মাদ্রাজের কুজ্জানোরে তাঁর পরিবারের একটি কারখানা ছিল, চিনারি সেই কারখানার ছবিও এঁকেছিলেন।
জেমস ক্রকেট (১৭৫৫/৫৬-১৮০৪) সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। এটুকু জানা যায় যে, ১৭৮১ সালে তিনি কোম্পানির সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। অনুমান করে নেয়া হয় যে ১৭৫৫/১৭৫৬ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ১৭৯৮ সালে ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পান এবং ১৮০৪ সালে এক যুদ্ধে নিহত হন। ভারতবর্ষে পেশাদার শিল্পীদের মধ্যে বিখ্যাত জর্জ চিনারি (১৭৭৪-১৮৫২)।
শুধু ভারতবর্ষে নয়, ইংল্যান্ডেও তিনি ছিলেন বেশ পরিচিত। জন্ম তাঁর লন্ডনে, বাবার নাম উইলিয়াম চিনারি। মাদ্রাজের কুজ্জানোরে তাঁর পরিবারের একটি কারখানা ছিল, চিনারি সেই কারখানার ছবিও এঁকেছিলেন।
১৮০০ সালেও মাদ্রাজে এজেন্সি হাউস হিসেবে চেজ, চিনারি অ্যান্ড সেওয়েলের বেশ নাম ডাক ছিল। ১৮২২ সালে কোম্পানিটি উঠে যায়। চিনারির ছোট ভাই জন চিনারি যোগ দিয়েছিলেন মাদ্রাজের সিভিল সার্ভিসে।

বুড়িগঙ্গার (ঢাকা) তীরে সমজিদ, জর্জ চিনারি, পেনসিল ড্রইং, ১৮০৮ (আনুমানিক)
অল্প বয়সেই চিনারি ছবি আঁকা শুরু করেন। ২৪ বছর বয়সে চলে যান ডাবলিনে। ১৭৯৬ পেয়েছিলেন অভিজাত পরিবারের। ১৮০১ সাদে বেশ কিছুদিন ছিলেন ডাবলিনে। পৃষ্ঠপোষকতায় ডাবলিনের পার্লামেন্টে তাঁর চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছিল।
১৭৯১ সালে বিয়ে করেন ম্যারিয়ন ডিগনে-কে। চিনারির শ্বশুর টি, ডিগনিও ছিলেন শিল্পী। কাশ্মীরের ওপর তিনি বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন। ১৮০০ সালে পিতা হন এক কন্যার, নাম। ম্যাথিলডা। ১৮০৩ সালে জন্ম নেয় পুত্র জন ইউস্টাসের। ইউস্টাস পরবর্তীকালে বাংলায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু খুব অল্প বয়সে, মাত্র ২২ বছর বয়সে মুর্শিদাবাদে মারা যান।
১৮০২ সালে লন্ডনে ফিরে আসেন চিনারি। এ সময় স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ঠিক করেন ভাগ্যান্বেষণে যাবেন ভারতে। মাদ্রাজে যাওয়া স্থির করেন। কোম্পানির পরিচালকদের কাছে আবেদন করেন মাদ্রাজে যাওয়ার।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















