০৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের পুশইন: ১৬ জন আটক উইন্ডসরের প্রাসাদে মেলানিয়া ট্রাম্পের রহস্যময় সাজ আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের লেখা বই নিষিদ্ধ করল তালেবান জাপানের আনন্দময় “সাকে ট্রেন”-এ এক যাত্রা সফটব্যাংক ভিশন ফান্ডে বড় ধরনের ছাঁটাই। লক্ষ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৌদি- পাকিস্তান সামরিক প্যাক্ট ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব এশিয়ার বিলিয়ন-ডলারের মুনকেক বাজারে নতুন ধারা: দুবাই চকলেট ও পিস্তাচিওর ছোঁয়া শিম্পাঞ্জিদের খাদ্যে অ্যালকোহলের উপস্থিতি ১৯৮৮ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের উত্তরাধিকার আজও মিয়ানমার পেরুর মরুভূমি থেকে আবিষ্কৃত নতুন নগরী: আমেরিকার ইতিহাস নতুনভাবে লেখা হচ্ছে

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার দাবী

  • Sarakhon Report
  • ০৭:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • 98

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে স্বাধীনতার ঘোষাণাপত্রের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র: স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের সৃষ্টিতত্ত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নির্মূল কমিটি’র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি।

আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ও মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের গার্ড অব অনার প্রদানকারী সাবেক এসপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম,

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট-এর সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং নির্মূল কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক শহীদসন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।

সভা সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান নাট্যজন আসিফ মুনীর।

 

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি বলেন, ‘’৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল।

সেই অনাড়ম্বর আন্তরিক ভালোবাসাপূর্ণ শান্ত সুনিবিড় পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশী বিদেশী বহু নামি সাংবাদিক। সাক্ষী হিসেবে ছিলেন হাজারো স্থানীয় মানুষ। সনাতন ধর্মালম্বী একজনের বাড়ি থেকে আনা হারমোনিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন  করেন  ভবেরপাড়ার  ছেলেরাই।

গার্ড  অব  অনার  প্রদান করেন স্থানীয় আনসার ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুবউদ্দিন আহমেদ। এভাবেই সকল ধর্মের মানুষের একত্রিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে বঙ্গন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে করা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি। তিনি তখনও পাকিস্তানীদের হাতে বন্দি। তাই উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তাজউদ্দীন আহমদ। একই সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো মন্ত্রী পরিষদ সদস্যদের। ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন, অধ্যাপক ইউসুফ আলী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং হাজারো জনতার সামনে বক্তব্য রাখলেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করলেন ‘মুজিবনগর’।

 

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধান প্রণয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন।

যে চারটি চেতনা, যথা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল কথা, তার সূত্রও ঘোষণাপত্রের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় সেই অধ্যায়ে যেখানে বলা হয়েছে “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করণার্থে।”

এই তিনটি  বিশ্লেষণ করলেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে চারটি চেতনাই এই তিনে প্রতিফলিত।যারা বলে এতে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিল না, তারা ইচ্ছা করেই এর অপব্যাখ্যা করছেন। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ছাড়া অচিন্তনীয়।’

 

 

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘মুজিবনগর ঘোষণায় যা বলা হয়েছিল আজ ৫৩বছর পর তার অধিকাংশই বিলীন হয়ে গেছে। একটি দেশের উত্থানের জন্য ৫৩ বছর কম সময় নয়।

তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর ঘোষণা দিয়েছিল জাতির পক্ষে আওয়ামী লীগ। ১৯৭২ সালের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেছিল জাতির পক্ষে আওয়ামী লীগ। এখন জাতির মর্যাদাজ্ঞাপক ১৯৭২ সালের শাসনতন্ত্রে আবার ফিরে যাবো কিনা তাও নির্ধারণ করতে পারে আওয়ামী লীগ।’

শহীদসন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন,‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র নেই, যা পাঠ্যসূচিতে প্রধান বিষয় হিসেবে থাকা উচিত ছিল।’

আলোচনা সভায় বক্তারা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রদানের ঐতিহাসিক দিন ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপনের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।

নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের পুশইন: ১৬ জন আটক

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার দাবী

০৭:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে স্বাধীনতার ঘোষাণাপত্রের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র: স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের সৃষ্টিতত্ত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নির্মূল কমিটি’র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি।

আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ও মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের গার্ড অব অনার প্রদানকারী সাবেক এসপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম,

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট-এর সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং নির্মূল কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক শহীদসন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।

সভা সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি শহীদসন্তান নাট্যজন আসিফ মুনীর।

 

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি বলেন, ‘’৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল।

সেই অনাড়ম্বর আন্তরিক ভালোবাসাপূর্ণ শান্ত সুনিবিড় পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশী বিদেশী বহু নামি সাংবাদিক। সাক্ষী হিসেবে ছিলেন হাজারো স্থানীয় মানুষ। সনাতন ধর্মালম্বী একজনের বাড়ি থেকে আনা হারমোনিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন  করেন  ভবেরপাড়ার  ছেলেরাই।

গার্ড  অব  অনার  প্রদান করেন স্থানীয় আনসার ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুবউদ্দিন আহমেদ। এভাবেই সকল ধর্মের মানুষের একত্রিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে বঙ্গন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে করা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি। তিনি তখনও পাকিস্তানীদের হাতে বন্দি। তাই উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তাজউদ্দীন আহমদ। একই সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো মন্ত্রী পরিষদ সদস্যদের। ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন, অধ্যাপক ইউসুফ আলী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং হাজারো জনতার সামনে বক্তব্য রাখলেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করলেন ‘মুজিবনগর’।

 

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধান প্রণয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন।

যে চারটি চেতনা, যথা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল কথা, তার সূত্রও ঘোষণাপত্রের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় সেই অধ্যায়ে যেখানে বলা হয়েছে “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করণার্থে।”

এই তিনটি  বিশ্লেষণ করলেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে চারটি চেতনাই এই তিনে প্রতিফলিত।যারা বলে এতে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিল না, তারা ইচ্ছা করেই এর অপব্যাখ্যা করছেন। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ছাড়া অচিন্তনীয়।’

 

 

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘মুজিবনগর ঘোষণায় যা বলা হয়েছিল আজ ৫৩বছর পর তার অধিকাংশই বিলীন হয়ে গেছে। একটি দেশের উত্থানের জন্য ৫৩ বছর কম সময় নয়।

তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর ঘোষণা দিয়েছিল জাতির পক্ষে আওয়ামী লীগ। ১৯৭২ সালের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেছিল জাতির পক্ষে আওয়ামী লীগ। এখন জাতির মর্যাদাজ্ঞাপক ১৯৭২ সালের শাসনতন্ত্রে আবার ফিরে যাবো কিনা তাও নির্ধারণ করতে পারে আওয়ামী লীগ।’

শহীদসন্তান অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন,‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র নেই, যা পাঠ্যসূচিতে প্রধান বিষয় হিসেবে থাকা উচিত ছিল।’

আলোচনা সভায় বক্তারা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রদানের ঐতিহাসিক দিন ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপনের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।