০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা

ট্রাম্পের ক্ষমতা বিস্তারের প্রচেষ্টা: বরখাস্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সীমা পরীক্ষা

সারসংক্ষেপ

  • বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের বরখাস্ত ও ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের ঝুঁকি দেখছেন
  • ট্রাম্প দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি যা খুশি করতে পারেন
  • কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে তেমন কোনো বাধা নেই

হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার নতুন ধাক্কা

ওয়াশিংটন, ২৯ আগস্ট (রয়টার্স): যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল সরকারের কার্যক্রমের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। টানা তিন দিনে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন।

তিনি ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (CDC) পরিচালক সুসান মোন্টানেজ এবং রেলওয়ে নিয়ন্ত্রক রবার্ট প্রিমাসকে পদচ্যুত করেছেন।

এই পদক্ষেপগুলো এমন সব খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করার ইঙ্গিত দেয়, যেগুলো সাধারণত স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা। এর প্রভাব পড়তে পারে আর্থিক বাজার, জনস্বাস্থ্য নীতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থার ওপর।

স্বাধীন সংস্থাগুলোর ওপর চাপ

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বরখাস্ত সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যেগুলোকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করার কথা।

পার্টনারশিপ ফর পাবলিক সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্স স্টিয়ার বলেন, “এটি এক ধরনের অস্বাভাবিক ও বিপজ্জনক ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা। রাষ্ট্রপতির হাতে অনেক ক্ষমতা থাকে, তবে তার সীমা আছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেই সীমা মানতে চাইছেন না।”

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প সংবিধানসম্মত ক্ষমতার ভেতর থেকেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। মোন্টানেজ ও প্রিমাসকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রশাসন জানায়, তারা ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে একমত ছিলেন না।

মোন্টানেজ সম্প্রতি টিকা নীতিতে বৈজ্ঞানিক তথ্যবিরোধী পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিলেন। প্রিমাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প নীতির সমালোচনামূলক মন্তব্য পাওয়া যায়। কুকের বিরুদ্ধে প্রশাসন বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে, যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছেন, ফেড বোর্ডে নিজের সমর্থকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করাই তাঁর উদ্দেশ্য।

মামলা ও প্রতিরোধ

লিসা কুক ইতোমধ্যে আদালতে মামলা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে তাঁকে সরানোর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। মোন্টানেজ পদত্যাগে অস্বীকার করেছিলেন। প্রিমাসও বলেছেন, তাঁর বরখাস্ত আইনসিদ্ধ নয়।

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বাধীনতা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য ধরা হয়। কিন্তু ট্রাম্প ফেডের ওপর প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন ম্যানার্স বলেন, “যদি ফেড গভর্নরের এই বরখাস্ত টিকে যায়, তবে বাকি সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক চাপের অধীনে চলে যাবে।”

জনজীবনে সরাসরি হস্তক্ষেপ

দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসের মধ্যে ট্রাম্প সরকারি ও জনজীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন।

  • ক্র্যাকার ব্যারেল রেস্তোরাঁর নতুন লোগো পরিবর্তনের পরিকল্পনা তিনি সরাসরি বাতিল করিয়েছেন।
  • ইন্টেল কোম্পানির শেয়ারে সরকারি অংশীদারিত্ব নিয়েছেন এবং এনভিডিয়ার বিক্রয় থেকে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করেছেন।
  • বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, কারণ তারা সরকারি অর্থায়ন পায়।

হোয়াইট হাউস মুখপাত্র টেইলর রজার্স বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প সংবিধান ও কংগ্রেস প্রদত্ত নির্বাহী ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।”

এই সপ্তাহে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি চাইলে সেনা পাঠিয়ে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণাধীন শিকাগো শহরে টহল বসাতে পারেন, কারণ “রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি যা খুশি করার অধিকার রাখি।”

বিরোধিতার অভাব

আব্রাহাম লিঙ্কন থেকে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট—পূর্বের শক্তিশালী মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষেত্রে তা এখনো দেখা যায়নি।

তিনি যেসব কর্মকর্তাকে বিরোধী হিসেবে দেখেছেন, তাঁদের সরিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠদের বসাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টাদের মাধ্যমে সংস্থাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ব্রেন্ডান কার (ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন) এবং উইলিয়াম পুল্টে (ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সি) মতো কর্মকর্তাদের উত্থান ঘটিয়েছেন, যারা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যানিয়েল ফারবার বলেন, “পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরা প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষ, বিশেষজ্ঞ মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু ট্রাম্পের কাছে এসব অপ্রয়োজনীয়। তিনি সরকারকে প্রায় নিজের কোম্পানির মতো চালাতে চান।”

আইনি প্রশ্নের মুখে ফেড

রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে কিছু স্বাধীন সংস্থার কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার ট্রাম্পের ক্ষমতা স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এক রায়ে আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভের ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা পুরোপুরি প্রযোজ্য নাও হতে পারে। ট্রাম্প মনে হচ্ছে সেই সীমা পরীক্ষা করতে প্রস্তুত।

জনপ্রিয় সংবাদ

নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ

ট্রাম্পের ক্ষমতা বিস্তারের প্রচেষ্টা: বরখাস্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সীমা পরীক্ষা

০৩:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

সারসংক্ষেপ

  • বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের বরখাস্ত ও ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের ঝুঁকি দেখছেন
  • ট্রাম্প দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি যা খুশি করতে পারেন
  • কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে তেমন কোনো বাধা নেই

হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার নতুন ধাক্কা

ওয়াশিংটন, ২৯ আগস্ট (রয়টার্স): যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল সরকারের কার্যক্রমের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। টানা তিন দিনে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন।

তিনি ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (CDC) পরিচালক সুসান মোন্টানেজ এবং রেলওয়ে নিয়ন্ত্রক রবার্ট প্রিমাসকে পদচ্যুত করেছেন।

এই পদক্ষেপগুলো এমন সব খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করার ইঙ্গিত দেয়, যেগুলো সাধারণত স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা। এর প্রভাব পড়তে পারে আর্থিক বাজার, জনস্বাস্থ্য নীতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থার ওপর।

স্বাধীন সংস্থাগুলোর ওপর চাপ

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বরখাস্ত সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যেগুলোকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করার কথা।

পার্টনারশিপ ফর পাবলিক সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্স স্টিয়ার বলেন, “এটি এক ধরনের অস্বাভাবিক ও বিপজ্জনক ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা। রাষ্ট্রপতির হাতে অনেক ক্ষমতা থাকে, তবে তার সীমা আছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেই সীমা মানতে চাইছেন না।”

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প সংবিধানসম্মত ক্ষমতার ভেতর থেকেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। মোন্টানেজ ও প্রিমাসকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রশাসন জানায়, তারা ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে একমত ছিলেন না।

মোন্টানেজ সম্প্রতি টিকা নীতিতে বৈজ্ঞানিক তথ্যবিরোধী পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিলেন। প্রিমাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প নীতির সমালোচনামূলক মন্তব্য পাওয়া যায়। কুকের বিরুদ্ধে প্রশাসন বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে, যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছেন, ফেড বোর্ডে নিজের সমর্থকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করাই তাঁর উদ্দেশ্য।

মামলা ও প্রতিরোধ

লিসা কুক ইতোমধ্যে আদালতে মামলা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে তাঁকে সরানোর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। মোন্টানেজ পদত্যাগে অস্বীকার করেছিলেন। প্রিমাসও বলেছেন, তাঁর বরখাস্ত আইনসিদ্ধ নয়।

বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বাধীনতা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য ধরা হয়। কিন্তু ট্রাম্প ফেডের ওপর প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন ম্যানার্স বলেন, “যদি ফেড গভর্নরের এই বরখাস্ত টিকে যায়, তবে বাকি সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক চাপের অধীনে চলে যাবে।”

জনজীবনে সরাসরি হস্তক্ষেপ

দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসের মধ্যে ট্রাম্প সরকারি ও জনজীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন।

  • ক্র্যাকার ব্যারেল রেস্তোরাঁর নতুন লোগো পরিবর্তনের পরিকল্পনা তিনি সরাসরি বাতিল করিয়েছেন।
  • ইন্টেল কোম্পানির শেয়ারে সরকারি অংশীদারিত্ব নিয়েছেন এবং এনভিডিয়ার বিক্রয় থেকে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করেছেন।
  • বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, কারণ তারা সরকারি অর্থায়ন পায়।

হোয়াইট হাউস মুখপাত্র টেইলর রজার্স বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প সংবিধান ও কংগ্রেস প্রদত্ত নির্বাহী ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।”

এই সপ্তাহে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি চাইলে সেনা পাঠিয়ে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণাধীন শিকাগো শহরে টহল বসাতে পারেন, কারণ “রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি যা খুশি করার অধিকার রাখি।”

বিরোধিতার অভাব

আব্রাহাম লিঙ্কন থেকে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট—পূর্বের শক্তিশালী মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষেত্রে তা এখনো দেখা যায়নি।

তিনি যেসব কর্মকর্তাকে বিরোধী হিসেবে দেখেছেন, তাঁদের সরিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠদের বসাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টাদের মাধ্যমে সংস্থাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ব্রেন্ডান কার (ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন) এবং উইলিয়াম পুল্টে (ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সি) মতো কর্মকর্তাদের উত্থান ঘটিয়েছেন, যারা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যানিয়েল ফারবার বলেন, “পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরা প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষ, বিশেষজ্ঞ মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু ট্রাম্পের কাছে এসব অপ্রয়োজনীয়। তিনি সরকারকে প্রায় নিজের কোম্পানির মতো চালাতে চান।”

আইনি প্রশ্নের মুখে ফেড

রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে কিছু স্বাধীন সংস্থার কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার ট্রাম্পের ক্ষমতা স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এক রায়ে আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভের ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা পুরোপুরি প্রযোজ্য নাও হতে পারে। ট্রাম্প মনে হচ্ছে সেই সীমা পরীক্ষা করতে প্রস্তুত।