ডিত মনে করেন একহাজার গ্রীষ্টপূর্বাব্দেচীনে বীজগণিতের চর্চা ছিল।

ইউফ্রেতিস ও তাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী অর্ধচন্দ্রাকার স্থলভাগের অধিবাসী ব্যাবিলনীয়রা বীজগণিতের প্রথম যুগে বীজগণিত সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেছেন। নিনেভ, আসুর, নিপ্লব প্রভৃতি স্থান খনন করে যে সব মাটির চাকতি পাওয়া গিয়েছে, তাতেই দেখা গিয়েছে এই সব নিদর্শন। দৃষ্টান্তস্বরূপ মাটির চাকতি থেকে একটি উদাহরণ তুলে ধরছি।

আমি একটি পাথর দেখলাম কিন্তু ওজন করলাম না। অতঃপর আমি ১/৭ অংশ বিয়োগ করি, (এবং) ১৬ অংশ বিয়োগ করি। আমি ওজন করলাম (ইহাকে), ১ মা-ন, পাথরটির মূল ওজন কত ?

উত্তর: “পাথরটির মূল ওজন ১ মা-ন ১২ গিন এবং ২২ সে।” আধুনিক বীজগণিতের ভাষায় লিখলে দাঁড়ায়-

সমাধান-
x = 1 মা-ন+91 + 2 1/2 G = 1, 9 ; 30,50 গিন

এছাড়াও পণ্ডিতেরা মাটির চাকতি পড়ে মত দিয়েছেন যে, ব্যাবিলনবাসীরা বীজগণিতের সাহায্যে এক ঘাত, দ্বিঘাত ও সহ সমীকরণের সমাধান করতে পারতেন।

চীনদেশে ঠিক কবে থেকে বীজগণিত চর্চা শুরু হয়েছিল তা বলা কঠিন।

অনেক পণ্ডিত মনে করেন একহাজার গ্রীষ্টপূর্বাব্দেচীনে বীজগণিতের চর্চা ছিল। য়োশিও মিকামী প্রমুখ গণিত ঐতিহাসিকেরা বলেন, চ্যাঙ্গ ৎসাহ্ত্র লিখিত কিউ চ্যাঙ্গ সুয়ান সু গ্রন্থে বীজগণিতের কিছু কিছু উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়। দৃষ্টান্তস্বরূপ তাঁরা এই গ্রন্থের কোন এক স্থান থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে,এই দুটি সমীকরণের সমাধান এই গ্রন্থে দেখতে পাওয়া যায় এবং এই পদ্ধতিকে চি চু (chih chhu) বলা হয়।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৬২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৬২)

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনে কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ বিজিএমইএর

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৬৩)

০৩:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

অনেক পণ্ডিত মনে করেন একহাজার গ্রীষ্টপূর্বাব্দেচীনে বীজগণিতের চর্চা ছিল।

ইউফ্রেতিস ও তাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী অর্ধচন্দ্রাকার স্থলভাগের অধিবাসী ব্যাবিলনীয়রা বীজগণিতের প্রথম যুগে বীজগণিত সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেছেন। নিনেভ, আসুর, নিপ্লব প্রভৃতি স্থান খনন করে যে সব মাটির চাকতি পাওয়া গিয়েছে, তাতেই দেখা গিয়েছে এই সব নিদর্শন। দৃষ্টান্তস্বরূপ মাটির চাকতি থেকে একটি উদাহরণ তুলে ধরছি।

আমি একটি পাথর দেখলাম কিন্তু ওজন করলাম না। অতঃপর আমি ১/৭ অংশ বিয়োগ করি, (এবং) ১৬ অংশ বিয়োগ করি। আমি ওজন করলাম (ইহাকে), ১ মা-ন, পাথরটির মূল ওজন কত ?

উত্তর: “পাথরটির মূল ওজন ১ মা-ন ১২ গিন এবং ২২ সে।” আধুনিক বীজগণিতের ভাষায় লিখলে দাঁড়ায়-

সমাধান-
x = 1 মা-ন+91 + 2 1/2 G = 1, 9 ; 30,50 গিন

এছাড়াও পণ্ডিতেরা মাটির চাকতি পড়ে মত দিয়েছেন যে, ব্যাবিলনবাসীরা বীজগণিতের সাহায্যে এক ঘাত, দ্বিঘাত ও সহ সমীকরণের সমাধান করতে পারতেন।

চীনদেশে ঠিক কবে থেকে বীজগণিত চর্চা শুরু হয়েছিল তা বলা কঠিন।

অনেক পণ্ডিত মনে করেন একহাজার গ্রীষ্টপূর্বাব্দেচীনে বীজগণিতের চর্চা ছিল। য়োশিও মিকামী প্রমুখ গণিত ঐতিহাসিকেরা বলেন, চ্যাঙ্গ ৎসাহ্ত্র লিখিত কিউ চ্যাঙ্গ সুয়ান সু গ্রন্থে বীজগণিতের কিছু কিছু উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়। দৃষ্টান্তস্বরূপ তাঁরা এই গ্রন্থের কোন এক স্থান থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে,এই দুটি সমীকরণের সমাধান এই গ্রন্থে দেখতে পাওয়া যায় এবং এই পদ্ধতিকে চি চু (chih chhu) বলা হয়।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৬২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৬২)