ভারতে অনেকের প্রতিকৃতি এঁকেছেন জোফফানি। এবং রোজগারও করেছিলেন প্রচুর।
ঢাকায় আঁকা তার ছবিটি নিয়ে আমি ঢাকার খাল গোল ও নদীর চিত্রকর-এ আলোচনা করেছি তাই এখানে আর আলোচনা করলাম না। জোহানন জোফফানির জন্ম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে। তাঁর পিতা ছিলেন আসবাব নির্মাতা। ১৭ বছর বয়সে জোফফানি পায়ে হেঁটে চলে যান রোম। ইতালি-জার্মানিতে কিছুদিন কাটিয়ে চলে যান লন্ডনে ১৭৬০ সালে। সেখানেই বাকি জীবন অতিবাহিত করেন।
ইংল্যান্ডে তিনি নাম এবং রোজগার দুটিই করেছিলেন। বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন প্রতিকৃতি আঁকায়। তার আঁকা প্রতিকৃতিসমূহ ছিল অন্যদের থেকে আলাদা। ডিটেলসে তার ঝোঁক ছিল বেশি।

মগবাজার সড়কে সমজিদ, জর্জ চিনারি, পেনসিল ড্রইং,হার্ভার্ড আর্ট মিউজিয়াম
১৭৮৩ সালে চলে আসেন তিনি ভারতে। ভারতে তিনি কোথায় কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে তেমন তথ্য না পাওয়া গেলেও, কলকাতায় যে বেশ কিছুদিন ছিলেন তা নিশ্চিত। লখনৌতেও ছিলেন। সেখানে আঁকা ‘মোরগের লড়াই’ একটি বিখ্যাত ছবি। ভারতে অনেকের প্রতিকৃতি এঁকেছেন জোফফানি। এবং রোজগারও করেছিলেন প্রচুর। সে আমলে লন্ডনে জোফফানি ৩৬,০০০ পাউন্ড পাঠিয়েছেন বলে হেনসার উল্লেখ করেছেন। কলকাতায় থাকার সময় তিনি ঢাকা এসেছিলেন ১৭৮৭ সালে।
ঢাকায় আঁকা তাঁর দুটি তেল রঙের সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি লালবাগের ফটক অন্যটি নারিন্দার কবরস্থান সংলগ্ন নাগপানির ঘাট। এ দুটি ছবি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমার লেখা ঢাকার লালবাগ ও বড়কাটরা এবং ঢাকার খাল পোল ও নদীর চিত্রকরে। ঢাকায় তিনি আরো ছবি এঁকেছিলেন নিশ্চয় কিন্তু তার খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এখানে জোফফানির কোনো ছবি নিয়ে আলোচনা হয়নি।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















