০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সৌদি সম্মানে ভূষিত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নতুন বার্তা ভ্যান্সকে ঘিরে ডানপন্থীদের নতুন সমীকরণ, ২০২৮ দৌড়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু স্বাস্থ্য উপহারই এবার উৎসবের নতুন ট্রেন্ড চীনা প্রযুক্তিতে মার্কিন বিনিয়োগে কড়াকড়ি, নতুন আইনে নজরদারি ও প্রতিরক্ষা খাতে বড় বাঁক ক্ষমতার সীমা ভাঙার বছর ট্রাম্পের, বিতর্ক আর দ্রুত সিদ্ধান্তে কাঁপল হোয়াইট হাউস শহরের স্পন্দনে কুপ্রা: সিটি গ্যারেজে বদলে যাচ্ছে নগর সংস্কৃতির মানচিত্র ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত, ঋণের চাপ আর সংস্কারের চ্যালেঞ্জ: শ্রীলঙ্কা এক সংকটে আটকে পড়েছে জিএমের বৈশ্বিক দৌড় ফর্মুলা ওয়ানকে হাতিয়ার করে নতুন বাজারে আমেরিকার অটো জায়ান্ট মাদুরো পতনের ছক কি যুদ্ধ ডেকে আনবে ক্যারিবিয়ানে

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৮০)

“দুটি ধনাত্মক রাশির যোগ ধনাত্মক, দুটি ঋণাত্মক রাশির যোগ ঋণাত্মক এবং ঋণাত্মক ও ধনাত্মক রাশির যোগ তাদের পার্থক্যকে বোঝাবে।

বিয়োগ করতে হলে “সূত্র” শব্দটির আন্তাক্ষর “স্” বর্ণটি ব্যবহার করা হত। অনেক পণ্ডিত মনে করে ক্ষ বর্ণটির ক্রমোন্নতির ফলেই “+” চিহ্নটি ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে দেখা যায়। অনেক পণ্ডিত অবশ্য অশোক লিপির ক (ক) বর্ণটির সঙ্গে “+” চিহ্নের সাদৃশ দেখেন। এই প্রসঙ্গে ডঃ হোর্ণলে অনুমান করেন ও বর্ণটি সংস্কৃত। কনীয়স বা স্থান শব্দ থেকে এসেছে। ২ উভয়েই অর্থ হছে “কমাও” বিখ্যাত গণিত ঐতিহাসিক ডঃ বিভূতিভূষণ দত্ত মনে করেন-সংস্কৃত ক্ষয় শব্দটির ক্রমবিকাশের ফলে “+” চিহ্নটি ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে এসেছে।

বিখ্যাত টীকা-কার পৃথুদকস্বামী এবং তৎপরবর্তী বহু ভারতীয় গণিতবিদ যে সংখ্যাটি বিয়োগ করতে হবে তার মাথায় একটি বিন্দু (১) বসিয়ে বিয়োগ চিহ্নকে বোঝাতে চেয়েছেন। যেমন ধরা যাক ১২৭ যাই হোক এখন চিহ্নের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা না করে চিহ্নাদির নিয়ম (বা সূত্র) সম্বন্ধে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে কে কি বলেছেন তা নিয়ে কিছু বলা যাক। অবশ্য আমরা ইতিপূর্বে পাটীগণিতের মধ্যে যোগ, বিয়োগ প্রভৃতির নিয়মগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানেও প্রায় একই তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্ত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

চিহ্নাদির নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করতে দেখা যায় ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে, গণিতসার সংগ্রহে, সিদ্ধান্ত শেখরে, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের বীজগণিত প্রভৃতি গ্রন্থে। ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন “দুটি ধনাত্মক রাশির যোগ ধনাত্মক, দুটি ঋণাত্মক রাশির যোগ ঋণাত্মক এবং ঋণাত্মক ও ধনাত্মক রাশির যোগ তাদের পার্থক্যকে বোঝাবে। মহাবীর গণিতসারসংগ্রহে বলেছেন “ধনাত্মক রাশিদ্বয়ের যোগফল তাদের পার্থক্যকে বোঝাবে। দুটি ধনাত্মক রাশির যোগফল ধনাত্মক ও দুটি ঋণাত্মক রাশির যোগফল ঋণাত্মক হবে।”

শ্রীপতি সিদ্ধান্ত শেখরে বলেছেন:

ঐক্যং যুতৌ স্নাত, জয়য়োঃ স্বয়োশ্চ
ধনর্ণয়োরস্তরমেব যোগঃ
সংশোধ্যমানং স্বয়ণং তথর্ণং
ধনং ভবেছক্তবদত্র যোগঃ।

অর্থাৎ দুটি ধনরাশির বা দুটি ঋণরাশি যোগ হয়ে থাকে। একটি ধন অপরটি ঋণ হলে তাদের অন্তরই যোগ। বিযোজ্য ধন হলে বিয়োগ ছলে তা ঋণ হবে এবং ঐরূপ ঋণরাশি ধন হবে। অতঃপর এদের যোগ করতে হবে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৭৯)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৭৯)

জনপ্রিয় সংবাদ

কিউবার পথে সর্বনাশের ছায়া ভেনিজুয়েলার তেলে মার্কিন অবরোধে দ্বীপ রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৮০)

০৩:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

“দুটি ধনাত্মক রাশির যোগ ধনাত্মক, দুটি ঋণাত্মক রাশির যোগ ঋণাত্মক এবং ঋণাত্মক ও ধনাত্মক রাশির যোগ তাদের পার্থক্যকে বোঝাবে।

বিয়োগ করতে হলে “সূত্র” শব্দটির আন্তাক্ষর “স্” বর্ণটি ব্যবহার করা হত। অনেক পণ্ডিত মনে করে ক্ষ বর্ণটির ক্রমোন্নতির ফলেই “+” চিহ্নটি ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে দেখা যায়। অনেক পণ্ডিত অবশ্য অশোক লিপির ক (ক) বর্ণটির সঙ্গে “+” চিহ্নের সাদৃশ দেখেন। এই প্রসঙ্গে ডঃ হোর্ণলে অনুমান করেন ও বর্ণটি সংস্কৃত। কনীয়স বা স্থান শব্দ থেকে এসেছে। ২ উভয়েই অর্থ হছে “কমাও” বিখ্যাত গণিত ঐতিহাসিক ডঃ বিভূতিভূষণ দত্ত মনে করেন-সংস্কৃত ক্ষয় শব্দটির ক্রমবিকাশের ফলে “+” চিহ্নটি ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে এসেছে।

বিখ্যাত টীকা-কার পৃথুদকস্বামী এবং তৎপরবর্তী বহু ভারতীয় গণিতবিদ যে সংখ্যাটি বিয়োগ করতে হবে তার মাথায় একটি বিন্দু (১) বসিয়ে বিয়োগ চিহ্নকে বোঝাতে চেয়েছেন। যেমন ধরা যাক ১২৭ যাই হোক এখন চিহ্নের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা না করে চিহ্নাদির নিয়ম (বা সূত্র) সম্বন্ধে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে কে কি বলেছেন তা নিয়ে কিছু বলা যাক। অবশ্য আমরা ইতিপূর্বে পাটীগণিতের মধ্যে যোগ, বিয়োগ প্রভৃতির নিয়মগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানেও প্রায় একই তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্ত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

চিহ্নাদির নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করতে দেখা যায় ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে, গণিতসার সংগ্রহে, সিদ্ধান্ত শেখরে, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের বীজগণিত প্রভৃতি গ্রন্থে। ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন “দুটি ধনাত্মক রাশির যোগ ধনাত্মক, দুটি ঋণাত্মক রাশির যোগ ঋণাত্মক এবং ঋণাত্মক ও ধনাত্মক রাশির যোগ তাদের পার্থক্যকে বোঝাবে। মহাবীর গণিতসারসংগ্রহে বলেছেন “ধনাত্মক রাশিদ্বয়ের যোগফল তাদের পার্থক্যকে বোঝাবে। দুটি ধনাত্মক রাশির যোগফল ধনাত্মক ও দুটি ঋণাত্মক রাশির যোগফল ঋণাত্মক হবে।”

শ্রীপতি সিদ্ধান্ত শেখরে বলেছেন:

ঐক্যং যুতৌ স্নাত, জয়য়োঃ স্বয়োশ্চ
ধনর্ণয়োরস্তরমেব যোগঃ
সংশোধ্যমানং স্বয়ণং তথর্ণং
ধনং ভবেছক্তবদত্র যোগঃ।

অর্থাৎ দুটি ধনরাশির বা দুটি ঋণরাশি যোগ হয়ে থাকে। একটি ধন অপরটি ঋণ হলে তাদের অন্তরই যোগ। বিযোজ্য ধন হলে বিয়োগ ছলে তা ঋণ হবে এবং ঐরূপ ঋণরাশি ধন হবে। অতঃপর এদের যোগ করতে হবে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৭৯)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৭৯)