০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে আফগানিস্তান–পাকিস্তান আবারও ইস্তাম্বুলে বৈঠকে ফায়দা লুঠছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: ভেটেরানদের দুর্বলতার সুযোগ ২০২৬ সালের জন্য তিনটি বলিউড ছবি শুটের জায়গা হিসেবে আবারও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটদের বিভাজন: সরকারী বন্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা সিউলে ২০২৬ সালের কামব্যাক শো ঘোষণা করল বিটিএস, আজই খুলল গ্লোবাল টিকিটিং বিহারের নির্বাচন: মোদী এবং তার দলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ বেতনা নদী: সাতক্ষীরা, খুলনার একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক রত্ন আবার ফিরছে ‘গ্রেমলিনস’, ২০২৭ ছুটির মৌসুমে ওয়ার্নার ব্রসের ঘোষণা মৃত্যু বাই লাইটনিং: গারফিল্ড হত্যার রহস্য ও নাটক আত্মবিশ্বাসই মূলধন: ‘প্রিটি প্রিভিলেজ’ নিয়ে ফিরলেন আইস স্পাইস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭০)

হোম কুমারখালীর কমার্শিয়াল রেসিডেন্ট মিডলটনের প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন এবং পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন দুহাজার রুপি।

রবার্ট হোম (১৭৫২-১৮৩৪) ছিলেন ব্রায়ান হোমের পুত্র। তার বাবা ছিলেন শৈল্য চিকিৎসক। জন্ম তার ইংল্যান্ডে হাল-এ)। অ্যাঞ্জেলিকা কাউফম্যানের অধীনে তিনি চিত্রবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। এরপর ইতালি [১৭৭৩-৭৮) ও ডাবলিনে [১৭৮৩-৮৯) পেশাদার চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। খুব সম্ভব, সুবিধা করতে পারেননি।

তাই রওয়ানা দেন ভারতের উদ্দেশে ১৭৯০ সালে। প্রথমে পা রাখেন মাদ্রাজে, লর্ড কর্ণওয়ালিস যুদ্ধ করলে তাঁর সঙ্গে ভ্রমণ করেন। সেখানে আঁকা তাঁর চিত্রাবলি নিয়ে লন্ডন থেকে ১৭৯৪ সালে প্রকাশিত হয়- সিদ্ধে ভিউজ ইন মাইশোর, দ্য কান্ট্রি অব টিপু সুলতান ১৭৯৫ সাল পর্যন্ত মাদ্রাজে ছিলেন তারপর সঙ্গে আসেন কলকাতা। ১৭৯৫-১৮১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন কলকাতায়। সেখান থেকে চলে যান অযোধ্যার রাজদরবারে প্রতিকৃতি আঁকিয়ে হিসেবে। ১৮১৪ থেকে ১৮২৭ সাল পর্যন্ত সেখানে ছিচ্ছে।

ঢাকার মসজিদ, জর্জ চিনারি, পেনসিল ড্রইং, ১৮০৯, সথেবিস নিলামে বিক্রিত

কলকাতা থাকায় সময় ১৭৯৯ সালের দিকে ঢাকায় এসেছিলেন। লসটি জানাচ্ছেন, হোম কুমারখালীর কমার্শিয়াল রেসিডেন্ট মিডলটনের প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন এবং পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন দুহাজার রুপি। সে সময়ের তুলনায় যে তা প্রচুর বলাই বাহুল্য। খুব সম্ভব ছবি আঁকার কমিশন নিয়েই তিনি এসেছিলেন, এবং ঢাকায়ও এসেছিলেন।

ঢাকায় তিনি লালবাগ দুর্গের ফটক নিয়ে একটি তৈলচিত্র আঁকেন। হোম নিশ্চয় আরো কিছু ছবি এঁকেছিলেন কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ লাইব্রেরিয়ে তার আঁকা ২৭টি ছবির সংগ্রহ আছে। হোম কানপুরে মারা যান ১৮-৩৪ সালে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৯)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৯)

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে আফগানিস্তান–পাকিস্তান আবারও ইস্তাম্বুলে বৈঠকে

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭০)

০৭:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

হোম কুমারখালীর কমার্শিয়াল রেসিডেন্ট মিডলটনের প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন এবং পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন দুহাজার রুপি।

রবার্ট হোম (১৭৫২-১৮৩৪) ছিলেন ব্রায়ান হোমের পুত্র। তার বাবা ছিলেন শৈল্য চিকিৎসক। জন্ম তার ইংল্যান্ডে হাল-এ)। অ্যাঞ্জেলিকা কাউফম্যানের অধীনে তিনি চিত্রবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। এরপর ইতালি [১৭৭৩-৭৮) ও ডাবলিনে [১৭৮৩-৮৯) পেশাদার চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। খুব সম্ভব, সুবিধা করতে পারেননি।

তাই রওয়ানা দেন ভারতের উদ্দেশে ১৭৯০ সালে। প্রথমে পা রাখেন মাদ্রাজে, লর্ড কর্ণওয়ালিস যুদ্ধ করলে তাঁর সঙ্গে ভ্রমণ করেন। সেখানে আঁকা তাঁর চিত্রাবলি নিয়ে লন্ডন থেকে ১৭৯৪ সালে প্রকাশিত হয়- সিদ্ধে ভিউজ ইন মাইশোর, দ্য কান্ট্রি অব টিপু সুলতান ১৭৯৫ সাল পর্যন্ত মাদ্রাজে ছিলেন তারপর সঙ্গে আসেন কলকাতা। ১৭৯৫-১৮১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন কলকাতায়। সেখান থেকে চলে যান অযোধ্যার রাজদরবারে প্রতিকৃতি আঁকিয়ে হিসেবে। ১৮১৪ থেকে ১৮২৭ সাল পর্যন্ত সেখানে ছিচ্ছে।

ঢাকার মসজিদ, জর্জ চিনারি, পেনসিল ড্রইং, ১৮০৯, সথেবিস নিলামে বিক্রিত

কলকাতা থাকায় সময় ১৭৯৯ সালের দিকে ঢাকায় এসেছিলেন। লসটি জানাচ্ছেন, হোম কুমারখালীর কমার্শিয়াল রেসিডেন্ট মিডলটনের প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন এবং পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন দুহাজার রুপি। সে সময়ের তুলনায় যে তা প্রচুর বলাই বাহুল্য। খুব সম্ভব ছবি আঁকার কমিশন নিয়েই তিনি এসেছিলেন, এবং ঢাকায়ও এসেছিলেন।

ঢাকায় তিনি লালবাগ দুর্গের ফটক নিয়ে একটি তৈলচিত্র আঁকেন। হোম নিশ্চয় আরো কিছু ছবি এঁকেছিলেন কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ লাইব্রেরিয়ে তার আঁকা ২৭টি ছবির সংগ্রহ আছে। হোম কানপুরে মারা যান ১৮-৩৪ সালে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৯)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৬৯)