০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-১৮)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 54

হাটগের প্রচেষ্টার উদাহরণ হলেন তরুণ (প্রফেসর) হিসেবে যোগদান করেন।

প্রফেসর বোস জন্মগ্রহণ করেন কোলকাতায়, ১৮৯৪ সালে। ১৯১৩ সালে তিনি ফলিত গণিতে (অ্যাপ্লাইড ম্যাথেমেটিক্স) স্নাতক ডিগ্রী পান কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এবং দুইবছর বাদে ১৯১৫ সালে স্নাতোকত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯১৬ সালে তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স কলেজে “রিসার্চ স্কলার” হিসেবে যোগদান করেন।

১৯১৯ সালে মেঘনাথ সাহার সঙ্গে যৌথভাবে আইনস্টাইনের “আপেক্ষিক তত্ত্ব” ইংরেজিতে অনুবাদ করেন এবং অনুবাদটি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুদ্রিত হয়েছিল। ১৯২১ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে “রীডার” পদে যোগদানের পূর্বে বোস কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত “রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের” পদার্থবিদ্যা বিভাগে “লেকচারার” পদে আসীন ছিলেন।

প্রফেসর সরদার ফজলুল করিম বইটি লেখক নাইমকে উপহার দিয়েছিলেন।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ-রাজ পূর্ব-বঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিল। অবশ্য ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রত্যাহার করা হলে অঙ্গীকার পালনের দায়িত্বও অ-পালিত হয়। ফলস্বরূপ, পূর্ববঙ্গের আশাফল জনসময়রি ক্রুদ্ধ হয় এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতিকে শান্ত করতে তখন প্রিটিশ রাজের ভাইসরয় ও গহর্ণর জেনারেল চার্লস হার্ডিঞ্জ ঘোষণা ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন হয়, প্রথম শিক্ষা বছরের করেন যে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।

অবশেষে, ১৯২১ সালের সুচনা হয়। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার পিজি, হার্টগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করার লক্ষ্যে হার্টগ খ্যাতনামা পড়িতব্যক্তিদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে প্রথম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। সদ্য স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপ্রতিষ্ঠিত আকৃষ্ট করতে যত্নবান হন। হাটগের প্রচেষ্টার উদাহরণ হলেন তরুণ (প্রফেসর) হিসেবে যোগদান করেন।

(তা আরসি মজুমদারের তথ্য থেকে জানা যায় যে বোস, তিনি ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে “রীডার” প্রতিভাবানদের আকৃষ্ট করার জন্য উচ্চ পরিমাণের মাসিক বেতন দেয়া হতো, মাসে এক হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ আঠারোশ টাকা পর্যন্ত)। প্রফেসর বোসের প্রধান কাজ ছিল সদ্য চালু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগটির বিন্যাস ও সংগঠন করা।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-১৮)

০৯:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাটগের প্রচেষ্টার উদাহরণ হলেন তরুণ (প্রফেসর) হিসেবে যোগদান করেন।

প্রফেসর বোস জন্মগ্রহণ করেন কোলকাতায়, ১৮৯৪ সালে। ১৯১৩ সালে তিনি ফলিত গণিতে (অ্যাপ্লাইড ম্যাথেমেটিক্স) স্নাতক ডিগ্রী পান কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এবং দুইবছর বাদে ১৯১৫ সালে স্নাতোকত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯১৬ সালে তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স কলেজে “রিসার্চ স্কলার” হিসেবে যোগদান করেন।

১৯১৯ সালে মেঘনাথ সাহার সঙ্গে যৌথভাবে আইনস্টাইনের “আপেক্ষিক তত্ত্ব” ইংরেজিতে অনুবাদ করেন এবং অনুবাদটি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুদ্রিত হয়েছিল। ১৯২১ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে “রীডার” পদে যোগদানের পূর্বে বোস কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত “রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের” পদার্থবিদ্যা বিভাগে “লেকচারার” পদে আসীন ছিলেন।

প্রফেসর সরদার ফজলুল করিম বইটি লেখক নাইমকে উপহার দিয়েছিলেন।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ-রাজ পূর্ব-বঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিল। অবশ্য ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রত্যাহার করা হলে অঙ্গীকার পালনের দায়িত্বও অ-পালিত হয়। ফলস্বরূপ, পূর্ববঙ্গের আশাফল জনসময়রি ক্রুদ্ধ হয় এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতিকে শান্ত করতে তখন প্রিটিশ রাজের ভাইসরয় ও গহর্ণর জেনারেল চার্লস হার্ডিঞ্জ ঘোষণা ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন হয়, প্রথম শিক্ষা বছরের করেন যে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।

অবশেষে, ১৯২১ সালের সুচনা হয়। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার পিজি, হার্টগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করার লক্ষ্যে হার্টগ খ্যাতনামা পড়িতব্যক্তিদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে প্রথম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। সদ্য স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপ্রতিষ্ঠিত আকৃষ্ট করতে যত্নবান হন। হাটগের প্রচেষ্টার উদাহরণ হলেন তরুণ (প্রফেসর) হিসেবে যোগদান করেন।

(তা আরসি মজুমদারের তথ্য থেকে জানা যায় যে বোস, তিনি ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে “রীডার” প্রতিভাবানদের আকৃষ্ট করার জন্য উচ্চ পরিমাণের মাসিক বেতন দেয়া হতো, মাসে এক হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ আঠারোশ টাকা পর্যন্ত)। প্রফেসর বোসের প্রধান কাজ ছিল সদ্য চালু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগটির বিন্যাস ও সংগঠন করা।

(চলবে)