বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লি চেংগ্যাং মঙ্গলবার আমদানি-রপ্তানি সংস্থা, বাণিজ্যিক চেম্বার এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন যে, বছরের বাকি সময়ে বৈদেশিক বাণিজ্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে।
লি চেংগ্যাং, যিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন, বৈঠকে জানান যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি বৈদেশিক বাণিজ্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তিনি ১২টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ৬টি আমদানি-রপ্তানি চেম্বার এবং একদল বিশেষজ্ঞের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
জটিল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও স্থিতিশীলতা
লি চেংগ্যাং বলেন, এ বছর জটিল ও চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যেও চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য চাপ সামলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পেরেছে এবং ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দলগুলো জেনেভা, লন্ডন ও স্টকহোমে বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করেছে।
বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া
বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও বৈদেশিক বাণিজ্যের পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করেন। আগস্ট মাসের বাণিজ্য তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বেড়ে গেলেও চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে এবং স্থিরভাবে উন্নতি করছে।
বাজার বৈচিত্র্য ও ঝুঁকি মোকাবিলা
জিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সান চুয়ানওয়াং গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, চীন কয়েক বছর ধরে বৈদেশিক বাণিজ্যে ‘বন্ধুমহল’ সম্প্রসারণ করেছে। এর ফলে একক বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের ওঠানামা বা ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি সামলানোর ক্ষমতা বেড়েছে।
আস্থা সৃষ্টির পদক্ষেপ
সান বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারের গোলটেবিল বৈঠকের মতো পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে সরকার বাজার সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধারাবাহিক সহায়তা দিচ্ছে। এটি ব্যবসায়ীদের আস্থা জোগাচ্ছে এবং জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহায্য করছে।