অধিকাংশ ছিলেন গরিব, পাঞ্জাব গিয়ে গুরু দর্শন সম্ভব ছিল না।
মাহায়ুত প্রেমদাস, ১৮৯০ সালে সংস্কারায়িত (১২৪০ শকাব্দ)। এর চেয়ে প্রাচীন যে ফলকটি ছিল তা সঙ্গতের কূপে পড়ে হারিয়ে গেছে। পরবর্তী মুঘল শাসকদের ধর্মসহিষ্ণুতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় সঙ্গত গড়ে উঠতে থাকে। ১৬৬৬ সালে গুরু তেগাবাহাদুর যখন ঢাকা ভ্রমণ করেন তখন সিলেট, চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ এবং লসকর (রায়ের বাজার) ও সঙ্গতটোলায় [ঢাকার সূত্রাপুর। সঙ্গত ছিল।
গুরু নানকের উত্তরাধিকারীদের কেউ পাঞ্জাব ছেড়ে যাননি। অন্যদিকে উত্তর ভারতে শিখরা ছড়িয়ে পড়ছিলেন। তারা গুরুর দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। অধিকাংশ ছিলেন গরিব, পাঞ্জাব গিয়ে গুরু দর্শন সম্ভব ছিল না। বিষয়টি এত নাজুক হয়ে উঠল যে, নবম গুরু তেগ বাহাদুর ঠিক করলেন ভক্তদের দর্শন দেবেন। গদির জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল অনেক। তাই তাঁর মনে হলো পাঞ্জাব থেকে কিছুদিন বাইরে কাটালে মন্দ হয় না।
১৬৬৫ সালে পাঞ্জাব ছেড়ে বেরুলেন। রাজপুত এক সেনাধ্যক্ষ যিনি খুব সম্ভব তখন পাটনায় ছিলেন, তিনি গুরুকে আমন্ত্রণ জানালেন আকুলভাবে একবার ঘুরে যেতে। সেই সেনাপতিকে নিয়ে গুরু পাটনা থেকে রওয়ানা হলেন ঢাকার পথে। ঢাকায় তিনি বেশিদিন থাকতে পারেননি। কারণ খবর পেলেন তার এক পুত্র জন্মেছেন। এই পুত্র পরবর্তীকালে ইতিহাসখ্যাত গোবিন্দ সিং।
(চলবে)