০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের প্রশ্ন: নতুন শুল্কের বৈধতা আউটকাস্ট–সিন্ডি–নো ডাউট এক মঞ্চে, ব্রায়ান উইলসনের জন্য এলটন জন — রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫ সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে আফগানিস্তান–পাকিস্তান আবারও ইস্তাম্বুলে বৈঠকে ফায়দা লুঠছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: ভেটেরানদের দুর্বলতার সুযোগ ২০২৬ সালের জন্য তিনটি বলিউড ছবি শুটের জায়গা হিসেবে আবারও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটদের বিভাজন: সরকারী বন্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা সিউলে ২০২৬ সালের কামব্যাক শো ঘোষণা করল বিটিএস, আজই খুলল গ্লোবাল টিকিটিং বিহারের নির্বাচন: মোদী এবং তার দলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ বেতনা নদী: সাতক্ষীরা, খুলনার একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক রত্ন আবার ফিরছে ‘গ্রেমলিনস’, ২০২৭ ছুটির মৌসুমে ওয়ার্নার ব্রসের ঘোষণা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

দেনা শোধ করতে না পেরে তিনি ১৮২২ সালে চলে যান দিনেমার অধিকৃত শ্রীরামপুরে।

প্রথমবার তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। দ্বিতীয়বার আবেদন গৃহীত হয়। ১৮০২ সালে মাদ্রাজে পা রাখেন। এখানেও কিছু ছবি আঁকেন। কিন্তু খুব সুবিধা করতে পেরেছিলেন বলে মনে হয় না। অনুমান করছি, এই সময় পিতার ব্যবসার সঙ্গে হয়তো যুক্ত থেকে কিছু রোজগার করতেন।। মাদ্রাজে তাঁর করা কয়েকটি এনগ্রেভিং নিয়ে একটি চটি বই বেরিয়েছিল, নাম ভিউজ ইন মাদ্রাজ। বইটি অতি দুষ্প্রাপ্য।

১৮০৮ সালে চলে আসেন রাজধানী কলকাতায়। কলকাতায় বেশি দিন থাকেননি। ডয়লি তখন ঢাকার কালেক্টর। তাঁর আমন্ত্রণে চলে আসেন ঢাকায়। ডয়লি তাঁর কাছে ছবি আঁকা মকশো করতেন। চিনারিকে নিয়ে ডয়লি একটি কবিতা লিখেছিলেন। তার ক’টি লাইন-

ছোট খালের ওপর একটি মুঘল পোল, শ্যামপুর, জোসেফ স্কট ফিলিপস, পেনসিল ড্রইং, ১০.০৪.১৮৩৩

That giant man in face and scenery, Whose works have pleased alike in East and West,Who looks at nature with an eye bold and free And steals her charms more keenly than the rest, Who, with less real merit, better line their nest.

কলকাতায় তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন। তাঁর কাজের চাহিদা ছিল। কিন্তু অর্থের অনটন তাঁর সবসময়ই ছিল। দেনা শোধ করতে না পেরে তিনি ১৮২২ সালে চলে যান দিনেমার অধিকৃত শ্রীরামপুরে। ১৮২৫ সালে চলে যান ম্যাকাও। সেখানে মারা যান ১৮৫২ সালে।

অস্থির চিত্ত ছিলেন চিনারি। ভারতবর্ষের অনেক জায়গায় গেছেন, অনেক প্রতিকৃতি এঁকেছেন; তার কিছু কিছু এখনও দেখতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন সংগ্রহে। জলরং ও স্কেচ করেছেন অসংখ্য বিশেষ করে হুগলীর আশেপাশের এলাকার। এসব স্কেচের কিছু রক্ষিত আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ইন্ডিয়া অফিস সংগ্রহে। ম্যাকাওয়ে আঁকা ছবিও কিছু সংগ্রহে আছে। অমিতাভ ঘোষের উপন্যাসে ম্যাকাওয়ে বসবাসরত চিনারির উল্লেখ আছে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭২)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭২)

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের প্রশ্ন: নতুন শুল্কের বৈধতা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭৩)

০৭:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

দেনা শোধ করতে না পেরে তিনি ১৮২২ সালে চলে যান দিনেমার অধিকৃত শ্রীরামপুরে।

প্রথমবার তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। দ্বিতীয়বার আবেদন গৃহীত হয়। ১৮০২ সালে মাদ্রাজে পা রাখেন। এখানেও কিছু ছবি আঁকেন। কিন্তু খুব সুবিধা করতে পেরেছিলেন বলে মনে হয় না। অনুমান করছি, এই সময় পিতার ব্যবসার সঙ্গে হয়তো যুক্ত থেকে কিছু রোজগার করতেন।। মাদ্রাজে তাঁর করা কয়েকটি এনগ্রেভিং নিয়ে একটি চটি বই বেরিয়েছিল, নাম ভিউজ ইন মাদ্রাজ। বইটি অতি দুষ্প্রাপ্য।

১৮০৮ সালে চলে আসেন রাজধানী কলকাতায়। কলকাতায় বেশি দিন থাকেননি। ডয়লি তখন ঢাকার কালেক্টর। তাঁর আমন্ত্রণে চলে আসেন ঢাকায়। ডয়লি তাঁর কাছে ছবি আঁকা মকশো করতেন। চিনারিকে নিয়ে ডয়লি একটি কবিতা লিখেছিলেন। তার ক’টি লাইন-

ছোট খালের ওপর একটি মুঘল পোল, শ্যামপুর, জোসেফ স্কট ফিলিপস, পেনসিল ড্রইং, ১০.০৪.১৮৩৩

That giant man in face and scenery, Whose works have pleased alike in East and West,Who looks at nature with an eye bold and free And steals her charms more keenly than the rest, Who, with less real merit, better line their nest.

কলকাতায় তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন। তাঁর কাজের চাহিদা ছিল। কিন্তু অর্থের অনটন তাঁর সবসময়ই ছিল। দেনা শোধ করতে না পেরে তিনি ১৮২২ সালে চলে যান দিনেমার অধিকৃত শ্রীরামপুরে। ১৮২৫ সালে চলে যান ম্যাকাও। সেখানে মারা যান ১৮৫২ সালে।

অস্থির চিত্ত ছিলেন চিনারি। ভারতবর্ষের অনেক জায়গায় গেছেন, অনেক প্রতিকৃতি এঁকেছেন; তার কিছু কিছু এখনও দেখতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন সংগ্রহে। জলরং ও স্কেচ করেছেন অসংখ্য বিশেষ করে হুগলীর আশেপাশের এলাকার। এসব স্কেচের কিছু রক্ষিত আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ইন্ডিয়া অফিস সংগ্রহে। ম্যাকাওয়ে আঁকা ছবিও কিছু সংগ্রহে আছে। অমিতাভ ঘোষের উপন্যাসে ম্যাকাওয়ে বসবাসরত চিনারির উল্লেখ আছে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭২)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৭২)