০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে আফগানিস্তান–পাকিস্তান আবারও ইস্তাম্বুলে বৈঠকে ফায়দা লুঠছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: ভেটেরানদের দুর্বলতার সুযোগ ২০২৬ সালের জন্য তিনটি বলিউড ছবি শুটের জায়গা হিসেবে আবারও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটদের বিভাজন: সরকারী বন্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা সিউলে ২০২৬ সালের কামব্যাক শো ঘোষণা করল বিটিএস, আজই খুলল গ্লোবাল টিকিটিং বিহারের নির্বাচন: মোদী এবং তার দলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ বেতনা নদী: সাতক্ষীরা, খুলনার একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক রত্ন আবার ফিরছে ‘গ্রেমলিনস’, ২০২৭ ছুটির মৌসুমে ওয়ার্নার ব্রসের ঘোষণা মৃত্যু বাই লাইটনিং: গারফিল্ড হত্যার রহস্য ও নাটক আত্মবিশ্বাসই মূলধন: ‘প্রিটি প্রিভিলেজ’ নিয়ে ফিরলেন আইস স্পাইস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৪)

সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

চিনারি ভালোবাসতেন মিনিয়েচার। কিন্তু চোখের অসুবিধা থাকায় মিনিয়েচার আর পরে করেননি। তৈলচিত্রে প্রতিকৃতি এঁকেছেন। চিনারির প্রভাব এত বেশি ছিল যে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় অনেক পেশাদার ও অপেশাদার শিল্পী তার ড্রইং নকল করতেন।

অনেক নকল এমন নিখুঁত যে, শিল্পরসিকরা আসল ও নকল গুলিয়ে ফেলেন।চিনারি ঢাকায় থাকার সময় কিছু এঁকেছেন যার কিছু সংগৃহীত হয়েছে। আমার পূর্বোল্লিখিত দুটি বইয়ে তাঁর কিছু ছবি আলোচিত হয়েছে। এখানে অনালোচিত ছবিগুলি আলোচিত হবে।

প্রথমেই জোফফানিও ও হোমের ছবি নিয়ে আলোচনা করা যাক।

লালবাগ দুর্গ নিয়ে সবচেয়ে পুরনো যে দু’টি ছবির সন্ধান পাওয়া যায় সে দুটি তেলরং। দুটি ছবিই আঁকা হয়েছে ১৭৮৭ সালে। এটি খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে, দুশো বছর আগে তেল রঙের দু’চিত্র এঁকেছিলেন দুই শিল্পী। এই দুটি ছবি নিয়ে লিখেছেন শামীম আমিনুর রহমান ও ওয়াকার খান। তাঁরা যে দুটি ছবি ছেপেছেন এবং সে বিষয়ে লিখেছেন তা অনেকটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

লালবাগ ফটকের দুর্দান্ত তৈলচিত্রটি, শামীম লিখেছেন হোমের। সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

অন্যদিকে ওয়াকার খান ২০১৪ সালে ১২টি পুরনো চিত্রের প্রতিলিপি দিয়ে এ্যাসুরেন্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে একটি টেবিল ক্যালেন্ডার করে দিয়েছেন। বিভ্রান্তির শুরুটা এখান থেকেই।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে আফগানিস্তান–পাকিস্তান আবারও ইস্তাম্বুলে বৈঠকে

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৪)

০৭:০০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

চিনারি ভালোবাসতেন মিনিয়েচার। কিন্তু চোখের অসুবিধা থাকায় মিনিয়েচার আর পরে করেননি। তৈলচিত্রে প্রতিকৃতি এঁকেছেন। চিনারির প্রভাব এত বেশি ছিল যে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় অনেক পেশাদার ও অপেশাদার শিল্পী তার ড্রইং নকল করতেন।

অনেক নকল এমন নিখুঁত যে, শিল্পরসিকরা আসল ও নকল গুলিয়ে ফেলেন।চিনারি ঢাকায় থাকার সময় কিছু এঁকেছেন যার কিছু সংগৃহীত হয়েছে। আমার পূর্বোল্লিখিত দুটি বইয়ে তাঁর কিছু ছবি আলোচিত হয়েছে। এখানে অনালোচিত ছবিগুলি আলোচিত হবে।

প্রথমেই জোফফানিও ও হোমের ছবি নিয়ে আলোচনা করা যাক।

লালবাগ দুর্গ নিয়ে সবচেয়ে পুরনো যে দু’টি ছবির সন্ধান পাওয়া যায় সে দুটি তেলরং। দুটি ছবিই আঁকা হয়েছে ১৭৮৭ সালে। এটি খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে, দুশো বছর আগে তেল রঙের দু’চিত্র এঁকেছিলেন দুই শিল্পী। এই দুটি ছবি নিয়ে লিখেছেন শামীম আমিনুর রহমান ও ওয়াকার খান। তাঁরা যে দুটি ছবি ছেপেছেন এবং সে বিষয়ে লিখেছেন তা অনেকটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

লালবাগ ফটকের দুর্দান্ত তৈলচিত্রটি, শামীম লিখেছেন হোমের। সোথেবির ক্যাটালগে ছবিটা ছাপা হওয়ার পর অনেকেই ধারণা করছিলেন সেটি হয়তো হোমের আঁকা। ছবিতে নাম স্বাক্ষরিত হয়নি।

অন্যদিকে ওয়াকার খান ২০১৪ সালে ১২টি পুরনো চিত্রের প্রতিলিপি দিয়ে এ্যাসুরেন্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে একটি টেবিল ক্যালেন্ডার করে দিয়েছেন। বিভ্রান্তির শুরুটা এখান থেকেই।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)