সাংবাদিকরা লক্ষ্য করেছেন, “ভূমিকম্পে সামান্য গৃহাদি যেরূপ বিনষ্ট হইয়াছে তদ্রূপ দেবগৃহগুলি বিনষ্ট হয় নাই।
মানসিক বিপর্যয় আরো বৃদ্ধি করেছিল বারবাং ভূকম্পন। প্রায় দুই মাস ঢাকায় মৃদু চর্য হয়েছে। নওয়াব আহসান উল্লাহ মনস্থির করেছিলেন রমনায় খড়ের কুটির করে বাস করবেন।
“স্থানীয় সাহেবেরা বিশাল হৰ্ম্মা পরিত্যাগ পূর্ব্বক তাঁবুতে ও রাস্তায় আশ্রয় লইতেছেন শুধু তাই নয় “ঢাকার সমস্ত লোক সর্ব্বদা শশব্যস্ত।। অদ্যাপি মাঝে মাঝে ভূমিকম্প হইতেছে। ভয়ে সমস্ত লোক ব্যাকুলভাবে অনাহারে অনিদ্রায় দিন যাপন করিতেছে।”‘ ঢাকায় জুবিলী উৎসব পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তাও বাতিল করা হয়।
সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সৃষ্টিকর্তার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয় এবং ধরে নেয়া হয় নিজেদের পাপ কাজের ফলে সৃষ্টিকর্তা রুষ্ট হয়ে মানুষকে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। ঢাকা/পূর্ববঙ্গে টর্নেডো ও ভূমিকম্পের পর প্রকাশিত পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়গুলোই উঠে এসেছে।
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, মৌলানা কেরামত আলীর ছেলে এ সময় ঢাকায় এলে তার নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার মুসলমান নামাজ পরে নাজাত চায়। সাংবাদিকরা লক্ষ্য করেছেন, “ভূমিকম্পে সামান্য গৃহাদি যেরূপ বিনষ্ট হইয়াছে তদ্রূপ দেবগৃহগুলি বিনষ্ট হয় নাই। ঢাকা চান্নিঘাটের মঠ যে পড়িল, তাহা হইতে জৈব সম্বন্ধ বহুদিন হয় চ্যুত হইয়াছে।””
সংবাদপত্রে লেখা হয়েছিল, ভূমিকম্পের কারণ সম্পর্কে, “নব্য বৈজ্ঞানিকগণ কর্তৃক যে সকল মত উদ্ভাবিত হইয়াছে তার কোনোটাই ঠিক নহে।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















