সংক্ষিপ্তসার
- • ইরানকে তিনটি শর্ত পূরণ করলে ছয় মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি (E3)।
- • ইরান বলছে এই প্রস্তাব অবাস্তব শর্তে ভরা।
- • রাশিয়া ও চীন ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
জাতিসংঘে আলোচনা
শুক্রবার জাতিসংঘে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ইরান যদি তিনটি শর্ত মেনে নেয় তবে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল (স্ন্যাপব্যাক) প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হবে। এর মাধ্যমে ইরান বিষয়ক নতুন সমাধানের জন্য আলোচনার সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানকে জাতিসংঘের পরিদর্শকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিতে হবে, সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত নিয়ে উদ্বেগ দূর করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।
ব্রিটেনের জাতিসংঘ প্রতিনিধি বারবারা উডওয়ার্ড সাংবাদিকদের বলেন, এই শর্তগুলো ন্যায্য ও বাস্তবসম্মত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইরান এগুলো মানতে আগ্রহ দেখায়নি। তিনি আহ্বান জানান যে ইরান প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় এবং দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সমাধানের পথ তৈরি করে।
ইরানের প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, E3-এর প্রস্তাব অবাস্তব শর্তে পূর্ণ। তাঁর মতে, যেসব দাবি করা হয়েছে সেগুলো আলোচনার ফলাফল হতে পারে, আলোচনার প্রারম্ভিক শর্ত নয়।
ইরাভানি বলেন, E3-এর উচিত হবে জাতিসংঘের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবনার বৈধতা দেওয়া এবং ২০১৫ সালের চুক্তির মেয়াদকে একটি স্বল্পমেয়াদি, শর্তহীন প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণে সমর্থন দেওয়া।

রাশিয়া–চীনের উদ্যোগ
রাশিয়া ও চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যেখানে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তারা সব পক্ষকে অবিলম্বে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রাথমিক খসড়ায় এমন কিছু ধারা ছিল যা E3-কে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল থেকে বিরত রাখত। তবে চীন ও রাশিয়া পরে সেগুলো বাদ দিয়েছে। তাদের মতে, এই প্রস্তাব কূটনীতির জন্য সময় কিনে দেওয়ার একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।
একটি প্রস্তাব গৃহীত হতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত নয়টি ভোটের প্রয়োজন এবং যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, চীন বা রাশিয়ার কেউ ভেটো দিতে পারবে না।
জাতিসংঘ পরিদর্শকরা ইরানে ফিরলেও ইরান এখনো আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে কোনো চুক্তিতে পৌঁছায়নি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















