১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

৩২ নম্বরে উত্তেজনা, ৩ জনকে গণধোলাই, আটক

সমকালের একটি শিরোনাম “নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশয় আছে: গয়েশ্বর রায়”

নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতির সংশয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। কারও পাতানো ফাঁদে পা না দিতে তিনি দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

গয়েশ্বর রায় বলেন, এর আগে নানাজনের নানা কথায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন। এখনও তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে”

কাজ শেষ হতে দেরি হলে ভোররাতে পূর্বাচলের নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে বেশি ভোরে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যান তিনি।

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার জানে আলম অপুর দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব তথ্য জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।

সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ। ভোররাতে মোটরসাইকেলে করে হোটেল ওয়েস্টিনের সামনে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাতে যখন আমার কাজ শেষ হয়ে যায়, কখনো কখনো ভোর হয়ে যায়, ওই সময় আসলে বাসায় খাবারদাবার দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। আমি বেশির ভাগ সময়ই ৩০০ ফুটে নীলা মার্কেট নামে একটা জায়গায় আছে, সেখানে যাই। সেখানে হাঁসের মাংস খুব ভালো পাওয়া যায়, সেখানে আমরা চার-পাঁচজন মিলে যাই।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ওইটা আবার বেশি ভোর হয়ে গেলে বন্ধ থাকে। তখন ওদিকে ওয়েস্টিনে যাওয়া হয়। তবে এক্সাক্ট ওই দিন আমি গিয়েছিলাম কি না, সেখানে ছিলাম কি না, সেটা আমি বলতে পারব না।’

ওয়েস্টিনে যাওয়ার দিনটি ১৭ জুলাই ছিল জানানোর পর আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমি বলে দাবি করা হয়, এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য! আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না; কারণ, এটা তদন্তাধীন।’

চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমার মনে হয় না এখনো কেউ এ রকম প্রমাণ দিতে পেরেছেন যে আমার সম্পৃক্ততা আছে। বরং যার (জানে আলম অপু) সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, এই সাক্ষাৎকার একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, এটা অত্যন্ত গুরুতর একটা অভিযোগ। এটা পরিবারের দিক থেকে এসেছে, যথেষ্ট রিলায়াবলও এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে যে আমার সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ রকম অনেক কিছু আপনারাও ইতিমধ্যে দেখেছেন। আমরা সেগুলো ডিফেন্ড করেছি। এখন দেখছেন, সামনেও হয়তো দেখবেন।’

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আট জেলায় বন্যার সতর্কতা”

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কয়েক দিন ধরেই বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। গতকাল বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ অবস্থায় খুলে রাখা হয়েছে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। পাটেশ্বরী পয়েন্টে এ নদের পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, আগামী তিনদিনে পদ্মা নদীর পানি সমতল বেড়ে সতর্কসীমায় (ওয়ার্নিং লেভেল) পৌঁছতে পারে। এ সময়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিও আগামী তিনদিন বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টা এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

নীলফামারী: ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি মৌসুমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদীপারের বাসিন্দারা।

তিস্তা ব্যারাজে নিয়োজিত পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সকাল ৯টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় পানিপ্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার। রাতে পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আজ সকালে পানিপ্রবাহ বাড়তে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তিস্তা নদীসংলগ্ন এলাকাগুলোয় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নদীপারের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।

তিস্তাপারের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, টেপা মাহমুদ ও বিধান চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে তিস্তার পানি নিয়ে তাদের আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। অথচ এর কোনো স্থায়ী সমাধান তারা পাচ্ছেন না।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “৩২ নম্বরে উত্তেজনা, ৩ জনকে গণধোলাই, আটক”

১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠেছে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই এলাকাটিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শেখ মুজিবের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দেন। শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে মিছিল করছেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও।বিপুলসংখ্যক আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে ৩ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। উত্তেজনা বিরাজ করছে কলাবাগান, পান্থপথসহ আশেপাশের এলাকাতেও।

বেশ কয়েকজন বলেছেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এক ব্যক্তি ভিডিও কলে কাউকে পরিস্থিতি দেখাচ্ছিলেন। ভিডিও কলে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির ফোনের ক্যামেরায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখা গেলে উপস্থিত ছাত্রজনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

ছাত্রজনতার দাবি, আটক ব্যক্তির নিজের ফোনেও শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি পাওয়া গেছে। তারা বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে বলেছেন। তাই আওয়ামী লীগ কর্মীরা যাতে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেজন্য তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯ টার দিকে একই স্থানে আরও দুজনকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা ৫৭র দিকে কালো টি শার্ট পরা আরও একজনকে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে পুলিশ আটক করে।  তবে কেন তাদের আওয়ামী লীগ কর্মী বলা হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে কেউ জানাতে পারেননি। ঘটনার সময় উপস্থিত জনতা ‘আ.লীগের দালাল হুঁশিয়ার’, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সন্দেহে ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে জানা যায় মারধরের শিকার যুবক ছাত্রশিবিরের ঢাকা কলেজ ইউনিটের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন। এসময় আহাদ নামে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের এক সদস্যকেও মারধরকারীরা ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদলকে দায়ী করে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের সদস্য মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা যদি সরাসরি প্রতিকার চাই তাহলে আরেকটি মবের সৃষ্টি হবে। আমরা সেটা চাইনি। আমাদের নেতারা এসেছিলেন। হামলাকারী এক ব্যক্তিকে স্থানীয় ছাত্রদলের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তারা যেন এই হামলার সমুচিত বিচার করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার জিসানুল হক বলেন, কেউ যাতে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলা বা নাশকতা করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, এখান থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ফোন চেক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি নির্দোষ হন, ছেড়ে দেওয়া হবে। আর দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ধানমন্ডি ৩২-এর প্রবেশপথে পুলিশি ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও পথচারীর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তল্লাশি ছাড়া কাউকেই ওই সড়কে ঢুকতে দেয়া হয়না।  তবে রাত বারার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। শেষ কবর পর্যন্ত (রাত ১২টা ১৫) এখনো ছোট ছোট দলে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় আসছেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

৩২ নম্বরে উত্তেজনা, ৩ জনকে গণধোলাই, আটক

০৩:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশয় আছে: গয়েশ্বর রায়”

নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতির সংশয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। কারও পাতানো ফাঁদে পা না দিতে তিনি দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

গয়েশ্বর রায় বলেন, এর আগে নানাজনের নানা কথায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন। এখনও তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে”

কাজ শেষ হতে দেরি হলে ভোররাতে পূর্বাচলের নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে বেশি ভোরে নীলা মার্কেট বন্ধ হলে গুলশানের ওয়েস্টিনে যান তিনি।

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার জানে আলম অপুর দেওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব তথ্য জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।

সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ। ভোররাতে মোটরসাইকেলে করে হোটেল ওয়েস্টিনের সামনে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাতে যখন আমার কাজ শেষ হয়ে যায়, কখনো কখনো ভোর হয়ে যায়, ওই সময় আসলে বাসায় খাবারদাবার দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। আমি বেশির ভাগ সময়ই ৩০০ ফুটে নীলা মার্কেট নামে একটা জায়গায় আছে, সেখানে যাই। সেখানে হাঁসের মাংস খুব ভালো পাওয়া যায়, সেখানে আমরা চার-পাঁচজন মিলে যাই।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ওইটা আবার বেশি ভোর হয়ে গেলে বন্ধ থাকে। তখন ওদিকে ওয়েস্টিনে যাওয়া হয়। তবে এক্সাক্ট ওই দিন আমি গিয়েছিলাম কি না, সেখানে ছিলাম কি না, সেটা আমি বলতে পারব না।’

ওয়েস্টিনে যাওয়ার দিনটি ১৭ জুলাই ছিল জানানোর পর আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমি বলে দাবি করা হয়, এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য! আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না; কারণ, এটা তদন্তাধীন।’

চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমার মনে হয় না এখনো কেউ এ রকম প্রমাণ দিতে পেরেছেন যে আমার সম্পৃক্ততা আছে। বরং যার (জানে আলম অপু) সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, এই সাক্ষাৎকার একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, এটা অত্যন্ত গুরুতর একটা অভিযোগ। এটা পরিবারের দিক থেকে এসেছে, যথেষ্ট রিলায়াবলও এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে যে আমার সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ রকম অনেক কিছু আপনারাও ইতিমধ্যে দেখেছেন। আমরা সেগুলো ডিফেন্ড করেছি। এখন দেখছেন, সামনেও হয়তো দেখবেন।’

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আট জেলায় বন্যার সতর্কতা”

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কয়েক দিন ধরেই বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। গতকাল বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ অবস্থায় খুলে রাখা হয়েছে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। পাটেশ্বরী পয়েন্টে এ নদের পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, আগামী তিনদিনে পদ্মা নদীর পানি সমতল বেড়ে সতর্কসীমায় (ওয়ার্নিং লেভেল) পৌঁছতে পারে। এ সময়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিও আগামী তিনদিন বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টা এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

নীলফামারী: ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি মৌসুমের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদীপারের বাসিন্দারা।

তিস্তা ব্যারাজে নিয়োজিত পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সকাল ৯টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় পানিপ্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার। রাতে পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আজ সকালে পানিপ্রবাহ বাড়তে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তিস্তা নদীসংলগ্ন এলাকাগুলোয় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নদীপারের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।

তিস্তাপারের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, টেপা মাহমুদ ও বিধান চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে তিস্তার পানি নিয়ে তাদের আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। অথচ এর কোনো স্থায়ী সমাধান তারা পাচ্ছেন না।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “৩২ নম্বরে উত্তেজনা, ৩ জনকে গণধোলাই, আটক”

১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠেছে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই এলাকাটিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শেখ মুজিবের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দেন। শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে মিছিল করছেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও।বিপুলসংখ্যক আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে ৩ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। উত্তেজনা বিরাজ করছে কলাবাগান, পান্থপথসহ আশেপাশের এলাকাতেও।

বেশ কয়েকজন বলেছেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এক ব্যক্তি ভিডিও কলে কাউকে পরিস্থিতি দেখাচ্ছিলেন। ভিডিও কলে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির ফোনের ক্যামেরায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখা গেলে উপস্থিত ছাত্রজনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

ছাত্রজনতার দাবি, আটক ব্যক্তির নিজের ফোনেও শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি পাওয়া গেছে। তারা বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে বলেছেন। তাই আওয়ামী লীগ কর্মীরা যাতে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সেজন্য তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯ টার দিকে একই স্থানে আরও দুজনকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা ৫৭র দিকে কালো টি শার্ট পরা আরও একজনকে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে পুলিশ আটক করে।  তবে কেন তাদের আওয়ামী লীগ কর্মী বলা হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে কেউ জানাতে পারেননি। ঘটনার সময় উপস্থিত জনতা ‘আ.লীগের দালাল হুঁশিয়ার’, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সন্দেহে ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে জানা যায় মারধরের শিকার যুবক ছাত্রশিবিরের ঢাকা কলেজ ইউনিটের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন। এসময় আহাদ নামে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের এক সদস্যকেও মারধরকারীরা ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদলকে দায়ী করে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের সদস্য মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা যদি সরাসরি প্রতিকার চাই তাহলে আরেকটি মবের সৃষ্টি হবে। আমরা সেটা চাইনি। আমাদের নেতারা এসেছিলেন। হামলাকারী এক ব্যক্তিকে স্থানীয় ছাত্রদলের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তারা যেন এই হামলার সমুচিত বিচার করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার জিসানুল হক বলেন, কেউ যাতে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলা বা নাশকতা করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, এখান থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ফোন চেক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি নির্দোষ হন, ছেড়ে দেওয়া হবে। আর দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ধানমন্ডি ৩২-এর প্রবেশপথে পুলিশি ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও পথচারীর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তল্লাশি ছাড়া কাউকেই ওই সড়কে ঢুকতে দেয়া হয়না।  তবে রাত বারার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। শেষ কবর পর্যন্ত (রাত ১২টা ১৫) এখনো ছোট ছোট দলে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় আসছেন।