০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু সংবিধান উপেক্ষা করে গণভোটের তাড়াহুড়ো জনমনে সন্দেহ জাগাচ্ছে: আমীর খসরু

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২০)

বঙ্গজ কায়স্থ ঐ ৯৯ পদ্ধতির কায়স্থবংশ মধ্যে যাহারা বঙ্গে বাস করেন, তাহারা কান্যকুব্জাগত কায়স্থগণের বংশধর। তাহাদিগের গুণানুসারে কৌলীন্য মর্যাদা প্রদান করেন। এই নিয়মানুসারে বসু, ঘোষ, শুহ ও মিত্র উপাধিধারী কায়স্থ বঙ্গের কুলীন হইলেন। দত্ত, নাগ, নাথ ও দাস উপাধিধারী কায়স্থ মধ্যল্য এবং সেন, কর, দাম, পালিত, চন্দ্র, পাল, রাহা, ভদ্র, ধর, নন্দী, দেব, কুণ্ড, সোম, রক্ষিত, অঙ্কুর, সিংহ, বিষ্ণু, আঢ্য এবং নন্দন এই ১৯টি উপাধিধারী কায়স্থ মহাপাত্র নামে পরিচিত হইল। অবশিষ্ট সর্বগুণবিহীন কায়স্থগণ যথা-হোড়, স্মর, ধরণী, আইচ, খুর, শর্মা, বর্মা, গুপ্ত প্রভৃতি দ্বিসপ্ততিবংশ “বাহাত্তরে কায়স্থ” বলিয়া কীর্তিত হন। বল্লাল সেনের কৌলীন্যপ্রথা প্রচলিত হওয়ার পরে, বঙ্গজশ্রেণি কায়স্থগণের মেল বন্ধ এবং তাহাদের মধ্যে কুলপ্রথার পরিবর্তন ঘটে, তাহার বিস্তারিত বিবরণ লিখা বাহুল্য বিবেচনায় এ ক্ষুদ্র পুস্তকে সন্নিবেশিত হইল না। এই সম্বন্ধে কেবল দুই একটি কথা উল্লেখ করা গেল। কুলীনের সমঘরে কন্যাদান ও কন্যাগ্রহণ করাই উত্তম কার্য। কুলীনের সকল সন্তান পিতার মত কুলমর্যাদা পাইয়া থাকেন, যদি আদান প্রদানে কুলভ্রষ্ট না হইয়া থাকেন। বল্লাল সেনের পর “বংশজ” নামে একটি শ্রেণি গঠিত হয়। যাহারা কুলীনের বংশজাত অথচ কুলহীন, তাহারাই “বংশজ” নামে প্রসিদ্ধ হইল।

জনপ্রিয় সংবাদ

অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২০)

০৪:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বঙ্গজ কায়স্থ ঐ ৯৯ পদ্ধতির কায়স্থবংশ মধ্যে যাহারা বঙ্গে বাস করেন, তাহারা কান্যকুব্জাগত কায়স্থগণের বংশধর। তাহাদিগের গুণানুসারে কৌলীন্য মর্যাদা প্রদান করেন। এই নিয়মানুসারে বসু, ঘোষ, শুহ ও মিত্র উপাধিধারী কায়স্থ বঙ্গের কুলীন হইলেন। দত্ত, নাগ, নাথ ও দাস উপাধিধারী কায়স্থ মধ্যল্য এবং সেন, কর, দাম, পালিত, চন্দ্র, পাল, রাহা, ভদ্র, ধর, নন্দী, দেব, কুণ্ড, সোম, রক্ষিত, অঙ্কুর, সিংহ, বিষ্ণু, আঢ্য এবং নন্দন এই ১৯টি উপাধিধারী কায়স্থ মহাপাত্র নামে পরিচিত হইল। অবশিষ্ট সর্বগুণবিহীন কায়স্থগণ যথা-হোড়, স্মর, ধরণী, আইচ, খুর, শর্মা, বর্মা, গুপ্ত প্রভৃতি দ্বিসপ্ততিবংশ “বাহাত্তরে কায়স্থ” বলিয়া কীর্তিত হন। বল্লাল সেনের কৌলীন্যপ্রথা প্রচলিত হওয়ার পরে, বঙ্গজশ্রেণি কায়স্থগণের মেল বন্ধ এবং তাহাদের মধ্যে কুলপ্রথার পরিবর্তন ঘটে, তাহার বিস্তারিত বিবরণ লিখা বাহুল্য বিবেচনায় এ ক্ষুদ্র পুস্তকে সন্নিবেশিত হইল না। এই সম্বন্ধে কেবল দুই একটি কথা উল্লেখ করা গেল। কুলীনের সমঘরে কন্যাদান ও কন্যাগ্রহণ করাই উত্তম কার্য। কুলীনের সকল সন্তান পিতার মত কুলমর্যাদা পাইয়া থাকেন, যদি আদান প্রদানে কুলভ্রষ্ট না হইয়া থাকেন। বল্লাল সেনের পর “বংশজ” নামে একটি শ্রেণি গঠিত হয়। যাহারা কুলীনের বংশজাত অথচ কুলহীন, তাহারাই “বংশজ” নামে প্রসিদ্ধ হইল।