০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪) পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২০)

বঙ্গজ কায়স্থ ঐ ৯৯ পদ্ধতির কায়স্থবংশ মধ্যে যাহারা বঙ্গে বাস করেন, তাহারা কান্যকুব্জাগত কায়স্থগণের বংশধর। তাহাদিগের গুণানুসারে কৌলীন্য মর্যাদা প্রদান করেন। এই নিয়মানুসারে বসু, ঘোষ, শুহ ও মিত্র উপাধিধারী কায়স্থ বঙ্গের কুলীন হইলেন। দত্ত, নাগ, নাথ ও দাস উপাধিধারী কায়স্থ মধ্যল্য এবং সেন, কর, দাম, পালিত, চন্দ্র, পাল, রাহা, ভদ্র, ধর, নন্দী, দেব, কুণ্ড, সোম, রক্ষিত, অঙ্কুর, সিংহ, বিষ্ণু, আঢ্য এবং নন্দন এই ১৯টি উপাধিধারী কায়স্থ মহাপাত্র নামে পরিচিত হইল। অবশিষ্ট সর্বগুণবিহীন কায়স্থগণ যথা-হোড়, স্মর, ধরণী, আইচ, খুর, শর্মা, বর্মা, গুপ্ত প্রভৃতি দ্বিসপ্ততিবংশ “বাহাত্তরে কায়স্থ” বলিয়া কীর্তিত হন। বল্লাল সেনের কৌলীন্যপ্রথা প্রচলিত হওয়ার পরে, বঙ্গজশ্রেণি কায়স্থগণের মেল বন্ধ এবং তাহাদের মধ্যে কুলপ্রথার পরিবর্তন ঘটে, তাহার বিস্তারিত বিবরণ লিখা বাহুল্য বিবেচনায় এ ক্ষুদ্র পুস্তকে সন্নিবেশিত হইল না। এই সম্বন্ধে কেবল দুই একটি কথা উল্লেখ করা গেল। কুলীনের সমঘরে কন্যাদান ও কন্যাগ্রহণ করাই উত্তম কার্য। কুলীনের সকল সন্তান পিতার মত কুলমর্যাদা পাইয়া থাকেন, যদি আদান প্রদানে কুলভ্রষ্ট না হইয়া থাকেন। বল্লাল সেনের পর “বংশজ” নামে একটি শ্রেণি গঠিত হয়। যাহারা কুলীনের বংশজাত অথচ কুলহীন, তাহারাই “বংশজ” নামে প্রসিদ্ধ হইল।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪)

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২০)

০৪:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বঙ্গজ কায়স্থ ঐ ৯৯ পদ্ধতির কায়স্থবংশ মধ্যে যাহারা বঙ্গে বাস করেন, তাহারা কান্যকুব্জাগত কায়স্থগণের বংশধর। তাহাদিগের গুণানুসারে কৌলীন্য মর্যাদা প্রদান করেন। এই নিয়মানুসারে বসু, ঘোষ, শুহ ও মিত্র উপাধিধারী কায়স্থ বঙ্গের কুলীন হইলেন। দত্ত, নাগ, নাথ ও দাস উপাধিধারী কায়স্থ মধ্যল্য এবং সেন, কর, দাম, পালিত, চন্দ্র, পাল, রাহা, ভদ্র, ধর, নন্দী, দেব, কুণ্ড, সোম, রক্ষিত, অঙ্কুর, সিংহ, বিষ্ণু, আঢ্য এবং নন্দন এই ১৯টি উপাধিধারী কায়স্থ মহাপাত্র নামে পরিচিত হইল। অবশিষ্ট সর্বগুণবিহীন কায়স্থগণ যথা-হোড়, স্মর, ধরণী, আইচ, খুর, শর্মা, বর্মা, গুপ্ত প্রভৃতি দ্বিসপ্ততিবংশ “বাহাত্তরে কায়স্থ” বলিয়া কীর্তিত হন। বল্লাল সেনের কৌলীন্যপ্রথা প্রচলিত হওয়ার পরে, বঙ্গজশ্রেণি কায়স্থগণের মেল বন্ধ এবং তাহাদের মধ্যে কুলপ্রথার পরিবর্তন ঘটে, তাহার বিস্তারিত বিবরণ লিখা বাহুল্য বিবেচনায় এ ক্ষুদ্র পুস্তকে সন্নিবেশিত হইল না। এই সম্বন্ধে কেবল দুই একটি কথা উল্লেখ করা গেল। কুলীনের সমঘরে কন্যাদান ও কন্যাগ্রহণ করাই উত্তম কার্য। কুলীনের সকল সন্তান পিতার মত কুলমর্যাদা পাইয়া থাকেন, যদি আদান প্রদানে কুলভ্রষ্ট না হইয়া থাকেন। বল্লাল সেনের পর “বংশজ” নামে একটি শ্রেণি গঠিত হয়। যাহারা কুলীনের বংশজাত অথচ কুলহীন, তাহারাই “বংশজ” নামে প্রসিদ্ধ হইল।