০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতা ধ্বংসে এগিয়ে চলেছে হোয়াইট কলার টেরোরিজম স্যাম্পলের সিম্ফনি: ড্যানিয়েল লোপাটিনের পরীক্ষামূলক সাউন্ডস্কেপের নতুন বিস্তার এআই ভিডিও কমাতে ‘টোন ডাউন’ অপশন আনছে টিকটক রেকর্ড-নতুন ফল: চীনের জুনো ‘ঘোস্ট পার্টিকল’ ডিটেক্টরের অভাবনীয় সাফল্য ডেভনে আবার ফিরতে পারে বন্য বিড়াল: দুই বছরের গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৭) নন-প্রফিট কাঠামোতে যাচ্ছে মাষ্টডন, সিইও পদ ছাড়ছেন প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রখকো” ইউটিউবে রেকর্ড ভিউ, তবু ‘বেবি শার্ক’ নির্মাতার আয় সীমিত কেন” চীনের এআই দৌড়ে তীব্র প্রতিযোগিতা, লোকসানে কেঁপে উঠল বাইদু গোপন সসের নিরাপত্তায় নতুন জোর দিচ্ছে রেইজিং কেইন’স

জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

সমকালের একটি শিরোনাম “জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু”

প্রায় ৩৩ বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য নেওয়া হয়েছে সব প্রস্তুতি। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ ফিরবে বলে আশা করছেন শিক্ষার্থীরা।

কেন্দ্রীয় সংসদে ১৭৭ ও হল সংসদে ৪৪৫ প্রার্থী আছেন ভোটের এই লড়াইয়ে। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গঠনতন্ত্র সংস্কার করে ১১টি পদ বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে। এর আগে ছিল ১৪টি পদ।

২৫ পদের মধ্যে ছাত্রীদের জন্য আছে ছয়টি সংরক্ষিত। নেতৃত্বে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এমন উদ্যোগ। ৩৩ বছর পর হচ্ছে জাকসু নির্বাচন। ভোটে অংশ নিচ্ছে ক্যাম্পাসে সক্রিয় সব সংগঠন।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি গতকাল রাজধানীতে সাংবাদিকদের জানান, জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি– সব বাহিনীই মাঠে থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সতর্ক অবস্থায় থাকবে। প্রয়োজনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দায়িত্ব পালন করবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “অঙ্গীকারে থাকছে সাংবিধানিক ও আইনি সুরক্ষার নিশ্চয়তা”

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।

জুলাই সনদ তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপ শেষ হয় গত ৩১ জুলাই। ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়ার নমুনা দেওয়া হয়। সেখানে সনদের পটভূমির পাশাপাশি বাস্তবায়নের ৭ দফা অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি তোলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল।

এরপর ১৬ আগস্ট দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পাঠানো হয়। সেখানে পটভূমির সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি সুপারিশ ও বাস্তবায়নের ৮ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়। সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয় এতে। এবার বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে।

দলগুলোর আপত্তির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চূড়ান্ত সনদে অঙ্গীকারনামায় ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তন করা হবে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত সনদের সঙ্গে জুলাই সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের রূপরেখাও দলগুলোকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন। নানা আলাপ-আলোচনার পর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়—সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার সভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের খসড়ার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই সনদের পটভূমির পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে সংস্কারের বিষয়, দ্বিতীয় ভাগে অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলো রাখা হয়েছে। সনদের সর্বশেষ অংশে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়েছে। কমিশন এতে আর পরিবর্তন করবে না।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রাজধানীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র ভবন ও অভিজাত এলাকা এখন মবকারীদের টার্গেট”

রাজধানী ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল। এর পরই আসে গুলশান ও তেজগাঁওয়ের নাম। গুলশান একদিকে যেমন ব্যবসায়িক কেন্দ্র, তেমনি এখানে বাস করে দেশের ধনীদের বড় অংশ। সম্প্রতি এ বাণিজ্যিক ও অভিজাত এলাকাগুলো তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হিসাবে গত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি-জুলাই) ঢাকায় সংঘটিত ‘দাঙ্গা’র ঘটনাগুলোর প্রায় তিন-চতুর্থাংশই হয়েছে মতিঝিল, গুলশান ও তেজগাঁও বিভাগে। অপরাধ হিসেবে ‘মব সহিংসতা’কে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল ব্যাংক পাড়া নামেও পরিচিত। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ বাণিজ্যিক এলাকায় বিভিন্ন সময় দাবি-দাওয়ার আন্দোলন, অবরোধ, ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। এমনকি মতিঝিল থানার ভেতরে প্রবেশ করেও মবের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ জুলাই ৩০ থেকে ৩৫ জনের মব মতিঝিলের একটি বাণিজ্যিক ভবন দখলের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মবকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে তাদের বেশ কয়েকজন দলবদ্ধভাবে থানায় হামলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এখানে অধিকাংশই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নানা সময়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মসূচি পালন করে থাকেন। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনেক ক্ষেত্রে এসব ঘটনা সমাধান করা হয়।’

শুধু মতিঝিলেই নয়, গুলশানেও গত ছয় মাসে কয়েকটি মবের ঘটনা ঘটছে। ৫ মার্চ গুলশান-২ নম্বরে ৮১ নম্বর সড়কের একটি বাসা ঘেরাও করে মব তৈরি হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ওই বাসার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক শাকিল আহমেদ। তিনি বাসাটিতে ২০০-৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে—এমন গুজব ছড়িয়ে সেখানে বেআইনিভাবে তল্লাশি চালাতে জনতাকে উসকানি দেন। বাসাটি তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর। তানভীর সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে এ তানভীর। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে শাকিল আহমেদ একসময় ওই বাসায় কেয়ারটেকারের (তত্ত্বাবধায়ক) কাজ করতেন। তিনিই মূলত জনতাকে ২০০-৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে, এমন তথ্য দিয়ে বাসায় তল্লাশি চালাতে উসকানি দেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বিমানবালাদের স্বর্ণ কারবার অপরাধ গুরুতর দণ্ড নামমাত্র”

চলতি বছরের ৪ঠা আগস্টের ঘটনা। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রিয়াদ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৪০ ফ্লাইট ঢাকায় আসে। ওই ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কেবিন ক্রু রুদাবা সুলতানা। গ্রিন চ্যানেল ফাড়ি দেয়ার সময় রুদাবার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়াতে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তার ব্যাগেজ তল্লাশির পর বডি স্ক্যানিংয়ের জন্য স্ক্যানার কক্ষে নিতে চাইলে তিনি গড়িমসি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এছাড়া নিজেকে বিমানের কেবিন ক্রু ইউনিয়নের সভাপতি আবিরের বোন পরিচয় দেন। এতেকরেও রেহাই পাননি তিনি। একপর্যায়ে অন্তর্বাসে লুকিয়ে রাখা বিশেষভাবে তৈরি ২৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ ফেলে তা লুকানোর চেষ্টা করেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা পরে তা জব্দ করেন। পরে তাকে স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে দেহ তল্লাশি করে নতুন একটি আইফোন পাওয়া যায়।

শুধু রুদাবাই নন। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু’দের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিছুদিন পরপরই কেবিন ক্রু’রা স্বর্ণসহ আটক হন বিমানবন্দরে। বাড়তি টাকা আয়ের লোভে অনেক কেবিন ক্রু’ এ ধরনের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু স্বর্ণসহ আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা হয় না। কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বর্ণ জব্দ করে শুধু বিমানে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। পরে বিমান প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা থাকলে বিভাগীয় মামলা করে। এছাড়া অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে পরে নামমাত্র শাস্তি দিয়ে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দিয়ে পুনরায় কাজে যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়।

বিমানের সূত্রগুলো বলছে, কেবিন ক্রু’রা স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ায় রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা সামনে আসায় এবং তদন্তসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বলাকা ভবনের কিছু কর্মকর্তারাও বিব্রত। যদিও কিছু কর্মকর্তা মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরেও নিচের সারির কিছু লোক দেখানো শাস্তি দিয়ে সাময়িক বিমানের প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

চলতি বছরের ৯ই জানুয়ারি শাহ্‌জালাল বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে সোনার চুড়িসহ আটক হন কেবিন ক্রু মর্জিনা আক্তার এলিন। কাস্টমসের কাছে লিখিতভাবে তিনি নিজেই স্বর্ণ বহনের কথা স্বীকার করেন। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিমানের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তের পর এলিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও, দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৭শে আগস্ট তাকে তার ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়ে তারপর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইভাবে সাদিয়া খানম নামের আরেকজনও বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ আটক হন। তাকেও গত মাসের ১৭ তারিখ শুধুমাত্র ‘তিরস্কার’ দিয়ে তার বিরুদ্ধে থাকা সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সূত্র বলছে, কেবিন ক্রু’রা নিয়মিতই স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকেন। নিয়মিত বিমানবন্দর দিয়ে চলাচলের কারণে তাদেরকে যাত্রীদের মতো চেক করা হয় না। ধরা পড়ার ভয় না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা স্বর্ণ চোরাচালান করেন। শুধামাত্র সন্দেহজনক গতিবিধি হলে এবং আগে থেকে গোয়েন্দা তথ্য থাকলে সন্দেহভাজনকে চেক করা হয়। বিভিন্ন চক্রের হয়ে এভাবে চোরাচালান করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হন। অধিকাংশ সময় কেবিন ক্রু’রা ধরা পড়ার পর অস্বাভাবিক পরিমাণ আনা এসব স্বর্ণ নিজের আত্মীয়-স্বজনের বিয়ের জন্য আনা হয়েছে বলে জানান। প্রায় সব ঘটনায়ই একি ধরনের ব্যাখ্যা আসে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতা ধ্বংসে এগিয়ে চলেছে হোয়াইট কলার টেরোরিজম

জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

০৯:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু”

প্রায় ৩৩ বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য নেওয়া হয়েছে সব প্রস্তুতি। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ ফিরবে বলে আশা করছেন শিক্ষার্থীরা।

কেন্দ্রীয় সংসদে ১৭৭ ও হল সংসদে ৪৪৫ প্রার্থী আছেন ভোটের এই লড়াইয়ে। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গঠনতন্ত্র সংস্কার করে ১১টি পদ বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে। এর আগে ছিল ১৪টি পদ।

২৫ পদের মধ্যে ছাত্রীদের জন্য আছে ছয়টি সংরক্ষিত। নেতৃত্বে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এমন উদ্যোগ। ৩৩ বছর পর হচ্ছে জাকসু নির্বাচন। ভোটে অংশ নিচ্ছে ক্যাম্পাসে সক্রিয় সব সংগঠন।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি গতকাল রাজধানীতে সাংবাদিকদের জানান, জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি– সব বাহিনীই মাঠে থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সতর্ক অবস্থায় থাকবে। প্রয়োজনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দায়িত্ব পালন করবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “অঙ্গীকারে থাকছে সাংবিধানিক ও আইনি সুরক্ষার নিশ্চয়তা”

দুই ধাপের ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৭ দফার অঙ্গীকারনামা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে জুলাই সনদকে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করা, সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।

জুলাই সনদ তৈরি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপ শেষ হয় গত ৩১ জুলাই। ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়ার নমুনা দেওয়া হয়। সেখানে সনদের পটভূমির পাশাপাশি বাস্তবায়নের ৭ দফা অঙ্গীকারনামা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি তোলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অধিকাংশ দল।

এরপর ১৬ আগস্ট দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পাঠানো হয়। সেখানে পটভূমির সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি সুপারিশ ও বাস্তবায়নের ৮ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়। সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয় এতে। এবার বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে।

দলগুলোর আপত্তির মুখে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চূড়ান্ত সনদে অঙ্গীকারনামায় ভাষা ও শব্দগত পরিবর্তন করা হবে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত সনদের সঙ্গে জুলাই সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের রূপরেখাও দলগুলোকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে কমিশন। নানা আলাপ-আলোচনার পর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়—সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার সভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদের খসড়ার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হয়েছে। এতে জুলাই সনদের পটভূমির পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে সংবিধান সংশোধন সাপেক্ষে সংস্কারের বিষয়, দ্বিতীয় ভাগে অধ্যাদেশ, বিধি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলো রাখা হয়েছে। সনদের সর্বশেষ অংশে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা রাখা হয়েছে। কমিশন এতে আর পরিবর্তন করবে না।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রাজধানীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র ভবন ও অভিজাত এলাকা এখন মবকারীদের টার্গেট”

রাজধানী ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল। এর পরই আসে গুলশান ও তেজগাঁওয়ের নাম। গুলশান একদিকে যেমন ব্যবসায়িক কেন্দ্র, তেমনি এখানে বাস করে দেশের ধনীদের বড় অংশ। সম্প্রতি এ বাণিজ্যিক ও অভিজাত এলাকাগুলো তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হিসাবে গত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি-জুলাই) ঢাকায় সংঘটিত ‘দাঙ্গা’র ঘটনাগুলোর প্রায় তিন-চতুর্থাংশই হয়েছে মতিঝিল, গুলশান ও তেজগাঁও বিভাগে। অপরাধ হিসেবে ‘মব সহিংসতা’কে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল ব্যাংক পাড়া নামেও পরিচিত। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ বাণিজ্যিক এলাকায় বিভিন্ন সময় দাবি-দাওয়ার আন্দোলন, অবরোধ, ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। এমনকি মতিঝিল থানার ভেতরে প্রবেশ করেও মবের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ জুলাই ৩০ থেকে ৩৫ জনের মব মতিঝিলের একটি বাণিজ্যিক ভবন দখলের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মবকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে তাদের বেশ কয়েকজন দলবদ্ধভাবে থানায় হামলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এখানে অধিকাংশই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নানা সময়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মসূচি পালন করে থাকেন। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনেক ক্ষেত্রে এসব ঘটনা সমাধান করা হয়।’

শুধু মতিঝিলেই নয়, গুলশানেও গত ছয় মাসে কয়েকটি মবের ঘটনা ঘটছে। ৫ মার্চ গুলশান-২ নম্বরে ৮১ নম্বর সড়কের একটি বাসা ঘেরাও করে মব তৈরি হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ওই বাসার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক শাকিল আহমেদ। তিনি বাসাটিতে ২০০-৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে—এমন গুজব ছড়িয়ে সেখানে বেআইনিভাবে তল্লাশি চালাতে জনতাকে উসকানি দেন। বাসাটি তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর। তানভীর সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে এ তানভীর। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে শাকিল আহমেদ একসময় ওই বাসায় কেয়ারটেকারের (তত্ত্বাবধায়ক) কাজ করতেন। তিনিই মূলত জনতাকে ২০০-৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে, এমন তথ্য দিয়ে বাসায় তল্লাশি চালাতে উসকানি দেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বিমানবালাদের স্বর্ণ কারবার অপরাধ গুরুতর দণ্ড নামমাত্র”

চলতি বছরের ৪ঠা আগস্টের ঘটনা। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রিয়াদ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৪০ ফ্লাইট ঢাকায় আসে। ওই ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কেবিন ক্রু রুদাবা সুলতানা। গ্রিন চ্যানেল ফাড়ি দেয়ার সময় রুদাবার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়াতে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তার ব্যাগেজ তল্লাশির পর বডি স্ক্যানিংয়ের জন্য স্ক্যানার কক্ষে নিতে চাইলে তিনি গড়িমসি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এছাড়া নিজেকে বিমানের কেবিন ক্রু ইউনিয়নের সভাপতি আবিরের বোন পরিচয় দেন। এতেকরেও রেহাই পাননি তিনি। একপর্যায়ে অন্তর্বাসে লুকিয়ে রাখা বিশেষভাবে তৈরি ২৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ ফেলে তা লুকানোর চেষ্টা করেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা পরে তা জব্দ করেন। পরে তাকে স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে দেহ তল্লাশি করে নতুন একটি আইফোন পাওয়া যায়।

শুধু রুদাবাই নন। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু’দের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিছুদিন পরপরই কেবিন ক্রু’রা স্বর্ণসহ আটক হন বিমানবন্দরে। বাড়তি টাকা আয়ের লোভে অনেক কেবিন ক্রু’ এ ধরনের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু স্বর্ণসহ আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা হয় না। কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বর্ণ জব্দ করে শুধু বিমানে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। পরে বিমান প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা থাকলে বিভাগীয় মামলা করে। এছাড়া অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে পরে নামমাত্র শাস্তি দিয়ে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দিয়ে পুনরায় কাজে যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়।

বিমানের সূত্রগুলো বলছে, কেবিন ক্রু’রা স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ায় রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা সামনে আসায় এবং তদন্তসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বলাকা ভবনের কিছু কর্মকর্তারাও বিব্রত। যদিও কিছু কর্মকর্তা মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরেও নিচের সারির কিছু লোক দেখানো শাস্তি দিয়ে সাময়িক বিমানের প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

চলতি বছরের ৯ই জানুয়ারি শাহ্‌জালাল বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে সোনার চুড়িসহ আটক হন কেবিন ক্রু মর্জিনা আক্তার এলিন। কাস্টমসের কাছে লিখিতভাবে তিনি নিজেই স্বর্ণ বহনের কথা স্বীকার করেন। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিমানের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তের পর এলিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও, দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৭শে আগস্ট তাকে তার ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়ে তারপর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইভাবে সাদিয়া খানম নামের আরেকজনও বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ আটক হন। তাকেও গত মাসের ১৭ তারিখ শুধুমাত্র ‘তিরস্কার’ দিয়ে তার বিরুদ্ধে থাকা সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সূত্র বলছে, কেবিন ক্রু’রা নিয়মিতই স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকেন। নিয়মিত বিমানবন্দর দিয়ে চলাচলের কারণে তাদেরকে যাত্রীদের মতো চেক করা হয় না। ধরা পড়ার ভয় না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা স্বর্ণ চোরাচালান করেন। শুধামাত্র সন্দেহজনক গতিবিধি হলে এবং আগে থেকে গোয়েন্দা তথ্য থাকলে সন্দেহভাজনকে চেক করা হয়। বিভিন্ন চক্রের হয়ে এভাবে চোরাচালান করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হন। অধিকাংশ সময় কেবিন ক্রু’রা ধরা পড়ার পর অস্বাভাবিক পরিমাণ আনা এসব স্বর্ণ নিজের আত্মীয়-স্বজনের বিয়ের জন্য আনা হয়েছে বলে জানান। প্রায় সব ঘটনায়ই একি ধরনের ব্যাখ্যা আসে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।