১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

বিজিবির কাছে আরও আরাকান সেনার আত্মসমর্পণের আভাস

সমকালের একটি শিরোনাম “বিজিবির কাছে আরও আরাকান সেনার আত্মসমর্পণের আভাস”

মিয়ানমারকেন্দ্রিক সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির একজন যোদ্ধা অস্ত্রসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আত্মসমর্পণের পর কক্সবাজারের উখিয়া থানায় মামলা হয়েছে। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন আরাকান আর্মির অস্ত্রধারী একজন সদস্য সংঘাতময় এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন।

গতকাল মঙ্গলবার সীমান্তসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র সমকালকে বলেছে, আরাকান আর্মির ভেতরের পরিস্থিতিতে ছোটখাটো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আরাকান আর্মির দখল করা রাখাইনেও কিছু মেরূকরণ হচ্ছে। তবে সেটা এখনই বড় মাত্রার বদল নয়। আরাকান আর্মির আরও সদস্যের আত্মসমর্পণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক ধরনের নতুন নীতির কিছু বহিঃপ্রকাশ সম্প্রতি স্পষ্ট হচ্ছে। সামরিক জান্তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অস্ত্র ব্যবসায়ী কয়েকটি সংস্থার ওপর থেকে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিজিবির ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধীন বালুখালী বিওপির ৫ নম্বর পোস্টে আরাকান আর্মির এক সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর নাম জীবন তঞ্চংগ্যা (২১)। তাঁর কাছ থেকে একে-৪৭ রাইফেল, ৫২টি গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জীবন বিজিবিকে জানান, তাঁর বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গর্জবুনিয়া গ্রামে। বাবার নাম চিংমং তঞ্চংগ্যা। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে মিয়ানমারের মংডুতে আরাকান আর্মির ক্যাম্প থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। আরও ৩০০ আরাকান আর্মির সদস্য ক্যাম্প থেকে পালিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল বিজিবির ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘আত্মসমর্পণকারী আরাকান আর্মির সদস্য জীবনকে ও তাঁর কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র উখিয়া থানায় দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জীবন দাবি করেছেন, নিরাপত্তা শঙ্কা ছাড়াও যে মোটিভেশন দিয়ে তাঁকে নেওয়া হয়েছে, সেখানে ধাক্কা খেয়েছেন। এটা সংঘাতময় পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ার একটা প্রভাব হতে পারে।’

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘অস্ত্র মামলায় হেফাজতে এনে জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কীভাবে কার মাধ্যমে সে এই চক্রে জড়াল, তা বের করব আমরা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন”

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। দেশের ২০২৪ সালের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, ছাত্র আন্দোলন এবং ব্যাপক সহিংসতায় শত শত মানুষের মৃত্যুর পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকার দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সাবেক সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্তে কাজ শুরু করেছে।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড

সাবেক সরকারের অধীনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বেআইনিভাবে মানুষ হত্যার অসংখ্য অভিযোগ ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর অক্টোবর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্র, শিশু, রাজনৈতিক কর্মী, শ্রমিক ও পুলিশসহ অন্তত ৯৮৬ জন নিহত হয়েছেন।

ছাত্রদের সমন্বয়কারী সংগঠন ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন’-এর তথ্যমতে, এই সময়ে ১ হাজার ৪২৩ জন নিহত এবং ২২ হাজার জন আহত হয়েছেন। নিহতদের ৭৭ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং ৭০ শতাংশের বয়স ছিল ৩০ বছরের নিচে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৪ সেপ্টেম্বর একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে ৭০৮ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয় এবং জনসাধারণের কাছে আরও সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানানো হয়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার

সাবেক সরকারের অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ ছিল। সাংবাদিক ও ব্লগাররা হয়রানি ও মামলার ভয়ে স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপে ভুগছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ব্যবহার করে সরকারের সমালোচনাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা করা হয়েছিল।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষে ৭১ শতাংশ মানুষ”

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি বা পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন চান দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ। আর একই ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে না পারার বিধানের পক্ষে ৮৯ শতাংশ। এছাড়া ৮৭ শতাংশ মানুষ চান না একই ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করুক।

বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) এক জনমত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণে জনমত যাচাইয়ের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের এ ফল তুলে ধরে সুজন।

গত মে ও জুলাইয়ে দেশের ৬৪টি জেলায় জনমত জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে ১ হাজার ৩৭৩ জন অংশ নেন। যাদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৩৩ জন, নারী ৩৩৫ ও তৃতীয় লিঙ্গের পাঁচজন।

জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ মানুষ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটের ওপর নির্ভর করে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন চান ৭১ শতাংশ মানুষ। বিরোধী দল থেকে নিম্নকক্ষে একজন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে মত ৮৬ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে নারী আসন সংরক্ষণ চান ৬৩ শতাংশ মানুষ। পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা, দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা ও পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যথাযথ নিষ্পত্তির জন্য স্থায়ী স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন চান ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। সংসদের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে সংবিধান সংশোধন চান ৮৫ শতাংশ মানুষ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা দেখছে বিএনপি”

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। তারপরও নির্বাচন বানচালের যড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন বানচালে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। নির্বাচন পেছাতে পরিকল্পিতভাবে নানা ইস্যু সামনে আনছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের আগে সংস্কার বাস্তবায়ন, জুলাই সনদ কার্যকর, পিআর (আনুপাতিক হার) পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবিসহ একের পর এক ইস্যু তৈরি করছেন তারা। বিএনপি’র নেতারা জানান, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি তুলছে। তারা বলছেন, সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাবও নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। পার্শ্ববর্তী একটি দেশও বাংলাদেশের নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন নেতারা। ওদিকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপত্তি না থাকলেও দৃশ্যমান বিচার এবং সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচনের কথা বলেছে জামায়াত। অন্যদিকে জুলাই সনদ কার্যকর ও সংস্কার বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছে এনসিপি। এসব কারণ নির্বাচন বিলম্ব করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি। এ ছাড়া পতিত আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের দোসররাও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা। গত সোমবার এক বক্তৃতায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশ যাতে গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে আসতে না পারে এবং মানুষের ভোটের অধিকার যাতে বাস্তবায়িত হতে না পারে- সেটাকে ভণ্ডুল করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজিবির কাছে আরও আরাকান সেনার আত্মসমর্পণের আভাস

০৯:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “বিজিবির কাছে আরও আরাকান সেনার আত্মসমর্পণের আভাস”

মিয়ানমারকেন্দ্রিক সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির একজন যোদ্ধা অস্ত্রসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আত্মসমর্পণের পর কক্সবাজারের উখিয়া থানায় মামলা হয়েছে। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন আরাকান আর্মির অস্ত্রধারী একজন সদস্য সংঘাতময় এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন।

গতকাল মঙ্গলবার সীমান্তসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র সমকালকে বলেছে, আরাকান আর্মির ভেতরের পরিস্থিতিতে ছোটখাটো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আরাকান আর্মির দখল করা রাখাইনেও কিছু মেরূকরণ হচ্ছে। তবে সেটা এখনই বড় মাত্রার বদল নয়। আরাকান আর্মির আরও সদস্যের আত্মসমর্পণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক ধরনের নতুন নীতির কিছু বহিঃপ্রকাশ সম্প্রতি স্পষ্ট হচ্ছে। সামরিক জান্তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অস্ত্র ব্যবসায়ী কয়েকটি সংস্থার ওপর থেকে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিজিবির ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধীন বালুখালী বিওপির ৫ নম্বর পোস্টে আরাকান আর্মির এক সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর নাম জীবন তঞ্চংগ্যা (২১)। তাঁর কাছ থেকে একে-৪৭ রাইফেল, ৫২টি গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জীবন বিজিবিকে জানান, তাঁর বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গর্জবুনিয়া গ্রামে। বাবার নাম চিংমং তঞ্চংগ্যা। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে মিয়ানমারের মংডুতে আরাকান আর্মির ক্যাম্প থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। আরও ৩০০ আরাকান আর্মির সদস্য ক্যাম্প থেকে পালিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল বিজিবির ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘আত্মসমর্পণকারী আরাকান আর্মির সদস্য জীবনকে ও তাঁর কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র উখিয়া থানায় দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জীবন দাবি করেছেন, নিরাপত্তা শঙ্কা ছাড়াও যে মোটিভেশন দিয়ে তাঁকে নেওয়া হয়েছে, সেখানে ধাক্কা খেয়েছেন। এটা সংঘাতময় পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ার একটা প্রভাব হতে পারে।’

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘অস্ত্র মামলায় হেফাজতে এনে জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কীভাবে কার মাধ্যমে সে এই চক্রে জড়াল, তা বের করব আমরা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন”

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। দেশের ২০২৪ সালের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, ছাত্র আন্দোলন এবং ব্যাপক সহিংসতায় শত শত মানুষের মৃত্যুর পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকার দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সাবেক সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্তে কাজ শুরু করেছে।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড

সাবেক সরকারের অধীনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বেআইনিভাবে মানুষ হত্যার অসংখ্য অভিযোগ ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর অক্টোবর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্র, শিশু, রাজনৈতিক কর্মী, শ্রমিক ও পুলিশসহ অন্তত ৯৮৬ জন নিহত হয়েছেন।

ছাত্রদের সমন্বয়কারী সংগঠন ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন’-এর তথ্যমতে, এই সময়ে ১ হাজার ৪২৩ জন নিহত এবং ২২ হাজার জন আহত হয়েছেন। নিহতদের ৭৭ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং ৭০ শতাংশের বয়স ছিল ৩০ বছরের নিচে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৪ সেপ্টেম্বর একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে ৭০৮ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয় এবং জনসাধারণের কাছে আরও সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানানো হয়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার

সাবেক সরকারের অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ ছিল। সাংবাদিক ও ব্লগাররা হয়রানি ও মামলার ভয়ে স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপে ভুগছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ব্যবহার করে সরকারের সমালোচনাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা করা হয়েছিল।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষে ৭১ শতাংশ মানুষ”

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি বা পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন চান দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ। আর একই ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে না পারার বিধানের পক্ষে ৮৯ শতাংশ। এছাড়া ৮৭ শতাংশ মানুষ চান না একই ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করুক।

বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) এক জনমত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণে জনমত যাচাইয়ের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের এ ফল তুলে ধরে সুজন।

গত মে ও জুলাইয়ে দেশের ৬৪টি জেলায় জনমত জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে ১ হাজার ৩৭৩ জন অংশ নেন। যাদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৩৩ জন, নারী ৩৩৫ ও তৃতীয় লিঙ্গের পাঁচজন।

জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ মানুষ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটের ওপর নির্ভর করে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন চান ৭১ শতাংশ মানুষ। বিরোধী দল থেকে নিম্নকক্ষে একজন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে মত ৮৬ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে নারী আসন সংরক্ষণ চান ৬৩ শতাংশ মানুষ। পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা, দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা ও পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যথাযথ নিষ্পত্তির জন্য স্থায়ী স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন চান ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। সংসদের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে সংবিধান সংশোধন চান ৮৫ শতাংশ মানুষ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা দেখছে বিএনপি”

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। তারপরও নির্বাচন বানচালের যড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন বানচালে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। নির্বাচন পেছাতে পরিকল্পিতভাবে নানা ইস্যু সামনে আনছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের আগে সংস্কার বাস্তবায়ন, জুলাই সনদ কার্যকর, পিআর (আনুপাতিক হার) পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবিসহ একের পর এক ইস্যু তৈরি করছেন তারা। বিএনপি’র নেতারা জানান, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি তুলছে। তারা বলছেন, সংবিধান পরিবর্তনের প্রস্তাবও নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। পার্শ্ববর্তী একটি দেশও বাংলাদেশের নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন নেতারা। ওদিকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপত্তি না থাকলেও দৃশ্যমান বিচার এবং সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচনের কথা বলেছে জামায়াত। অন্যদিকে জুলাই সনদ কার্যকর ও সংস্কার বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছে এনসিপি। এসব কারণ নির্বাচন বিলম্ব করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি। এ ছাড়া পতিত আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের দোসররাও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা। গত সোমবার এক বক্তৃতায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশ যাতে গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে আসতে না পারে এবং মানুষের ভোটের অধিকার যাতে বাস্তবায়িত হতে না পারে- সেটাকে ভণ্ডুল করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।