সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।
চিনারি ভালোবাসতেন মিনিয়েচার। কিন্তু চোখের অসুবিধা থাকায় মিনিয়েচার আর পরে করেননি। তৈলচিত্রে প্রতিকৃতি এঁকেছেন। চিনারির প্রভাব এত বেশি ছিল যে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় অনেক পেশাদার ও অপেশাদার শিল্পী তার ড্রইং নকল করতেন।
অনেক নকল এমন নিখুঁত যে, শিল্পরসিকরা আসল ও নকল গুলিয়ে ফেলেন।চিনারি ঢাকায় থাকার সময় কিছু এঁকেছেন যার কিছু সংগৃহীত হয়েছে। আমার পূর্বোল্লিখিত দুটি বইয়ে তাঁর কিছু ছবি আলোচিত হয়েছে। এখানে অনালোচিত ছবিগুলি আলোচিত হবে।
প্রথমেই জোফফানিও ও হোমের ছবি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
লালবাগ দুর্গ নিয়ে সবচেয়ে পুরনো যে দু’টি ছবির সন্ধান পাওয়া যায় সে দুটি তেলরং। দুটি ছবিই আঁকা হয়েছে ১৭৮৭ সালে। এটি খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে, দুশো বছর আগে তেল রঙের দু’চিত্র এঁকেছিলেন দুই শিল্পী। এই দুটি ছবি নিয়ে লিখেছেন শামীম আমিনুর রহমান ও ওয়াকার খান। তাঁরা যে দুটি ছবি ছেপেছেন এবং সে বিষয়ে লিখেছেন তা অনেকটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
লালবাগ ফটকের দুর্দান্ত তৈলচিত্রটি, শামীম লিখেছেন হোমের। সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।
অন্যদিকে ওয়াকার খান ২০১৪ সালে ১২টি পুরনো চিত্রের প্রতিলিপি দিয়ে এ্যাসুরেন্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে একটি টেবিল ক্যালেন্ডার করে দিয়েছেন। বিভ্রান্তির শুরুটা এখান থেকেই।
(চলবে)
পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)
মুনতাসীর মামুন 



















