০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সৌদি সম্মানে ভূষিত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নতুন বার্তা ভ্যান্সকে ঘিরে ডানপন্থীদের নতুন সমীকরণ, ২০২৮ দৌড়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু স্বাস্থ্য উপহারই এবার উৎসবের নতুন ট্রেন্ড চীনা প্রযুক্তিতে মার্কিন বিনিয়োগে কড়াকড়ি, নতুন আইনে নজরদারি ও প্রতিরক্ষা খাতে বড় বাঁক ক্ষমতার সীমা ভাঙার বছর ট্রাম্পের, বিতর্ক আর দ্রুত সিদ্ধান্তে কাঁপল হোয়াইট হাউস শহরের স্পন্দনে কুপ্রা: সিটি গ্যারেজে বদলে যাচ্ছে নগর সংস্কৃতির মানচিত্র ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত, ঋণের চাপ আর সংস্কারের চ্যালেঞ্জ: শ্রীলঙ্কা এক সংকটে আটকে পড়েছে জিএমের বৈশ্বিক দৌড় ফর্মুলা ওয়ানকে হাতিয়ার করে নতুন বাজারে আমেরিকার অটো জায়ান্ট মাদুরো পতনের ছক কি যুদ্ধ ডেকে আনবে ক্যারিবিয়ানে

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৪)

সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

চিনারি ভালোবাসতেন মিনিয়েচার। কিন্তু চোখের অসুবিধা থাকায় মিনিয়েচার আর পরে করেননি। তৈলচিত্রে প্রতিকৃতি এঁকেছেন। চিনারির প্রভাব এত বেশি ছিল যে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় অনেক পেশাদার ও অপেশাদার শিল্পী তার ড্রইং নকল করতেন।

অনেক নকল এমন নিখুঁত যে, শিল্পরসিকরা আসল ও নকল গুলিয়ে ফেলেন।চিনারি ঢাকায় থাকার সময় কিছু এঁকেছেন যার কিছু সংগৃহীত হয়েছে। আমার পূর্বোল্লিখিত দুটি বইয়ে তাঁর কিছু ছবি আলোচিত হয়েছে। এখানে অনালোচিত ছবিগুলি আলোচিত হবে।

প্রথমেই জোফফানিও ও হোমের ছবি নিয়ে আলোচনা করা যাক।

লালবাগ দুর্গ নিয়ে সবচেয়ে পুরনো যে দু’টি ছবির সন্ধান পাওয়া যায় সে দুটি তেলরং। দুটি ছবিই আঁকা হয়েছে ১৭৮৭ সালে। এটি খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে, দুশো বছর আগে তেল রঙের দু’চিত্র এঁকেছিলেন দুই শিল্পী। এই দুটি ছবি নিয়ে লিখেছেন শামীম আমিনুর রহমান ও ওয়াকার খান। তাঁরা যে দুটি ছবি ছেপেছেন এবং সে বিষয়ে লিখেছেন তা অনেকটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

লালবাগ ফটকের দুর্দান্ত তৈলচিত্রটি, শামীম লিখেছেন হোমের। সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

অন্যদিকে ওয়াকার খান ২০১৪ সালে ১২টি পুরনো চিত্রের প্রতিলিপি দিয়ে এ্যাসুরেন্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে একটি টেবিল ক্যালেন্ডার করে দিয়েছেন। বিভ্রান্তির শুরুটা এখান থেকেই।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৪)

০৭:০০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

চিনারি ভালোবাসতেন মিনিয়েচার। কিন্তু চোখের অসুবিধা থাকায় মিনিয়েচার আর পরে করেননি। তৈলচিত্রে প্রতিকৃতি এঁকেছেন। চিনারির প্রভাব এত বেশি ছিল যে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় অনেক পেশাদার ও অপেশাদার শিল্পী তার ড্রইং নকল করতেন।

অনেক নকল এমন নিখুঁত যে, শিল্পরসিকরা আসল ও নকল গুলিয়ে ফেলেন।চিনারি ঢাকায় থাকার সময় কিছু এঁকেছেন যার কিছু সংগৃহীত হয়েছে। আমার পূর্বোল্লিখিত দুটি বইয়ে তাঁর কিছু ছবি আলোচিত হয়েছে। এখানে অনালোচিত ছবিগুলি আলোচিত হবে।

প্রথমেই জোফফানিও ও হোমের ছবি নিয়ে আলোচনা করা যাক।

লালবাগ দুর্গ নিয়ে সবচেয়ে পুরনো যে দু’টি ছবির সন্ধান পাওয়া যায় সে দুটি তেলরং। দুটি ছবিই আঁকা হয়েছে ১৭৮৭ সালে। এটি খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে, দুশো বছর আগে তেল রঙের দু’চিত্র এঁকেছিলেন দুই শিল্পী। এই দুটি ছবি নিয়ে লিখেছেন শামীম আমিনুর রহমান ও ওয়াকার খান। তাঁরা যে দুটি ছবি ছেপেছেন এবং সে বিষয়ে লিখেছেন তা অনেকটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

লালবাগ ফটকের দুর্দান্ত তৈলচিত্রটি, শামীম লিখেছেন হোমের। সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

অন্যদিকে ওয়াকার খান ২০১৪ সালে ১২টি পুরনো চিত্রের প্রতিলিপি দিয়ে এ্যাসুরেন্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে একটি টেবিল ক্যালেন্ডার করে দিয়েছেন। বিভ্রান্তির শুরুটা এখান থেকেই।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)