০২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু সংবিধান উপেক্ষা করে গণভোটের তাড়াহুড়ো জনমনে সন্দেহ জাগাচ্ছে: আমীর খসরু শেয়ারবাজারে পতন: সপ্তাহ শেষে লাল সংকেতে ডিএসই ও সিএসই ব্যাংক একীভূতকরণে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ: পদত্যাগ দাবি ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -৩০)

জ নিজ ভাজত্বের হওয়া হইতে জমাদার, রও বরং তার পক্ষে দারগণের লুবাদারের য় প্রজাগণ ছিল কেন? এক শিক্ষিত ক্ত পাইবার প্রারম্ভেই এই প্রতিনিধির ত লাগিল। সের সময় ব বেঙ্গল’ এর জুলাই সূত্রপাত য়ে দেশে খ্যাত লর্ড ভরেন যে, ন দেশীয় বিলাতের রিত হয়।
বার জন্য ভাষা ও এই বিষয় র সভায় ীয় বিদ্যা দর বিদ্যা এইরূপ প্রণালীতে কলিকাতা ও তন্নিকটবর্তী স্থানীয় লোকদের সন্তানদিগের বিদ্যা শিক্ষারই সুবিধা হইল। জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে প্রজাগণকে শিক্ষিত না করিতে পারিলে পূর্বের লিখিত অত্যাচার হইতে প্রজাগণকে রক্ষা করা কঠিন। অতএব ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় শিক্ষার প্রকৃত অবস্থা প্রত্যেক জেলায় কিরূপ জানিবার জন্য এবং প্রথমে কি উপায়ে দেশীয় শিক্ষা সর্বত্র বিস্তার করা যাইতে পারে, তজ্জন্য বড়লাট উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক, মহাত্মা উইলিয়ম আডাম সাহেবকে গবর্ণমেন্ট পক্ষ হইতে কমিশনর নিযুক্ত করেন। ১৪ এই প্রথমে জেলায় জেলায় দেশীয় শিক্ষা বিস্তারের সূত্রপাত হইল এবং রাজসাহী প্রজাপুঞ্জের সৌভাগ্য প্রসন্ন হইবারও সূত্রপাত হইল। মহাত্মা আডাম এই কার্যের উপযুক্ত পাত্র ছিলেন। তাহার রিপোর্ট বড়লাট বাহাদুর সমীপে পৌঁছিলে, শিক্ষার সুব্যবস্থা হইবে। মহাত্মা আডাম দেখিলেন যে প্রত্যেক জেলার প্রত্যেক থানায় স্বয়ং যাইয়া দেশীয় শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থার অনুসন্ধান করা নিতান্ত অসম্ভব। অতএব প্রত্যেক জেলার কোন একটি প্রধান থানা বা প্রধান নগরে স্বয়ং যাইয়া তথাকার দেশীয় শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থার বিষয় সংগ্রহ করিয়া আদর্শ স্বরূপ সমস্ত জেলার শিক্ষার অবস্থা বুঝা যাইতে পারে। তাহার অনুসন্ধান এত পরিপক্ক ও গভীর ছিল যে প্রত্যেক জেলার শিক্ষার প্রকৃত অবস্থা স্থির করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। এই প্রণালী অনুসারে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে আডাম সাহেব স্বয়ং রাজসাহী আসিয়া নাটোরকে আদর্শ স্বরূপ নির্দেশ করিলেন। নাটোরে প্রথমে রাজসাহী জেলার সদর অফিস ছিল এবং এক্ষণে রাজসাহীর একটি প্রধান মহকুমা। অতএব নাটোরের অবস্থা জানিতে পারিলে রাজসাহী জেলার শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থা বিশেষরূপ জানা যাইবে। এই সময়ে আডাম সাহেব রাজসাহী জেলা পরিদর্শনে আইসেন, সে সময়ে সেখানে কোন সুবন্দোবস্ত ইংরেজি স্কুল ছিল না। “আডাম সাহেব বলেন নাটোরে বাংলা স্কুল ১০টি এবং তাহাদের ছাত্রসংখ্যা ১৬৭; ছাত্রগণ ১০ হইতে ১৬ বৎসর বয়স সময় স্কুলে ভর্তি হয়। শিক্ষকগণ যুবক এবং সরল প্রকৃতির পুরুষ; কিন্তু দরিদ্র এবং অনভিজ্ঞ; তাহারা এই কার্যে সম্মান মনে করেন। “১৫ নাটোরে পারস্য ও আরবীয় ভাষাও শিক্ষা হইত। “নাটোরে পারস্য স্কুল চারিটি এবং তাহাদের ছাত্রসংখ্যা ২৩। ছাত্রগণ ৪ই হইতে ১৩ বৎসর বয়স সময় স্কুলে ভর্তি হয়। ১৭ বৎসর বয়সের পর আর স্কুলে থাকে না। বিদ্যা বুদ্ধিতে বাংলা স্কুলের শিক্ষক অপেক্ষা পারস্য স্কুলের শিক্ষক শ্রেষ্ঠ, কিন্তু ধর্মভাবে বাংলা স্কুলের শিক্ষকই শ্রেষ্ঠ। “১৬ পারস্য স্কুলের শিক্ষকের মাসিক আয় ৭টাকা। আরবীয় ভাষা শিক্ষা জন্য যে স্কুল ছিল, সে সমুদয়ে কোরান পড়ান হইত। এ শ্রেণির স্কুলের সংখ্যা ১১ এবং ছাত্র সংখ্যা ৪২। ছাত্রগণ ৭ হইতে ১৪ বৎসর বয়স সময় পর্যন্ত স্কুলে ভর্তি হয় এবং ১৮ বৎসর বয়সের পর আর স্কুলে থাকে না। ইহাদের শিক্ষকগণ অনুপযুক্ত। বাংলা স্কুল অপেক্ষা পারস্য স্কুলের শিক্ষায় বৃহৎ এবং উদার ভাব লক্ষিত হয়। “১৭
আডাম সাহেবের সময়ে ব্রাহ্মাণ পণ্ডিত ও সাধারণ হিন্দুদের মধ্যে স্ত্রী শিক্ষা প্রচলিত ছিল না, কিন্তু জমিদারেরা পুত্রের ন্যায় কন্যাকে শিক্ষা দিতেন। অনেক সময়ে কন্যাকেও জমিদারি কার্য নির্বাহ করিবার জন্য লেখাপড়া করিতে হইত। রাণী সূর্যমণি, তারাঠাকুরঝি প্রভৃতি লেখাপড়া মন্দ শিক্ষা করেন নাই।১৮
জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -৩০)

০৭:১৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জ নিজ ভাজত্বের হওয়া হইতে জমাদার, রও বরং তার পক্ষে দারগণের লুবাদারের য় প্রজাগণ ছিল কেন? এক শিক্ষিত ক্ত পাইবার প্রারম্ভেই এই প্রতিনিধির ত লাগিল। সের সময় ব বেঙ্গল’ এর জুলাই সূত্রপাত য়ে দেশে খ্যাত লর্ড ভরেন যে, ন দেশীয় বিলাতের রিত হয়।
বার জন্য ভাষা ও এই বিষয় র সভায় ীয় বিদ্যা দর বিদ্যা এইরূপ প্রণালীতে কলিকাতা ও তন্নিকটবর্তী স্থানীয় লোকদের সন্তানদিগের বিদ্যা শিক্ষারই সুবিধা হইল। জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে প্রজাগণকে শিক্ষিত না করিতে পারিলে পূর্বের লিখিত অত্যাচার হইতে প্রজাগণকে রক্ষা করা কঠিন। অতএব ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় শিক্ষার প্রকৃত অবস্থা প্রত্যেক জেলায় কিরূপ জানিবার জন্য এবং প্রথমে কি উপায়ে দেশীয় শিক্ষা সর্বত্র বিস্তার করা যাইতে পারে, তজ্জন্য বড়লাট উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক, মহাত্মা উইলিয়ম আডাম সাহেবকে গবর্ণমেন্ট পক্ষ হইতে কমিশনর নিযুক্ত করেন। ১৪ এই প্রথমে জেলায় জেলায় দেশীয় শিক্ষা বিস্তারের সূত্রপাত হইল এবং রাজসাহী প্রজাপুঞ্জের সৌভাগ্য প্রসন্ন হইবারও সূত্রপাত হইল। মহাত্মা আডাম এই কার্যের উপযুক্ত পাত্র ছিলেন। তাহার রিপোর্ট বড়লাট বাহাদুর সমীপে পৌঁছিলে, শিক্ষার সুব্যবস্থা হইবে। মহাত্মা আডাম দেখিলেন যে প্রত্যেক জেলার প্রত্যেক থানায় স্বয়ং যাইয়া দেশীয় শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থার অনুসন্ধান করা নিতান্ত অসম্ভব। অতএব প্রত্যেক জেলার কোন একটি প্রধান থানা বা প্রধান নগরে স্বয়ং যাইয়া তথাকার দেশীয় শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থার বিষয় সংগ্রহ করিয়া আদর্শ স্বরূপ সমস্ত জেলার শিক্ষার অবস্থা বুঝা যাইতে পারে। তাহার অনুসন্ধান এত পরিপক্ক ও গভীর ছিল যে প্রত্যেক জেলার শিক্ষার প্রকৃত অবস্থা স্থির করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। এই প্রণালী অনুসারে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে আডাম সাহেব স্বয়ং রাজসাহী আসিয়া নাটোরকে আদর্শ স্বরূপ নির্দেশ করিলেন। নাটোরে প্রথমে রাজসাহী জেলার সদর অফিস ছিল এবং এক্ষণে রাজসাহীর একটি প্রধান মহকুমা। অতএব নাটোরের অবস্থা জানিতে পারিলে রাজসাহী জেলার শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থা বিশেষরূপ জানা যাইবে। এই সময়ে আডাম সাহেব রাজসাহী জেলা পরিদর্শনে আইসেন, সে সময়ে সেখানে কোন সুবন্দোবস্ত ইংরেজি স্কুল ছিল না। “আডাম সাহেব বলেন নাটোরে বাংলা স্কুল ১০টি এবং তাহাদের ছাত্রসংখ্যা ১৬৭; ছাত্রগণ ১০ হইতে ১৬ বৎসর বয়স সময় স্কুলে ভর্তি হয়। শিক্ষকগণ যুবক এবং সরল প্রকৃতির পুরুষ; কিন্তু দরিদ্র এবং অনভিজ্ঞ; তাহারা এই কার্যে সম্মান মনে করেন। “১৫ নাটোরে পারস্য ও আরবীয় ভাষাও শিক্ষা হইত। “নাটোরে পারস্য স্কুল চারিটি এবং তাহাদের ছাত্রসংখ্যা ২৩। ছাত্রগণ ৪ই হইতে ১৩ বৎসর বয়স সময় স্কুলে ভর্তি হয়। ১৭ বৎসর বয়সের পর আর স্কুলে থাকে না। বিদ্যা বুদ্ধিতে বাংলা স্কুলের শিক্ষক অপেক্ষা পারস্য স্কুলের শিক্ষক শ্রেষ্ঠ, কিন্তু ধর্মভাবে বাংলা স্কুলের শিক্ষকই শ্রেষ্ঠ। “১৬ পারস্য স্কুলের শিক্ষকের মাসিক আয় ৭টাকা। আরবীয় ভাষা শিক্ষা জন্য যে স্কুল ছিল, সে সমুদয়ে কোরান পড়ান হইত। এ শ্রেণির স্কুলের সংখ্যা ১১ এবং ছাত্র সংখ্যা ৪২। ছাত্রগণ ৭ হইতে ১৪ বৎসর বয়স সময় পর্যন্ত স্কুলে ভর্তি হয় এবং ১৮ বৎসর বয়সের পর আর স্কুলে থাকে না। ইহাদের শিক্ষকগণ অনুপযুক্ত। বাংলা স্কুল অপেক্ষা পারস্য স্কুলের শিক্ষায় বৃহৎ এবং উদার ভাব লক্ষিত হয়। “১৭
আডাম সাহেবের সময়ে ব্রাহ্মাণ পণ্ডিত ও সাধারণ হিন্দুদের মধ্যে স্ত্রী শিক্ষা প্রচলিত ছিল না, কিন্তু জমিদারেরা পুত্রের ন্যায় কন্যাকে শিক্ষা দিতেন। অনেক সময়ে কন্যাকেও জমিদারি কার্য নির্বাহ করিবার জন্য লেখাপড়া করিতে হইত। রাণী সূর্যমণি, তারাঠাকুরঝি প্রভৃতি লেখাপড়া মন্দ শিক্ষা করেন নাই।১৮