এটি জোহানন জোফফানির (১৭৩৩-১৮১০) আঁকা। ভায়রে আঁকা জোফফানির অনেক ছবির বৈশিষ্ট্য তিনি এতে খুঁজে পেয়েছেন।
ক্যালেন্ডারের যে খাম সেখানে লালবাগ দুর্গ প্রাকারের তেলরং। শিরোনামে আছে, ১৮০০ সালে অজানা শিল্পীর আঁকা। ভেতরের শিরোনাম লালবাগ, ঢাকা, ১৭৯৯। রবার্ট হোম। খামে জন বুলারের বাড়ি হিসেবে হান্টারের তৈলচিত্রটি বড় কাটরার। সেটি ভুল বোঝাই যায়। ওয়াকার পরবর্তীকালে ‘মাই ফ্রেন্ড চার্লস মেগ’ নামে এখাট্ট প্রবন্ধে সেই ভ্রান্তি নিরসনে চেষ্টা করেছেন। যেগ তৈলচিত্র বিশারদ, লন্ডনে থাকেন।
তিনি প্রথমে নারিন্দার খ্রিস্টান কবরস্থান সংলগ্ন শশ্মান ঘাটের একটি তৈলচিত্র খুঁজে পান। আমেরিকা ও লন্ডনে তা প্রদর্শিত হয়েছে। তাঁর মতে, এটি জোহানন জোফফানির (১৭৩৩-১৮১০) আঁকা। ভায়রে আঁকা জোফফানির অনেক ছবির বৈশিষ্ট্য তিনি এতে খুঁজে পেয়েছেন।

ডা. ল্যাম্বের বাগানে মসজিদ, জোসেফ স্কট ফিলিপস, পেনসিল ড্রইং, ৩১.০৩.১৮৩৩, ডা. ল্যাম্ব ১৮২৮ সালে ছিলেন ঢাকার সিভিল সার্জন
পরবর্তীকালে সোথেবির নিলামে লালবাগের দক্ষিণ ফটক নিয়ে আঁকা একটি তৈলচিত্র দেখতে পান। ছবিটি অবিক্রিত থেকে যায়। পরে তিনি তা সংগ্রহ করে পরিষ্কার করেন এবং নানা নিরীক্ষার পর বলেন, এই ছবিটিও জোফ্ফানির এবং তা ১৭৯৯ সালে নয় ১৭৮৭ সালের। গ্রেগ যেহেতু এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ সেহেতু আপাতত মেনে নেয়া যেতে পারে যে, ১৭৮৭ সালে আঁকা লালবাগের দক্ষিণ ফটক তৈলচিত্রটি জোফ্ফানির আঁকা এবং ঢাকার ওপর আঁকা জোফফানির দুটি তৈলচিত্রই সবচেয়ে পুরনো।
কলকাতা থাকার সময়ই কি তিনি ঢাকায় এসেছিলেন? হতে পারে, যদিও সে সম্পর্কে কোনো তথ্য কোথাও নেই। গ্রেগ যে দুটি ছবির কথা উল্লেখ করেছেন তার তারিখ একই ১৭৮৭। ধরে নিতে পারি ঐ সময় তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। জোফ্ফানির আঁকা প্রত্নসম্পদের এই দুটি ছবিই চোখে পরে।লালবাগ ও নারিন্দার কবরস্থান সংলগ্ন নাগপানির ঘাট ছবি দু’টি জোফফানির আঁকা বলে ধরে নিচ্ছি যদিও সন্দেহ কিছুটা থেকে যায়।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















