০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতা ধ্বংসে এগিয়ে চলেছে হোয়াইট কলার টেরোরিজম স্যাম্পলের সিম্ফনি: ড্যানিয়েল লোপাটিনের পরীক্ষামূলক সাউন্ডস্কেপের নতুন বিস্তার এআই ভিডিও কমাতে ‘টোন ডাউন’ অপশন আনছে টিকটক রেকর্ড-নতুন ফল: চীনের জুনো ‘ঘোস্ট পার্টিকল’ ডিটেক্টরের অভাবনীয় সাফল্য ডেভনে আবার ফিরতে পারে বন্য বিড়াল: দুই বছরের গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৭) নন-প্রফিট কাঠামোতে যাচ্ছে মাষ্টডন, সিইও পদ ছাড়ছেন প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রখকো” ইউটিউবে রেকর্ড ভিউ, তবু ‘বেবি শার্ক’ নির্মাতার আয় সীমিত কেন” চীনের এআই দৌড়ে তীব্র প্রতিযোগিতা, লোকসানে কেঁপে উঠল বাইদু গোপন সসের নিরাপত্তায় নতুন জোর দিচ্ছে রেইজিং কেইন’স

২৮ পদের ২৩টিতে জয়ী শিবির

সমকালের একটি শিরোনাম “২৮ পদের ২৩টিতে জয়ী শিবির”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদসহ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টি পদেই জয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা। বাকি পদগুলোতে স্বতন্ত্র ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন। তবে একটি পদেও জিততে পারেননি ছাত্রদলসহ বাকি প্যানেলের প্রার্থীরা।

ভিপি, জিএস এবং এজিএস বাদে ডাকসুর ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকপদসহ (এজিএস) ডাকসুতে পদ আছে ২৮টি। এর মধ্যে সদস্যপদ ১৩টি।

যেসব পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী:
ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মুহা. মহিউদ্দীন খান।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে জসীমউদ্দিন খান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. জাকারিয়া জয়ী হয়েছেন।

যেসব পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী: 
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সানজিদা আহমেদ তন্বি এবং সমাজসেবা সম্পাদক-যুবাইর বিন নেছারী জয়ী হয়েছেন।

সদস্য পদে ১৩টির মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা। একটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অন্যটিতে জয়ী বাম-সমর্থিত প্রার্থী।

ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে জয়ী হলেন- সাবিকুন নাহার তামান্না, সর্ব মিত্র চাকমা, আফসানা আক্তার, রায়হান উদ্দীন, তাজিনুর রহমান, ইমরান হোসাইন, মিফতাহুল হোসাইন আল-মারুফ, মো. রাইসুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, আনাস ইবনে মুনির এবং মো. বেলাল হোসেন অপু। এছাড়া সাত বাম ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ‌প্রতিরোধ পর্ষদ থেকে জয়ী হয়েছেন হেমা চাকমা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাতীয় নির্বাচন: খসড়া তালিকায় ভোটকেন্দ্র বেড়েছে, কমেছে কক্ষ”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্র কিছুটা বাড়লেও কমেছে ভোট কক্ষের সংখ্যা।

আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ খসড়া ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা প্রকাশ করেন।

ইসি সচিব বলেন, গড়ে ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্র ধরে খসড়ায় মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। গত দ্বাদশ সংসদে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি।

সচিব আরও বলেন, এবার পুরুষদের জন্য ৬০০ জন ধরে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি পুরুষ ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নারীদের জন্য ৫০০ জন ধরে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি কক্ষের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। খসড়ায় মোট ভোটকক্ষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। গত সংসদে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২ টি।

ইসি সচিব বলেন, যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হলো তার ওপর দাবি-আপত্তি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেওয়া হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি হবে ১২ অক্টোবর। আর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র প্রকাশ করা হবে ২০ অক্টোবর।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে সংসদ নির্বাচন ও ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে ইসি।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিক্ষিত নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের ভুক্তভোগী প্রান্তিক কৃষক, জেলে, খামারি”

এক বছরের বেশি সময় হয়েছে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে প্রধান উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে যদি বলতেন…

প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের আলাদা কাজ। এগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে জিডিপিতে অবদান রাখছে। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ দীর্ঘদিন থেকে কৃষির অধীনে একটি উপখাত হিসেবে আছে। আমি এই ধারণাকে বদলাতে চাই। কৃষিকে দুটি দিক থেকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, এটিকে অন্যায় বলব না, এটি যৌক্তিক। কারণ এটি খাদ্য উৎপাদনের প্রধান জায়গা। পাশাপাশি জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি সবকিছু কৃষির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কৃষি বলতে আমরা মন্ত্রণালয়ের বাইরে গিয়ে যেটি বুঝি সেখানে শুধু ফসল উৎপাদন থাকে না। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন সবই একটি কৃষকের বাড়ির চরিত্র। কিন্তু সচিবালয়ে আসলে সেটি আলাদা। এর মন্ত্রণালয় আলাদা, ভবন আলাদা, কার্যক্রমও আলাদা। এটি কৃষির অধীনে উপখাত হয়ে আছে, ফলে গুরুত্বও কম। কৃষিতে চাল, ডাল, সবজি উৎপন্ন হচ্ছে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এসব ছাড়া আমাদের চলবে না। পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ছাড়াও তো চলবে না—কথাটা কেউ বুঝছে না। নিরামিষভোজীরা বলতে পারে তাদের মাছ-মাংস লাগে না। কিন্তু তাদের পনির বা দুধ ঠিকই লাগছে। প্রাণিসম্পদের সঙ্গে জীবন-জীবিকাও যুক্ত। কৃষির জন্য জমি লাগে কিন্তু পশুপালনের জন্য আলাদা জমি লাগে না। তার বাড়িতেই হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগল পুষতে পারে। এটি তাকে এগিয়ে নেয়। এটি তার জীবনধারণের মাধ্যম হয়ে যায়। সেজন্য আমি এটিকে কোনো অবস্থায় আলাদা করতে পারি না। এটিকে উপখাত ভাবতে পারি না। এটি একটি সমন্বিত খাত। পাশাপাশি সমান গুরুত্ব পাওয়ার মতো খাত। এটিকে আমি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

এটি আন্তঃসম্পর্কীয়। কোনোটি বেশি কোনোটি কম না, আন্তঃসম্পর্কটাই আমাদের সৌন্দর্য। কিন্তু এটিকে আমরা ভাগ করে ফেলেছি। এটিকে আমরা বলছি লাইভস্টক, আবার এটিকে বলি ফিশারিজ। ফিশারিজের মধ্যে আবার দেখি উৎপাদনের কথা বলছি আমরা। মাছে উৎপাদন বলে কিছু নেই। এককভাবে মাছের উৎপাদন যেটি হয়, সেটি অ্যাকুয়াকালচার বা মাছ চাষ। যেটি আমার পুকুরে করি। কিন্তু মূলত মাছ হচ্ছে আহরণ। সেটি জলাশয়, নদী, সমুদ্র, হাওর-বাঁওড় থেকে আসবে। তেমন কত উৎস রয়েছে। এসব উৎস রক্ষা করলে আমার উৎপাদন বাড়তে পারে। কিন্তু খুব দুঃখজনক হলো এই আহরণ করা মাছের সংখ্যা কমছে। চাষ করা মাছের দিকে আমরা ঝুঁকে যাচ্ছি। এটির দিকে নজর না দেয়াটা একটি কারণ। নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আমরা পরিবেশের দিক দিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছি, কিন্তু মাছের জন্য উদ্বিগ্ন হচ্ছি না। রাজস্বের জন্য জলাশয় এমন লোকের হাতে দিচ্ছি যারা মৎস্য নিয়ে কাজ করছে না। তারা অন্য কাজ করছে। এখানে রাজস্ব পেয়ে সরকার খুশি হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তার শাস্তি হওয়ার কথা ছিল। সেটি হচ্ছে না। মৎস্যজীবী ছাড়া কোনো জলাশয় ইজারা হতে পারে না। এটি অনৈতিক কাজ। আমি কীভাবে সংস্কার আলাদা করব, চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন করতে হবে।

আপনি বললেন, এটি একটি উপখাত না। এটি যে উপখাত না, এর নিজস্ব পরিচয় আছে—এটি প্রতিষ্ঠা করতে কী কী পদক্ষেপ নিলেন আপনারা?

এ খাতকে একদিকে কৃষির উপখাত বলা হচ্ছে। আবার অন্যদিকে কৃষিতে সেচের জন্য যে বিদ্যুতের দাম আছে সেটি আমাদের দেয়া হচ্ছে না। এখানে দিতে হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা বাণিজ্যিক মূল্যে। এটি কেন? এটি বৈষম্য। একটি হচ্ছে বৈষম্য, আরেকটি হচ্ছে অজ্ঞতাপ্রসূত। এটাতে অজ্ঞতা আছে। না বোঝার বিষয় আছে। আমি পোলট্রি খামারিদের বলেছি, আপনারাই এটিকে শিল্প ঘোষণা করেছেন। এটিকে শিল্প ঘোষণা ভুল ছিল। এটি করে তাকে বিদ্যুৎ বিল বেশি দিতে দিচ্ছে। তার ভর্তুকি নেই। কৃষির জন্য সারে ভর্তুকি দেয়া হয়, তাহলে এ খাতের ফিডে কেন ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে না? এটি না দেয়ার কারণে প্রাইভেট খাতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। ফলে বাধ্য হচ্ছি বেশি দামে কিনতে। কিন্তু এখানে যদি সরকারি ভর্তুকি থাকত তাহলে এমন হতো না। এখন প্রশ্ন উঠবে—ভর্তুকি দিয়ে কি অর্থনীতি চলতে পারে? না পারলে ভর্তুকি ভাগ করে দেন। কৃষি ভর্তুকির ৩৪ হাজার কোটির টাকা মধ্যে এ খাতে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা দিলেও আমি অনেক কিছু করে দেব। এ জায়গাগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি।

আপনারা এমন এক সময় দায়িত্ব নিয়েছেন যখন দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম ছিল। এসব চর্চা থেকে বের হয়ে আসার জন্য কী করলেন?

যারা কর্মকর্তা আছেন তাদের এ বিষয়ে আমরা খুব জোরালোভাবে বলে দিয়েছি। যেমন নিষিদ্ধ সময়ে (ব্যান পিরিয়ড) যখন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করি, তখন প্রতিটি মৎস্যজীবী পরিবারকে ৪০ কেজি করে খাদ্যপণ্য প্রণোদনা দেয়া হয়। এসব নিয়ে অভিযোগ আসে, যারা প্রকৃত মৎস্যজীবী তারা পায় না, অন্যরা পায়। সেজন্য আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন করছি। ফলে যারা অবৈধ সুবিধা পেত তারা চিহ্নিত হবে এবং প্রকৃতরা সুবিধা পাবে।

আমরা এক ধরনের তথ্যবিভ্রাট ও সমন্বয়হীনতা দেখি। এটির কারণে এ খাতের উন্নয়নও ব্যাহত হয়। সেই জায়গায় কী করা যেতে পারে?

এ খাতে পরিকল্পনাও ঠিকমতো নেয়া হয় না। এখানে তথ্যবিভ্রাট আছে। আমি যে কয়দিন দায়িত্বে আছি এর মধ্যেই তথ্যের উৎসগুলোকে ঠিক করব। তথ্য ঠিক না থাকার কারণে এ খাতের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করা যাচ্ছে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সঙ্গে দুই কোটি মানুষ যুক্ত নাকি সাত লাখ—এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। গবাদিপশুর সঠিক সংখ্যাও পাচ্ছি না। কৃষি পরিসংখ্যান বুক বের হচ্ছে। সেখানে কত মণ ধান, আলু ইত্যাদি চাষ হচ্ছে তার তথ্য আছে। কিন্তু কতজন কৃষক এসব চাষ করছেন তার পরিসংখ্যান নেই। একইভাবে মাছের তথ্য থাকলেও মৎস্যজীবীর কোনো তথ্য নেই। আমরা চাই সঠিক তথ্য থাকুক। তথ্য ঠিক থাকলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট করা যাবে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ডাকসু নির্বাচনে জয়ীদের অভিনন্দন জানালেন সালাহউদ্দিন”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি আজকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাই, যারা ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদের। এটিই গণতন্ত্রের রীতি। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্বাচনে হয়েছে। যেহেতু যাত্রা অনেক বছর পরে হয়েছে, কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু কিছু পত্রিকায় দেখলাম ছাত্রশিবির প্যানেল জয়ী হয়েছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এই নামে, এই ব্যানারে কোনো প্যানেল প্রদান করা হয়েছে কী? না। পত্রিকা ও বিভিন্ন মিডিয়ায় এভাবে আসছে কিন্তু? প্রশ্ন সেখানে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ব্যানারে ও দলীয় নামে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতা ধ্বংসে এগিয়ে চলেছে হোয়াইট কলার টেরোরিজম

২৮ পদের ২৩টিতে জয়ী শিবির

০৩:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “২৮ পদের ২৩টিতে জয়ী শিবির”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদসহ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টি পদেই জয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা। বাকি পদগুলোতে স্বতন্ত্র ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন। তবে একটি পদেও জিততে পারেননি ছাত্রদলসহ বাকি প্যানেলের প্রার্থীরা।

ভিপি, জিএস এবং এজিএস বাদে ডাকসুর ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদকপদসহ (এজিএস) ডাকসুতে পদ আছে ২৮টি। এর মধ্যে সদস্যপদ ১৩টি।

যেসব পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী:
ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এস এম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মুহা. মহিউদ্দীন খান।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, কমন রুম রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে জসীমউদ্দিন খান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. জাকারিয়া জয়ী হয়েছেন।

যেসব পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী: 
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সানজিদা আহমেদ তন্বি এবং সমাজসেবা সম্পাদক-যুবাইর বিন নেছারী জয়ী হয়েছেন।

সদস্য পদে ১৩টির মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা। একটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অন্যটিতে জয়ী বাম-সমর্থিত প্রার্থী।

ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে জয়ী হলেন- সাবিকুন নাহার তামান্না, সর্ব মিত্র চাকমা, আফসানা আক্তার, রায়হান উদ্দীন, তাজিনুর রহমান, ইমরান হোসাইন, মিফতাহুল হোসাইন আল-মারুফ, মো. রাইসুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, আনাস ইবনে মুনির এবং মো. বেলাল হোসেন অপু। এছাড়া সাত বাম ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ‌প্রতিরোধ পর্ষদ থেকে জয়ী হয়েছেন হেমা চাকমা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাতীয় নির্বাচন: খসড়া তালিকায় ভোটকেন্দ্র বেড়েছে, কমেছে কক্ষ”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্র কিছুটা বাড়লেও কমেছে ভোট কক্ষের সংখ্যা।

আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ খসড়া ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা প্রকাশ করেন।

ইসি সচিব বলেন, গড়ে ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্র ধরে খসড়ায় মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। গত দ্বাদশ সংসদে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি।

সচিব আরও বলেন, এবার পুরুষদের জন্য ৬০০ জন ধরে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি পুরুষ ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নারীদের জন্য ৫০০ জন ধরে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি কক্ষের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। খসড়ায় মোট ভোটকক্ষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। গত সংসদে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২ টি।

ইসি সচিব বলেন, যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হলো তার ওপর দাবি-আপত্তি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেওয়া হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি হবে ১২ অক্টোবর। আর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র প্রকাশ করা হবে ২০ অক্টোবর।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে সংসদ নির্বাচন ও ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে ইসি।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিক্ষিত নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের ভুক্তভোগী প্রান্তিক কৃষক, জেলে, খামারি”

এক বছরের বেশি সময় হয়েছে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে প্রধান উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে যদি বলতেন…

প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের আলাদা কাজ। এগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে জিডিপিতে অবদান রাখছে। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ দীর্ঘদিন থেকে কৃষির অধীনে একটি উপখাত হিসেবে আছে। আমি এই ধারণাকে বদলাতে চাই। কৃষিকে দুটি দিক থেকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, এটিকে অন্যায় বলব না, এটি যৌক্তিক। কারণ এটি খাদ্য উৎপাদনের প্রধান জায়গা। পাশাপাশি জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি সবকিছু কৃষির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কৃষি বলতে আমরা মন্ত্রণালয়ের বাইরে গিয়ে যেটি বুঝি সেখানে শুধু ফসল উৎপাদন থাকে না। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন সবই একটি কৃষকের বাড়ির চরিত্র। কিন্তু সচিবালয়ে আসলে সেটি আলাদা। এর মন্ত্রণালয় আলাদা, ভবন আলাদা, কার্যক্রমও আলাদা। এটি কৃষির অধীনে উপখাত হয়ে আছে, ফলে গুরুত্বও কম। কৃষিতে চাল, ডাল, সবজি উৎপন্ন হচ্ছে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এসব ছাড়া আমাদের চলবে না। পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ছাড়াও তো চলবে না—কথাটা কেউ বুঝছে না। নিরামিষভোজীরা বলতে পারে তাদের মাছ-মাংস লাগে না। কিন্তু তাদের পনির বা দুধ ঠিকই লাগছে। প্রাণিসম্পদের সঙ্গে জীবন-জীবিকাও যুক্ত। কৃষির জন্য জমি লাগে কিন্তু পশুপালনের জন্য আলাদা জমি লাগে না। তার বাড়িতেই হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগল পুষতে পারে। এটি তাকে এগিয়ে নেয়। এটি তার জীবনধারণের মাধ্যম হয়ে যায়। সেজন্য আমি এটিকে কোনো অবস্থায় আলাদা করতে পারি না। এটিকে উপখাত ভাবতে পারি না। এটি একটি সমন্বিত খাত। পাশাপাশি সমান গুরুত্ব পাওয়ার মতো খাত। এটিকে আমি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

এটি আন্তঃসম্পর্কীয়। কোনোটি বেশি কোনোটি কম না, আন্তঃসম্পর্কটাই আমাদের সৌন্দর্য। কিন্তু এটিকে আমরা ভাগ করে ফেলেছি। এটিকে আমরা বলছি লাইভস্টক, আবার এটিকে বলি ফিশারিজ। ফিশারিজের মধ্যে আবার দেখি উৎপাদনের কথা বলছি আমরা। মাছে উৎপাদন বলে কিছু নেই। এককভাবে মাছের উৎপাদন যেটি হয়, সেটি অ্যাকুয়াকালচার বা মাছ চাষ। যেটি আমার পুকুরে করি। কিন্তু মূলত মাছ হচ্ছে আহরণ। সেটি জলাশয়, নদী, সমুদ্র, হাওর-বাঁওড় থেকে আসবে। তেমন কত উৎস রয়েছে। এসব উৎস রক্ষা করলে আমার উৎপাদন বাড়তে পারে। কিন্তু খুব দুঃখজনক হলো এই আহরণ করা মাছের সংখ্যা কমছে। চাষ করা মাছের দিকে আমরা ঝুঁকে যাচ্ছি। এটির দিকে নজর না দেয়াটা একটি কারণ। নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আমরা পরিবেশের দিক দিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছি, কিন্তু মাছের জন্য উদ্বিগ্ন হচ্ছি না। রাজস্বের জন্য জলাশয় এমন লোকের হাতে দিচ্ছি যারা মৎস্য নিয়ে কাজ করছে না। তারা অন্য কাজ করছে। এখানে রাজস্ব পেয়ে সরকার খুশি হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তার শাস্তি হওয়ার কথা ছিল। সেটি হচ্ছে না। মৎস্যজীবী ছাড়া কোনো জলাশয় ইজারা হতে পারে না। এটি অনৈতিক কাজ। আমি কীভাবে সংস্কার আলাদা করব, চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন করতে হবে।

আপনি বললেন, এটি একটি উপখাত না। এটি যে উপখাত না, এর নিজস্ব পরিচয় আছে—এটি প্রতিষ্ঠা করতে কী কী পদক্ষেপ নিলেন আপনারা?

এ খাতকে একদিকে কৃষির উপখাত বলা হচ্ছে। আবার অন্যদিকে কৃষিতে সেচের জন্য যে বিদ্যুতের দাম আছে সেটি আমাদের দেয়া হচ্ছে না। এখানে দিতে হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা বাণিজ্যিক মূল্যে। এটি কেন? এটি বৈষম্য। একটি হচ্ছে বৈষম্য, আরেকটি হচ্ছে অজ্ঞতাপ্রসূত। এটাতে অজ্ঞতা আছে। না বোঝার বিষয় আছে। আমি পোলট্রি খামারিদের বলেছি, আপনারাই এটিকে শিল্প ঘোষণা করেছেন। এটিকে শিল্প ঘোষণা ভুল ছিল। এটি করে তাকে বিদ্যুৎ বিল বেশি দিতে দিচ্ছে। তার ভর্তুকি নেই। কৃষির জন্য সারে ভর্তুকি দেয়া হয়, তাহলে এ খাতের ফিডে কেন ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে না? এটি না দেয়ার কারণে প্রাইভেট খাতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। ফলে বাধ্য হচ্ছি বেশি দামে কিনতে। কিন্তু এখানে যদি সরকারি ভর্তুকি থাকত তাহলে এমন হতো না। এখন প্রশ্ন উঠবে—ভর্তুকি দিয়ে কি অর্থনীতি চলতে পারে? না পারলে ভর্তুকি ভাগ করে দেন। কৃষি ভর্তুকির ৩৪ হাজার কোটির টাকা মধ্যে এ খাতে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা দিলেও আমি অনেক কিছু করে দেব। এ জায়গাগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি।

আপনারা এমন এক সময় দায়িত্ব নিয়েছেন যখন দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম ছিল। এসব চর্চা থেকে বের হয়ে আসার জন্য কী করলেন?

যারা কর্মকর্তা আছেন তাদের এ বিষয়ে আমরা খুব জোরালোভাবে বলে দিয়েছি। যেমন নিষিদ্ধ সময়ে (ব্যান পিরিয়ড) যখন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করি, তখন প্রতিটি মৎস্যজীবী পরিবারকে ৪০ কেজি করে খাদ্যপণ্য প্রণোদনা দেয়া হয়। এসব নিয়ে অভিযোগ আসে, যারা প্রকৃত মৎস্যজীবী তারা পায় না, অন্যরা পায়। সেজন্য আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন করছি। ফলে যারা অবৈধ সুবিধা পেত তারা চিহ্নিত হবে এবং প্রকৃতরা সুবিধা পাবে।

আমরা এক ধরনের তথ্যবিভ্রাট ও সমন্বয়হীনতা দেখি। এটির কারণে এ খাতের উন্নয়নও ব্যাহত হয়। সেই জায়গায় কী করা যেতে পারে?

এ খাতে পরিকল্পনাও ঠিকমতো নেয়া হয় না। এখানে তথ্যবিভ্রাট আছে। আমি যে কয়দিন দায়িত্বে আছি এর মধ্যেই তথ্যের উৎসগুলোকে ঠিক করব। তথ্য ঠিক না থাকার কারণে এ খাতের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করা যাচ্ছে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সঙ্গে দুই কোটি মানুষ যুক্ত নাকি সাত লাখ—এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। গবাদিপশুর সঠিক সংখ্যাও পাচ্ছি না। কৃষি পরিসংখ্যান বুক বের হচ্ছে। সেখানে কত মণ ধান, আলু ইত্যাদি চাষ হচ্ছে তার তথ্য আছে। কিন্তু কতজন কৃষক এসব চাষ করছেন তার পরিসংখ্যান নেই। একইভাবে মাছের তথ্য থাকলেও মৎস্যজীবীর কোনো তথ্য নেই। আমরা চাই সঠিক তথ্য থাকুক। তথ্য ঠিক থাকলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট করা যাবে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ডাকসু নির্বাচনে জয়ীদের অভিনন্দন জানালেন সালাহউদ্দিন”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি আজকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাই, যারা ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদের। এটিই গণতন্ত্রের রীতি। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্বাচনে হয়েছে। যেহেতু যাত্রা অনেক বছর পরে হয়েছে, কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু কিছু পত্রিকায় দেখলাম ছাত্রশিবির প্যানেল জয়ী হয়েছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এই নামে, এই ব্যানারে কোনো প্যানেল প্রদান করা হয়েছে কী? না। পত্রিকা ও বিভিন্ন মিডিয়ায় এভাবে আসছে কিন্তু? প্রশ্ন সেখানে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ব্যানারে ও দলীয় নামে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।’