চীনা কারখানায় নির্মিত চারটি নতুন ফেরি কেনার একটি চুক্তি কানাডায় রাজনৈতিক ঝড়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (বিসি) প্রদেশেই একচেটিয়া চলাচলকারী একটি ফেরি পরিষেবার এই সরল ক্রয়টা কেন ফেডারেল সরকারকে এতটাই উদ্বিগ্ন করল—এটি দেখায়, “মেইড ইন চায়না” লেবেল কতখানি হিস্টিরিয়া উসকে দিতে পারে কিছু কানাডীয় রাজনীতিকের কাছে।
এখানে কিন্তু আমরা চীনা ইলেকট্রিক গাড়ির কথা বলছি না—যেসব নিয়ে কিছু কল্পনাপ্রসূত, প্রায় সায়েন্স-ফিকশনধাঁচের বর্ণনায় বলা হয়, বেইজিংয়ের এজেন্টরা নাকি সেগুলো থেকে চালক-যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য বের করে নিতে পারে, বা দূর থেকে গাড়ি লক করে অচল করে দিয়ে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এটাও নয় যে এটি হুয়াওয়ের ৫জি, যা নাকি পুরো ইন্টারনেট মুখ থুবড়ে ফেলতে পারে—এমন কথাও শোনা গেছে।
আমরা যে জিনিসটির কথা বলছি, তা হলো সাধারণ একটা ফেরি। এখনো কেউ বলেনি যে চীনা গুপ্তচরেরা এসব ফেরি কোনো অপকর্মে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু তাতে কী—সদ্য বিদায়ী পরিবহনমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড তবু বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট তোড়জোড়—বরং বিশৃঙ্খলাই—সৃষ্টি করেছেন।

কিছু প্রেক্ষাপট দরকার। সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড গত নির্বাচনে শীর্ষ পদটির লড়াইয়ে অংশ নিয়ে ব্যর্থ হন। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি অজনপ্রিয় জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে অতিরিক্তভাবে যুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছেন—যদিও তিনি সবচেয়ে প্রকাশ্য ও অবিশ্বস্ত ভঙ্গিতে শেষমেশ “জাহাজ ছাড়েন”।
নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের জন্য একদা প্রতিদ্বন্দ্বী এই রাজনীতিককে পরিবহন মন্ত্রণালয় দেন—যা নিঃসন্দেহে তাঁর কাছে অপমানজনকই মনে হয়েছিল। কিন্তু এমন “বিশ্বনেতা-হতে-চাওয়া” কাউকে সহজে চেপে রাখা যায় না; বিনয়ী এই মন্ত্রণালয়ে অতি স্বল্পকালীন দায়িত্বে থাকলেও তিনি আলোচনায় ছিলেন—বিশেষ করে যখন বিষয়টির গায়ে ‘চীনা’ ছাপ স্পষ্ট।
সব ঝামেলার শুরু গত জুনে, যখন ফ্রিল্যান্ড হঠাৎ প্রশ্ন তোলেন—বিসি ফেরিস (যা জনস্বত্বে থাকলেও স্বাধীনভাবে পরিচালিত) কেন চীনের কাছ থেকে এই ক্রয় করল? অথচ গত এপ্রিলেই ফেরি কোম্পানিটি এই লেনদেন সম্পর্কে ফ্রিল্যান্ডের শীর্ষ সহযোগীদের আগেভাগে জানিয়েছিল।
অ্যালেক্স লো 



















