০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের প্রশ্ন: নতুন শুল্কের বৈধতা আউটকাস্ট–সিন্ডি–নো ডাউট এক মঞ্চে, ব্রায়ান উইলসনের জন্য এলটন জন — রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫ সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে আফগানিস্তান–পাকিস্তান আবারও ইস্তাম্বুলে বৈঠকে ফায়দা লুঠছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: ভেটেরানদের দুর্বলতার সুযোগ ২০২৬ সালের জন্য তিনটি বলিউড ছবি শুটের জায়গা হিসেবে আবারও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটদের বিভাজন: সরকারী বন্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা সিউলে ২০২৬ সালের কামব্যাক শো ঘোষণা করল বিটিএস, আজই খুলল গ্লোবাল টিকিটিং বিহারের নির্বাচন: মোদী এবং তার দলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ বেতনা নদী: সাতক্ষীরা, খুলনার একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক রত্ন আবার ফিরছে ‘গ্রেমলিনস’, ২০২৭ ছুটির মৌসুমে ওয়ার্নার ব্রসের ঘোষণা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা ( পর্ব-২)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • 57

ব্রিটিশরা তখন “কিংজ”-য়ের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ১৮৪২ সালে চীনের বিরুদ্ধে ‘প্রথম আফিম” যুদ্ধ হয়।

কমোডর পেরি’য় জবরদস্তি আচরণ জাপানের ‘চোখ’ খুলে দেয়, হৃদয়ঙ্গম করে যে পশ্চিমা উপনিবেশিক শক্তির থেকে তারা অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলেই “তকুগাওয়া শশুনেইটে’র পতন ঘটে। শগুন বনাম “মেইজি সরকারের” সাদ্রাজ্যিক দ্বন্দ্বে শগুন’দের সামরিক সামন্ততন্ত্রের স্থলে সম্রাট “কমেই” দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৮৬৭ সালে সম্রাট “কমেই”-য়ের মৃত্যু হলে তাঁর পুত্র “মেইজি” ক্ষমতাশীন হন।

১৮৬৮ সালে সম্রাট মেইজি জাপানকে পশ্চিমা ছাঁচে সংগঠণে মনোনিবেশ করেন এবং ‘মেইজি রিস্টোরেশন’ নামে পরিচিত প্রজেক্টের মাধ্যমে পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কাজে লাগবে এমন সব কৌশল রপ্ত করার জন্য জাপানি ছাত্রদেরকে পশ্চিমে পাঠানো হয়। আপাতদৃষ্টে মনে হয় যে জাপানও “পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর মতো “উপনিবেশিক শক্তি” হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল।

জাপানে যখন ‘মেইজি রিস্টোরেশন’ প্রজেক্ট পুরোদমে এগিয়ে চলেছে, চীন তখন “কিংজ রাজবংশের”, (Qing dynasty) শাসনাধীন। সেসময়ে, পশ্চিমাশক্তি যেমন জাপানকে “পক্ষপাতদুষ্ট অন্যায় চুক্তি” সই করতে বাধ্য করেছিল, পশ্চিমা শক্তিসমূহ একই ধরনের “পক্ষপাতদুষ্ট অন্যায় চুক্তি” সই-য়ের মাধ্যমে তাদের বণিক শ্রেণিকে চীনে অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ দেয়ার জন্য চীনের উপরে প্রবল চাপ দিতে থাকে।

যেমন: ইংরেজ সরকার ব্রিটিশ ভারতে আফিম চাষ শুরু করে এবং উৎপাদিত পণ্য চোরাপথে অবৈধভাবে চীনে রফতানি শুরু করে; সঙ্গে থাকে জনসাধারণের মধ্যে আফিম গ্রহণকে জনপ্রিয় করার আবশ্যকীয় বিজনেস প্রমোশনের ব্যবস্থা। রাজদরবারের শত আবেদনেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য মোটেই কর্ণপাত করে না। উপায়ন্তর না দেখে “কিংজ রাজদরবার” আফিম বোঝাই গুদামগুলো আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয়। ব্রিটিশরা তখন “কিংজ”-য়ের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ১৮৪২ সালে চীনের বিরুদ্ধে ‘প্রথম আফিম” যুদ্ধ হয়।

এই যুদ্ধে ইংরেজরা জেতে এবং একটি চুক্তিও সই হয় বটে কিন্তু বাকি পশ্চিমা শক্তির মদতে উৎসাহিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য চীনে আফিমের চোরাচালান অব্যাহত রাখে। ফলস্বরূপ, ১৮৬০ সালে দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধেও “কিংজ রাজবংশ পরাজিত হয়। এই দুই পরাজয়ের ফলে কিংজ রাজবংশ “পক্ষপাতদুষ্ট অন্যায় চুক্তি” সই করতে বাধ্য হয়। চীনের সবগুলো সামুদ্রিক বন্দর পশ্চিমা বণিকদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা ( পর্ব-১)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা ( পর্ব-১)

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের প্রশ্ন: নতুন শুল্কের বৈধতা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা ( পর্ব-২)

০৯:০০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

ব্রিটিশরা তখন “কিংজ”-য়ের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ১৮৪২ সালে চীনের বিরুদ্ধে ‘প্রথম আফিম” যুদ্ধ হয়।

কমোডর পেরি’য় জবরদস্তি আচরণ জাপানের ‘চোখ’ খুলে দেয়, হৃদয়ঙ্গম করে যে পশ্চিমা উপনিবেশিক শক্তির থেকে তারা অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলেই “তকুগাওয়া শশুনেইটে’র পতন ঘটে। শগুন বনাম “মেইজি সরকারের” সাদ্রাজ্যিক দ্বন্দ্বে শগুন’দের সামরিক সামন্ততন্ত্রের স্থলে সম্রাট “কমেই” দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৮৬৭ সালে সম্রাট “কমেই”-য়ের মৃত্যু হলে তাঁর পুত্র “মেইজি” ক্ষমতাশীন হন।

১৮৬৮ সালে সম্রাট মেইজি জাপানকে পশ্চিমা ছাঁচে সংগঠণে মনোনিবেশ করেন এবং ‘মেইজি রিস্টোরেশন’ নামে পরিচিত প্রজেক্টের মাধ্যমে পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কাজে লাগবে এমন সব কৌশল রপ্ত করার জন্য জাপানি ছাত্রদেরকে পশ্চিমে পাঠানো হয়। আপাতদৃষ্টে মনে হয় যে জাপানও “পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর মতো “উপনিবেশিক শক্তি” হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল।

জাপানে যখন ‘মেইজি রিস্টোরেশন’ প্রজেক্ট পুরোদমে এগিয়ে চলেছে, চীন তখন “কিংজ রাজবংশের”, (Qing dynasty) শাসনাধীন। সেসময়ে, পশ্চিমাশক্তি যেমন জাপানকে “পক্ষপাতদুষ্ট অন্যায় চুক্তি” সই করতে বাধ্য করেছিল, পশ্চিমা শক্তিসমূহ একই ধরনের “পক্ষপাতদুষ্ট অন্যায় চুক্তি” সই-য়ের মাধ্যমে তাদের বণিক শ্রেণিকে চীনে অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ দেয়ার জন্য চীনের উপরে প্রবল চাপ দিতে থাকে।

যেমন: ইংরেজ সরকার ব্রিটিশ ভারতে আফিম চাষ শুরু করে এবং উৎপাদিত পণ্য চোরাপথে অবৈধভাবে চীনে রফতানি শুরু করে; সঙ্গে থাকে জনসাধারণের মধ্যে আফিম গ্রহণকে জনপ্রিয় করার আবশ্যকীয় বিজনেস প্রমোশনের ব্যবস্থা। রাজদরবারের শত আবেদনেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য মোটেই কর্ণপাত করে না। উপায়ন্তর না দেখে “কিংজ রাজদরবার” আফিম বোঝাই গুদামগুলো আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয়। ব্রিটিশরা তখন “কিংজ”-য়ের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ১৮৪২ সালে চীনের বিরুদ্ধে ‘প্রথম আফিম” যুদ্ধ হয়।

এই যুদ্ধে ইংরেজরা জেতে এবং একটি চুক্তিও সই হয় বটে কিন্তু বাকি পশ্চিমা শক্তির মদতে উৎসাহিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য চীনে আফিমের চোরাচালান অব্যাহত রাখে। ফলস্বরূপ, ১৮৬০ সালে দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধেও “কিংজ রাজবংশ পরাজিত হয়। এই দুই পরাজয়ের ফলে কিংজ রাজবংশ “পক্ষপাতদুষ্ট অন্যায় চুক্তি” সই করতে বাধ্য হয়। চীনের সবগুলো সামুদ্রিক বন্দর পশ্চিমা বণিকদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা ( পর্ব-১)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা ( পর্ব-১)