সমকালের একটি শিরোনাম “আগামী অর্থবছর থেকে নির্দিষ্ট সময় মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা হবে: উপদেষ্টা ফরিদা”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে সুনামগঞ্জের মৎস্য সম্পদকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। হাওর ও নদীর পলি অপসারণ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজ না হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হবে। অভয়াশ্রমের পরিকল্পনা আমাদের হয়ে গেছে। মৎস্য ও কৃষির সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। কৃষিকাজে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বর্ষা মৌসুমে সেই বিষ পানিতে মিশে মাছের ক্ষতি করছে। কীভাবে কৃষিতে বালাইনাশকের ব্যবহার কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করা যায়, সে লক্ষ্যে কৃষিখাতে বালাইনাশক ব্যবহার সীমিত করতে ইতেমধ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কৃষিতে বালাইনাশকের অপরিকল্পিত ব্যবহার মৎস্য সম্পদ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। আগামী অর্থবছর থেকে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা হবে সেজন্য মৎস্যজীবীদের প্রণোদনাও দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে সুনামগঞ্জ জেলার মৎস্য সম্পদ রক্ষায় করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহীনা ফৈরদৌসী, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ।
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেজন্য আমদানি বন্ধ ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়ে থাকলে ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ করতে হবে। নদীতে অভিযান চালিয়ে শুধু ব্যবহারকারীকে ধরা হয়, আমাদের উৎপাদনকারীকেও ধরতে হবে।
তিনি বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদের রক্ষায় সচেতন হতে হবে। জেলেদের বিকল্প জীবিকা-আয়রোগারের ব্যবস্থা ও সচেতন করতে পারলে মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সহজ হবে। হাওর খনন, নিয়ন্ত্রিত ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ সুন্দর আছে বলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পর্যটক পাঠালে পরিবেশ-প্রতিবেশ ঠিক থাকবে না। দায়িত্বশীল ট্যুরিজম হওয়া উচিত।
এদিকে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার হাওর পরিদর্শন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “গণপরিষদে অনড় এনসিপি, জামায়াত চায় গণভোট”
গণপরিষদকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সর্বোত্তম ও গণতান্ত্রিক উপায় বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণপরিষদ না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বলেও জানিয়েছে দলটি। অন্যদিকে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটকে প্রাধান্য দিচ্ছে জামায়াত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে গতকাল শুক্রবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয় এনসিপি। গতকাল পর্যন্ত বিএনপি, এনসিপিসহ ২৭টি দল সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী আজ শনিবার মতামত জমা দেবে বলে জানা গেছে।
এদিকে আগামীকাল রোববার দলগুলোর মতামত নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তার ভিত্তিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত সুপারিশ তৈরি করবে কমিশন, যা জুলাই সনদের সঙ্গে দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।
সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এক পাতার একটি মতামত পাঠানো হয় এনসিপির পক্ষ থেকে, যেখানে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সর্বোত্তম ও গণতান্ত্রিক উপায় গণপরিষদ গঠন বলে উল্লেখ করা হয়। গণপরিষদের পক্ষে তিনটি যুক্তি তুলে ধরে এনসিপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, জুলাই সনদ জনগণের সর্বজনীন অভিমতের প্রতিফলন, তাই বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া সরাসরি গণপ্রতিনিধিত্বশীল একটি সংস্থা (গণপরিষদ) দ্বারা হওয়া অপরিহার্য।
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, গণপরিষদ দেশের সর্বস্তরের জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করবে এবং প্রস্তাবিত সংস্কার ও সনদ বাস্তবায়নের জন্য সাংবিধানিক কাঠামো প্রদান করবে। পদ্ধতিটি গণতন্ত্রের মৌলিক চেতনাকে সংরক্ষণ করবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক বিতর্ক বা বৈধতা-সংকট এড়াতে গণপরিষদ সহায়ক হবে বলেও মনে করে দলটি। সর্বশেষে এনসিপি আশা প্রকাশ করে, কমিশন তাদের প্রস্তাবটি বিবেচনা করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় গণপরিষদ গঠনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করবে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র”
হাতে হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল রাতে তাদের বহনকারী বিশেষ ভাড়া করা উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এর আগে গত ২ অগাস্ট ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের সি-১৭ সামরিক উড়োজাহাজে আরো ৩৯ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। তাদেরই একজন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশী রুবেল (ছদ্মনাম)। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘পুরা পেটে শিকল আছিলো, হাতে হাতকড়া ছিল, তারপর দুই পায়েই কড়া লাগানো ছিল।’
উন্নত জীবনের খোঁজে গত বছরের অক্টোবরে ট্যুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ২৯ বছর বয়সী রুবেল। মাত্র আটদিন পরেই তাকে আটক করে নেয়া হয় ডিটেনশন সেন্টারে। দেশে ফেরত পাঠানোর আগে প্রায় ১০ মাস সেখানে রাখা হয়। পুরো সময়জুড়ে দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত খাবারও। তাদের সঙ্গে ছিলেন অন্য দেশের কয়েকজন নাগরিকও।
তাদের সবাইকে শিকল বেঁধে, হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি আড়াই দিনের সেই জার্নিতে কেবল চিজ দেয়া চারটি পাউরুটি, আর আধা লিটারেরও অর্ধেক পানি দেয়া হয়েছিল বলে জানান রুবেল।
একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সেই ফ্লাইটে ফেরত আসা আরেক অভিবাসনপ্রত্যাশী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বিবিসি বাংলাকে জানান, সে ফ্লাইটে অন্য দেশের নাগরিকও ছিল। আর বেঁধে রাখার বিষয়টিও পুরোটা সময় ‘কন্টিনিউ’ করেছে।
গত ঈদুল আজহার আগে ফেরত পাঠানো আরেকটি দলের সঙ্গে দেশে ফিরেছিলেন নোয়াখালীর ইমরান হোসেন। ব্রাজিলের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সড়ক পথে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। ডিটেনশন সেন্টারে রাখার সময় খুব কম খাবার দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনিও।
মানবজমিনের একটি শিরোন “জাপা কার্যালয় ঘিরে মব, ফের ভাঙচুর-আগুন”
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফের অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এতে জাপা কার্যালয়ের পাঁচতলা ভবনের নিচের দু’টি তলা অনেকটা পুড়ে গেছে। পরে পুলিশ জলকামান নিয়ে এসে কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
এর আগে বিকালে শাহবাগে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা সহ তিনদফা দাবিতে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ শেষ করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কাকরাইলের দিকে অগ্রসর হয়। তারা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর চালায় এবং পরে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা বইপত্র, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান সামগ্রী পুড়ে যায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ জলকামান দিয়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পৌনে ৮টার দিকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। রমনা থানার সামনে পর্যন্ত গিয়ে মিছিলটি আবার ফিরে আসে।
ভাঙচুরে অংশ নেয়া রিফাত নামের একজন বলেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করতে হবে, আমাদের নুরু ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে, জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব রাখবো না।
এসময় জাপা নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, শাহবাগের সমাবেশে আমাদের দল সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবেই আমাদের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসময় তারা এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। জাপা নেতাকর্মীরা বলেন, তারা এই ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকেও তাদেরকে জানানো হয়েছে- মামলা দায়ের করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলার বিষয়ে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে কার্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর শনিবারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী ভেতরে-বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুই-আড়াইশ’ জনের একটি মিছিল এসে দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় পুলিশ বাধা দিলেও তারা উপেক্ষা করে হামলা চালায়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করলে তারা পালিয়ে যায়।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















