০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৭) নন-প্রফিট কাঠামোতে যাচ্ছে মাষ্টডন, সিইও পদ ছাড়ছেন প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রখকো” ইউটিউবে রেকর্ড ভিউ, তবু ‘বেবি শার্ক’ নির্মাতার আয় সীমিত কেন” চীনের এআই দৌড়ে তীব্র প্রতিযোগিতা, লোকসানে কেঁপে উঠল বাইদু গোপন সসের নিরাপত্তায় নতুন জোর দিচ্ছে রেইজিং কেইন’স  সিডনিতে জমজমাট ২০২৫ এআরআইএ অ্যাওয়ার্ড, এগিয়ে নিনাজারাচি ও ডম ডোলা তাইওয়ানের স্যাটেলাইট যুগের সূচনা: স্পেসএক্স উৎক্ষেপণে বড় অগ্রগতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯) শেয়ারবাজারে টানা উত্থান, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ইতিবাচক সিরাজগঞ্জে ব্র্যাক–ফিলিপস ফাউন্ডেশনের নতুন চার হেলথ সেন্টার

বাংলাদেশে সাংবাদিকতার বিবর্ণ চিত্র

গত বছরের আগস্টে হওয়া অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পরে সাংবাদিকদের অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে, ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই দাবি। সদ্য় প্রয়াত বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুর আগের শেষ চিঠি সাংবাদিকদের আর্থিক অনিশ্চয়তার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে সামনে এসেছে। বলা চলে, মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবর্তন এলেও সাংবাদিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।

বর্তমানে ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। কারাগারে আছেন ১৩ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক- সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রুপা। সম্প্রতি সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে নদী থেকে। যদিও এটা হত্যা না আত্মহত্যা, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও৷

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অবশ্য জানিয়েছেন, গত ৯ মাসে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এদিকে সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) এক জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু টেলিভিশনগুলোতে কর্মরত ১৫০ জনের বেশি সাংবাদিকের চাকরি গেছে৷

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গণমাধ্যমের নতুন আতঙ্ক ‘মব সন্ত্রাস’। মবের ভয়ে তিনটি টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। দুই দিন আগেও রাস্তায় নিগ্রহ করা হয়েছে সাংবাদিকদের।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গত ১৫-২০ বছরে সাংবাদিকতাকে দুর্বৃত্তায়নে পরিণত করা হয়েছে। এতে মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,  সাধারণ মানুষের কাছে  শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। গণমাধ্যমের মালিক ও শীর্ষ কর্তারা নিজেদের স্বার্থে এটা ব্যবহার করেছে। ফলে মানুষের মধ্যে সাংবাদিকতা নিয়ে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। এই সরকারের আমলে কেউ বলতে পারবে না, কোনো সংবাদের কারণে কোনো সংস্থা থেকে ফোন করা হয়েছে। ফলে সাংবাদিকরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারছেন।”

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সর্বশেষ হিসেবে অবশ্য দেখা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে দায়ের হওয়া ৩২টি ফৌজদারি মামলায় অন্তত ১৩৭ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও মামলা করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৭)

বাংলাদেশে সাংবাদিকতার বিবর্ণ চিত্র

১২:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত বছরের আগস্টে হওয়া অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পরে সাংবাদিকদের অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে, ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই দাবি। সদ্য় প্রয়াত বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুর আগের শেষ চিঠি সাংবাদিকদের আর্থিক অনিশ্চয়তার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে সামনে এসেছে। বলা চলে, মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবর্তন এলেও সাংবাদিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।

বর্তমানে ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। কারাগারে আছেন ১৩ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক- সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রুপা। সম্প্রতি সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে নদী থেকে। যদিও এটা হত্যা না আত্মহত্যা, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও৷

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অবশ্য জানিয়েছেন, গত ৯ মাসে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এদিকে সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) এক জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু টেলিভিশনগুলোতে কর্মরত ১৫০ জনের বেশি সাংবাদিকের চাকরি গেছে৷

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গণমাধ্যমের নতুন আতঙ্ক ‘মব সন্ত্রাস’। মবের ভয়ে তিনটি টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। দুই দিন আগেও রাস্তায় নিগ্রহ করা হয়েছে সাংবাদিকদের।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গত ১৫-২০ বছরে সাংবাদিকতাকে দুর্বৃত্তায়নে পরিণত করা হয়েছে। এতে মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,  সাধারণ মানুষের কাছে  শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। গণমাধ্যমের মালিক ও শীর্ষ কর্তারা নিজেদের স্বার্থে এটা ব্যবহার করেছে। ফলে মানুষের মধ্যে সাংবাদিকতা নিয়ে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। এই সরকারের আমলে কেউ বলতে পারবে না, কোনো সংবাদের কারণে কোনো সংস্থা থেকে ফোন করা হয়েছে। ফলে সাংবাদিকরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারছেন।”

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সর্বশেষ হিসেবে অবশ্য দেখা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে দায়ের হওয়া ৩২টি ফৌজদারি মামলায় অন্তত ১৩৭ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও মামলা করা হয়েছে।