০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
লেবাননের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ নিহত, নতুন সহিংসতার আশঙ্কা ‘আমার কোনও দোষ ছিল না, কিন্তু আমাকে সব কিছু হারাতে হয়েছে’ ‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের উপকূলীয় শহর ওওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল শতাধিক ঘর বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুতে এগোচ্ছে জাপান গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছে না, এবার রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ — জিপি ও বাংলালিংকের আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ভারতের স্পষ্ট বার্তা: যেখানেই হোক, সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে ইভি আর স্মার্ট গ্যাজেটের জোরে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা দেখাল শাওমি ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী

নির্বাচন আরও দূরে সরে যাচ্ছে—বললেন জি এম কাদের

  • Sarakhon Report
  • ১০:৩২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • 69

জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের অভিযোগ করেছেন—দেশ “ভজঘটভাবে” চলছে; ক্ষমতার কেন্দ্র ও দায়বদ্ধতার রেখা স্পষ্ট নয়। তাঁর ভাষায়, সরকার–ব্যবস্থার ভেতরে “আরেকটি সরকার” নেপথ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে; এমনকি নিবন্ধনবিহীন কিছু অংশও সরকারি সুবিধা ভোগ করছে—কেউ সরকারে, কেউ সরকারের বাইরে থেকেও প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছে। এতে ভোট–রাজনীতি, প্রতিনিধিত্ব ও নীতিনির্ধারণ নিয়ে জনমনে অনিশ্চয়তা ও সন্দেহ বাড়ছে।

বিকেলে জাপা কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে ‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি’ দাবির সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জি এম কাদের বলেন, সরকারের বাইরে থাকা বহু দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েই রহস্য তৈরি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন—এই ক’টি দল কি সত্যিই সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে? “দেশে কি বিরোধী দল বা বিরোধী কণ্ঠস্বর অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল?”—জিজ্ঞেস করে জি এম কাদের দাবি করেন, দেশের ৬০–৭০ শতাংশ মানুষ বর্তমান কর্মকাণ্ডের বিরোধী।

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, জাপা নেতাকর্মীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ঢাকার নেতা সেলিম প্রায় এক বছর ধরে হাজতে—তবু জামিন মেলে না। তাঁর বক্তব্য, বাদী–আইনজীবী–বিচারক—সকলেই জানেন বহু মামলার ভিত্তি দুর্বল; তারপরও তা প্রত্যাহার হয় না। উদ্দেশ্য—জাপার রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর রোধ করা। “বিরোধী কণ্ঠস্বর সরকার সহ্য করতে পারে না,”—জোর দিয়ে বলেন জি এম কাদের।

বর্তমান পরিস্থিতিকে “নব্য ফ্যাসিবাদ” আখ্যা দিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন’-এর পর ‘ইনকিলাব’—আরবি উৎসের এই স্লোগান—উচ্চকণ্ঠে শোনা গেলেও বাস্তবে দমন–পীড়ন বেড়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ‘ইনকিলাব’ স্লোগানের ইতিহাস টেনে তিনি ইঙ্গিত করেন—শব্দের জৌলুস থাকলেও কাঙ্ক্ষিত প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন হচ্ছে না।

২০২৪ সালের ১ জুলাই শুরু হওয়া কোটা–বিরোধী আন্দোলনকে “বৈষম্য–বিরোধী আন্দোলন” হিসেবে চিহ্নিত করে জি এম কাদের বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশিরা ঐতিহাসিকভাবে আপসহীন। আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জাপা রাজপথে ছিল—লক্ষ্য ছিল “সুন্দর নির্বাচন” ও জবাবদিহিমূলক সরকার। কিন্তু আজ “সুন্দর নির্বাচন” আরও দূরে—প্রশাসন–বিচারব্যবস্থার মনোবল ভেঙে দেওয়া, দলীয়করণ ও বাছাই–নিয়োগের কারণে “নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ” অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জি এম কাদেরের দাবি, তথাকথিত ‘সরকারি দলের’ কিছু অংশকে শুধু পুলিশ নয়, সেনাবাহিনীর সুরক্ষাও দেওয়া হচ্ছে—এ অবস্থায় সমান প্রতিযোগিতা কোথায়? তিনি মনে করিয়ে দেন, বিচার ও সংস্কার দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া; জনমত উপেক্ষা করে জোর করে সংস্কার চাপালে গ্রহণযোগ্যতা আসে না। “সংস্কার চলমান, যার শেষ নেই; আর বিচার দ্রুত করা গেলেও ৫–৬ বছরের আগে পূর্ণতা পাওয়া কঠিন,”—বলেছেন জি এম কাদের।

সমাজ–রাজনীতির বিভাজন নিয়ে জি এম কাদেরের মন্তব্য, “বেশিরভাগ মানুষকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে মব–সংস্কৃতি তৈরী হচ্ছে”—যা হানাহানি বাড়াচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন—“যারা বলছেন আন্দোলন সফল না হলে সশস্ত্র পথে যাওয়া হতো—অস্ত্র–প্রশিক্ষণ কোথা থেকে এলো? সেই অস্ত্র এখন কোথায়?”—এ ধরনের বক্তব্য, তাঁর মতে, “সবকিছু করার অবারিত ম্যান্ডেট” নিজেরাই অনুমান করার ইঙ্গিত দেয়।

অর্থনীতি ও জীবিকার প্রশ্নে জি এম কাদের বলেন, রিকশাচালক–শ্রমিক–কারখানামালিক—অনেকেই মনে করছেন, বর্তমানের তুলনায় আগের পরিস্থিতি ভালো ছিল। শেখ হাসিনার আমলকে ‘ভালো’ বলার সুযোগ না থাকলেও তুলনায় অনেকে সেটিকে অপেক্ষাকৃত সহনীয় ভাবছেন—এ অনুভূতিকে নীতিনির্ধারকদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের।

জি এম কাদের আরো বলেন, ১৯৭১–এর সময়ে ‘সবচেয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর’ কারা ছিল, কিংবা কোন শাসনামলে পরপর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, সংবিধান পাল্টে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাকে পাশ করাতে হবে তার তালিকা, বিচারবহির্ভূত হত্যার অবকাঠামো—এসব প্রশ্নে দায় চাপানোর রাজনীতি পরিহার করতে হবে। জাপা জনগণের দল ছিল–আছে–থাকবে—এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে জি এম কাদের প্রতিহিংসার বদলে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় দায় নির্ধারণের আহ্বান জানান; না হলে ক্ষমতা বদলালেই ‘গণহারে নির্যাতন’—এই দুরাচার চলতেই থাকবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জি এম কাদেরের সংক্ষিপ্ত রায়—“মনোবলহীন প্রশাসন, দলীয়কৃত নিয়োগ ও পক্ষপাতদুষ্ট সুরক্ষার মধ্যে নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয়।” তাই প্রথম কাজ হওয়া উচিত—সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ভয়–ভীতি দূর করা, আইনের শাসনে আস্থা ফেরানো। অন্যথায় ‘ইনকিলাব’ বা ‘বিপ্লব’ শব্দ থাকবে—বাস্তব পরিবর্তন হবে না।

সমাবেশ শেষে জাপা কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে দলটির মহাসচিব, কো–চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন ও সংহতি বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

লেবাননের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ নিহত, নতুন সহিংসতার আশঙ্কা

নির্বাচন আরও দূরে সরে যাচ্ছে—বললেন জি এম কাদের

১০:৩২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের অভিযোগ করেছেন—দেশ “ভজঘটভাবে” চলছে; ক্ষমতার কেন্দ্র ও দায়বদ্ধতার রেখা স্পষ্ট নয়। তাঁর ভাষায়, সরকার–ব্যবস্থার ভেতরে “আরেকটি সরকার” নেপথ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে; এমনকি নিবন্ধনবিহীন কিছু অংশও সরকারি সুবিধা ভোগ করছে—কেউ সরকারে, কেউ সরকারের বাইরে থেকেও প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছে। এতে ভোট–রাজনীতি, প্রতিনিধিত্ব ও নীতিনির্ধারণ নিয়ে জনমনে অনিশ্চয়তা ও সন্দেহ বাড়ছে।

বিকেলে জাপা কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে ‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি’ দাবির সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জি এম কাদের বলেন, সরকারের বাইরে থাকা বহু দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েই রহস্য তৈরি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন—এই ক’টি দল কি সত্যিই সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে? “দেশে কি বিরোধী দল বা বিরোধী কণ্ঠস্বর অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল?”—জিজ্ঞেস করে জি এম কাদের দাবি করেন, দেশের ৬০–৭০ শতাংশ মানুষ বর্তমান কর্মকাণ্ডের বিরোধী।

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, জাপা নেতাকর্মীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ঢাকার নেতা সেলিম প্রায় এক বছর ধরে হাজতে—তবু জামিন মেলে না। তাঁর বক্তব্য, বাদী–আইনজীবী–বিচারক—সকলেই জানেন বহু মামলার ভিত্তি দুর্বল; তারপরও তা প্রত্যাহার হয় না। উদ্দেশ্য—জাপার রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর রোধ করা। “বিরোধী কণ্ঠস্বর সরকার সহ্য করতে পারে না,”—জোর দিয়ে বলেন জি এম কাদের।

বর্তমান পরিস্থিতিকে “নব্য ফ্যাসিবাদ” আখ্যা দিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন’-এর পর ‘ইনকিলাব’—আরবি উৎসের এই স্লোগান—উচ্চকণ্ঠে শোনা গেলেও বাস্তবে দমন–পীড়ন বেড়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ‘ইনকিলাব’ স্লোগানের ইতিহাস টেনে তিনি ইঙ্গিত করেন—শব্দের জৌলুস থাকলেও কাঙ্ক্ষিত প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন হচ্ছে না।

২০২৪ সালের ১ জুলাই শুরু হওয়া কোটা–বিরোধী আন্দোলনকে “বৈষম্য–বিরোধী আন্দোলন” হিসেবে চিহ্নিত করে জি এম কাদের বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশিরা ঐতিহাসিকভাবে আপসহীন। আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জাপা রাজপথে ছিল—লক্ষ্য ছিল “সুন্দর নির্বাচন” ও জবাবদিহিমূলক সরকার। কিন্তু আজ “সুন্দর নির্বাচন” আরও দূরে—প্রশাসন–বিচারব্যবস্থার মনোবল ভেঙে দেওয়া, দলীয়করণ ও বাছাই–নিয়োগের কারণে “নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ” অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জি এম কাদেরের দাবি, তথাকথিত ‘সরকারি দলের’ কিছু অংশকে শুধু পুলিশ নয়, সেনাবাহিনীর সুরক্ষাও দেওয়া হচ্ছে—এ অবস্থায় সমান প্রতিযোগিতা কোথায়? তিনি মনে করিয়ে দেন, বিচার ও সংস্কার দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া; জনমত উপেক্ষা করে জোর করে সংস্কার চাপালে গ্রহণযোগ্যতা আসে না। “সংস্কার চলমান, যার শেষ নেই; আর বিচার দ্রুত করা গেলেও ৫–৬ বছরের আগে পূর্ণতা পাওয়া কঠিন,”—বলেছেন জি এম কাদের।

সমাজ–রাজনীতির বিভাজন নিয়ে জি এম কাদেরের মন্তব্য, “বেশিরভাগ মানুষকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে মব–সংস্কৃতি তৈরী হচ্ছে”—যা হানাহানি বাড়াচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন—“যারা বলছেন আন্দোলন সফল না হলে সশস্ত্র পথে যাওয়া হতো—অস্ত্র–প্রশিক্ষণ কোথা থেকে এলো? সেই অস্ত্র এখন কোথায়?”—এ ধরনের বক্তব্য, তাঁর মতে, “সবকিছু করার অবারিত ম্যান্ডেট” নিজেরাই অনুমান করার ইঙ্গিত দেয়।

অর্থনীতি ও জীবিকার প্রশ্নে জি এম কাদের বলেন, রিকশাচালক–শ্রমিক–কারখানামালিক—অনেকেই মনে করছেন, বর্তমানের তুলনায় আগের পরিস্থিতি ভালো ছিল। শেখ হাসিনার আমলকে ‘ভালো’ বলার সুযোগ না থাকলেও তুলনায় অনেকে সেটিকে অপেক্ষাকৃত সহনীয় ভাবছেন—এ অনুভূতিকে নীতিনির্ধারকদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের।

জি এম কাদের আরো বলেন, ১৯৭১–এর সময়ে ‘সবচেয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর’ কারা ছিল, কিংবা কোন শাসনামলে পরপর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, সংবিধান পাল্টে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাকে পাশ করাতে হবে তার তালিকা, বিচারবহির্ভূত হত্যার অবকাঠামো—এসব প্রশ্নে দায় চাপানোর রাজনীতি পরিহার করতে হবে। জাপা জনগণের দল ছিল–আছে–থাকবে—এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে জি এম কাদের প্রতিহিংসার বদলে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় দায় নির্ধারণের আহ্বান জানান; না হলে ক্ষমতা বদলালেই ‘গণহারে নির্যাতন’—এই দুরাচার চলতেই থাকবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জি এম কাদেরের সংক্ষিপ্ত রায়—“মনোবলহীন প্রশাসন, দলীয়কৃত নিয়োগ ও পক্ষপাতদুষ্ট সুরক্ষার মধ্যে নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয়।” তাই প্রথম কাজ হওয়া উচিত—সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ভয়–ভীতি দূর করা, আইনের শাসনে আস্থা ফেরানো। অন্যথায় ‘ইনকিলাব’ বা ‘বিপ্লব’ শব্দ থাকবে—বাস্তব পরিবর্তন হবে না।

সমাবেশ শেষে জাপা কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে দলটির মহাসচিব, কো–চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন ও সংহতি বক্তব্য দেন।