০২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সৌদি সম্মানে ভূষিত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নতুন বার্তা ভ্যান্সকে ঘিরে ডানপন্থীদের নতুন সমীকরণ, ২০২৮ দৌড়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু স্বাস্থ্য উপহারই এবার উৎসবের নতুন ট্রেন্ড চীনা প্রযুক্তিতে মার্কিন বিনিয়োগে কড়াকড়ি, নতুন আইনে নজরদারি ও প্রতিরক্ষা খাতে বড় বাঁক ক্ষমতার সীমা ভাঙার বছর ট্রাম্পের, বিতর্ক আর দ্রুত সিদ্ধান্তে কাঁপল হোয়াইট হাউস শহরের স্পন্দনে কুপ্রা: সিটি গ্যারেজে বদলে যাচ্ছে নগর সংস্কৃতির মানচিত্র ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত, ঋণের চাপ আর সংস্কারের চ্যালেঞ্জ: শ্রীলঙ্কা এক সংকটে আটকে পড়েছে জিএমের বৈশ্বিক দৌড় ফর্মুলা ওয়ানকে হাতিয়ার করে নতুন বাজারে আমেরিকার অটো জায়ান্ট মাদুরো পতনের ছক কি যুদ্ধ ডেকে আনবে ক্যারিবিয়ানে

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭১)

ভারতে অনেকের প্রতিকৃতি এঁকেছেন জোফফানি। এবং রোজগারও করেছিলেন প্রচুর।

ঢাকায় আঁকা তার ছবিটি নিয়ে আমি ঢাকার খাল গোল ও নদীর চিত্রকর-এ আলোচনা করেছি তাই এখানে আর আলোচনা করলাম না। জোহানন জোফফানির জন্ম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে। তাঁর পিতা ছিলেন আসবাব নির্মাতা। ১৭ বছর বয়সে জোফফানি পায়ে হেঁটে চলে যান রোম। ইতালি-জার্মানিতে কিছুদিন কাটিয়ে চলে যান লন্ডনে ১৭৬০ সালে। সেখানেই বাকি জীবন অতিবাহিত করেন।

ইংল্যান্ডে তিনি নাম এবং রোজগার দুটিই করেছিলেন। বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন প্রতিকৃতি আঁকায়। তার আঁকা প্রতিকৃতিসমূহ ছিল অন্যদের থেকে আলাদা। ডিটেলসে তার ঝোঁক ছিল বেশি।

মগবাজার সড়কে সমজিদ, জর্জ চিনারি, পেনসিল ড্রইং,হার্ভার্ড আর্ট মিউজিয়াম

১৭৮৩ সালে চলে আসেন তিনি ভারতে। ভারতে তিনি কোথায় কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে তেমন তথ্য না পাওয়া গেলেও, কলকাতায় যে বেশ কিছুদিন ছিলেন তা নিশ্চিত। লখনৌতেও ছিলেন। সেখানে আঁকা ‘মোরগের লড়াই’ একটি বিখ্যাত ছবি। ভারতে অনেকের প্রতিকৃতি এঁকেছেন জোফফানি। এবং রোজগারও করেছিলেন প্রচুর। সে আমলে লন্ডনে জোফফানি ৩৬,০০০ পাউন্ড পাঠিয়েছেন বলে হেনসার উল্লেখ করেছেন। কলকাতায় থাকার সময় তিনি ঢাকা এসেছিলেন ১৭৮৭ সালে।

ঢাকায় আঁকা তাঁর দুটি তেল রঙের সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি লালবাগের ফটক অন্যটি নারিন্দার কবরস্থান সংলগ্ন নাগপানির ঘাট। এ দুটি ছবি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমার লেখা ঢাকার লালবাগ ও বড়কাটরা এবং ঢাকার খাল পোল ও নদীর চিত্রকরে। ঢাকায় তিনি আরো ছবি এঁকেছিলেন নিশ্চয় কিন্তু তার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এখানে জোফফানির কোনো ছবি নিয়ে আলোচনা হয়নি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭০)

জনপ্রিয় সংবাদ

কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭১)

০৭:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে অনেকের প্রতিকৃতি এঁকেছেন জোফফানি। এবং রোজগারও করেছিলেন প্রচুর।

ঢাকায় আঁকা তার ছবিটি নিয়ে আমি ঢাকার খাল গোল ও নদীর চিত্রকর-এ আলোচনা করেছি তাই এখানে আর আলোচনা করলাম না। জোহানন জোফফানির জন্ম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে। তাঁর পিতা ছিলেন আসবাব নির্মাতা। ১৭ বছর বয়সে জোফফানি পায়ে হেঁটে চলে যান রোম। ইতালি-জার্মানিতে কিছুদিন কাটিয়ে চলে যান লন্ডনে ১৭৬০ সালে। সেখানেই বাকি জীবন অতিবাহিত করেন।

ইংল্যান্ডে তিনি নাম এবং রোজগার দুটিই করেছিলেন। বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন প্রতিকৃতি আঁকায়। তার আঁকা প্রতিকৃতিসমূহ ছিল অন্যদের থেকে আলাদা। ডিটেলসে তার ঝোঁক ছিল বেশি।

মগবাজার সড়কে সমজিদ, জর্জ চিনারি, পেনসিল ড্রইং,হার্ভার্ড আর্ট মিউজিয়াম

১৭৮৩ সালে চলে আসেন তিনি ভারতে। ভারতে তিনি কোথায় কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে তেমন তথ্য না পাওয়া গেলেও, কলকাতায় যে বেশ কিছুদিন ছিলেন তা নিশ্চিত। লখনৌতেও ছিলেন। সেখানে আঁকা ‘মোরগের লড়াই’ একটি বিখ্যাত ছবি। ভারতে অনেকের প্রতিকৃতি এঁকেছেন জোফফানি। এবং রোজগারও করেছিলেন প্রচুর। সে আমলে লন্ডনে জোফফানি ৩৬,০০০ পাউন্ড পাঠিয়েছেন বলে হেনসার উল্লেখ করেছেন। কলকাতায় থাকার সময় তিনি ঢাকা এসেছিলেন ১৭৮৭ সালে।

ঢাকায় আঁকা তাঁর দুটি তেল রঙের সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি লালবাগের ফটক অন্যটি নারিন্দার কবরস্থান সংলগ্ন নাগপানির ঘাট। এ দুটি ছবি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমার লেখা ঢাকার লালবাগ ও বড়কাটরা এবং ঢাকার খাল পোল ও নদীর চিত্রকরে। ঢাকায় তিনি আরো ছবি এঁকেছিলেন নিশ্চয় কিন্তু তার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এখানে জোফফানির কোনো ছবি নিয়ে আলোচনা হয়নি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭০)