০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
স্ট্যাগফ্লেশনের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি মানচিত্র শহরে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি, ২০২৫ সালের বাস্তবতা দুবাই উপকূলে সবুজের বিস্তার, জেবেল আলি সামুদ্রিক সংরক্ষণ এলাকায় নতুন ছয়শ ম্যানগ্রোভ রোপণ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৯) বৈশ্বিক বক্স অফিসে ভারসাম্যের খোঁজ, ২০২৫ শেষে ২০২৫ সালের শেষে লোহিত সাগরে উত্তেজনায় চাপে বৈশ্বিক নৌপরিবহন হাত্তা পাহাড়ে তারাভরা রাত ও প্রকৃতির পাঠ, ব্যতিক্রমী ক্যাম্পিংয়ে নতুন অভিজ্ঞতা স্মার্টফোন শিল্পে নতুন প্রবৃদ্ধির খোঁজ, ২০২৫ সালের শেষে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মাদকচক্রের ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা

অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা: এশিয়ার প্রায় পুরো অঞ্চল আঘাত হানতে সক্ষম

সফল উৎক্ষেপণ ও কৌশলগত গুরুত্ব
ভারত সফলভাবে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যা ভারতের কৌশলগত সামরিক শক্তিকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সব ধরনের প্রযুক্তিগত ও কার্যকরী মানদণ্ডে এটি সফল হয়েছে।

এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত কভারেজ
অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় পুরো এশিয়া মহাদেশ, বিশেষ করে উত্তর চীন পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি এটি ইউরোপের কিছু অংশও কভার করতে সক্ষম। ফলে ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অগ্নি-৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সংঘাত-পরবর্তী পরীক্ষার প্রেক্ষাপট
এই পরীক্ষা পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর অনুষ্ঠিত হলো। গত বছরের মার্চ মাসেও অগ্নি-৫ এর সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল। ধারাবাহিক এই উৎক্ষেপণ ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মসূচির ধারাবাহিক অগ্রগতি নির্দেশ করে।

অগ্নি সিরিজের অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির মধ্যে অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৪ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলোর পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার থেকে ৩,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এগুলো ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া সম্প্রতি পৃথ্বী-২, অগ্নি-১ এবং নতুন স্বল্পপাল্লার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’-এর পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

পৃথ্বী-২: পাল্লা ৩৫০ কিমি, ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওয়ারহেড বহন সক্ষম।

অগ্নি-১: পাল্লা ৭০০-৯০০ কিমি, ১,০০০ কেজি পর্যন্ত ওয়ারহেড বহন সক্ষম।

প্রলয়: ৫০০-১,০০০ কেজি প্রচলিত ওয়ারহেড বহনক্ষম, স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র।

অগ্নি-৫ এর মূল বৈশিষ্ট্য
ধরন: মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (IRBM)

পাল্লা: সর্বোচ্চ ৫,০০০ কিমি

উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা: মোবাইল লঞ্চার ও ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ

পে-লোড: পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন সক্ষম

নিখুঁততা: উন্নত নির্দেশনা ব্যবস্থার মাধ্যমে উচ্চমাত্রার নির্ভুলতা

কভারেজ: এশিয়ার প্রায় পুরো অংশ, উত্তর চীনসহ, এবং ইউরোপের কিছু অংশ

প্রপালশন: তিন ধাপের সলিড-ফুয়েল রকেট, দ্রুত মোতায়েনযোগ্য

কৌশলগত ভূমিকা: ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি


জনপ্রিয় সংবাদ

স্ট্যাগফ্লেশনের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা: এশিয়ার প্রায় পুরো অঞ্চল আঘাত হানতে সক্ষম

০৩:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

সফল উৎক্ষেপণ ও কৌশলগত গুরুত্ব
ভারত সফলভাবে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যা ভারতের কৌশলগত সামরিক শক্তিকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সব ধরনের প্রযুক্তিগত ও কার্যকরী মানদণ্ডে এটি সফল হয়েছে।

এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত কভারেজ
অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় পুরো এশিয়া মহাদেশ, বিশেষ করে উত্তর চীন পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি এটি ইউরোপের কিছু অংশও কভার করতে সক্ষম। ফলে ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অগ্নি-৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সংঘাত-পরবর্তী পরীক্ষার প্রেক্ষাপট
এই পরীক্ষা পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর অনুষ্ঠিত হলো। গত বছরের মার্চ মাসেও অগ্নি-৫ এর সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল। ধারাবাহিক এই উৎক্ষেপণ ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মসূচির ধারাবাহিক অগ্রগতি নির্দেশ করে।

অগ্নি সিরিজের অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির মধ্যে অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৪ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলোর পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার থেকে ৩,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এগুলো ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া সম্প্রতি পৃথ্বী-২, অগ্নি-১ এবং নতুন স্বল্পপাল্লার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’-এর পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

পৃথ্বী-২: পাল্লা ৩৫০ কিমি, ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওয়ারহেড বহন সক্ষম।

অগ্নি-১: পাল্লা ৭০০-৯০০ কিমি, ১,০০০ কেজি পর্যন্ত ওয়ারহেড বহন সক্ষম।

প্রলয়: ৫০০-১,০০০ কেজি প্রচলিত ওয়ারহেড বহনক্ষম, স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র।

অগ্নি-৫ এর মূল বৈশিষ্ট্য
ধরন: মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (IRBM)

পাল্লা: সর্বোচ্চ ৫,০০০ কিমি

উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা: মোবাইল লঞ্চার ও ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ

পে-লোড: পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন সক্ষম

নিখুঁততা: উন্নত নির্দেশনা ব্যবস্থার মাধ্যমে উচ্চমাত্রার নির্ভুলতা

কভারেজ: এশিয়ার প্রায় পুরো অংশ, উত্তর চীনসহ, এবং ইউরোপের কিছু অংশ

প্রপালশন: তিন ধাপের সলিড-ফুয়েল রকেট, দ্রুত মোতায়েনযোগ্য

কৌশলগত ভূমিকা: ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি