এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের এক ধনসম্পদশালী মন্দিরে, যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি রুপির দান অভিষেক হয়। ওই মন্দিরের কাউন্টিং ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের ক্লার্ক লুকিয়ে ধীরে ধীরে দান থেকে প্রাপ্ত অর্থ চুরি করে নিয়েছিলেন। বছর পেরিয়ে তিনি এত বেশি সম্পদ সঞ্চয় করেছিলেন যে, সরকারের নজর পড়ার আগ পর্যন্ত সবকিছু গোপনে ছিল।
কীভাবে শুরু হলো চুরি হুন্ডি ও দানালয় হিসাব
— দানপত্র ও আবদানের মাধ্যমে মন্দিরে ভাস্কর্য, গহনা, রূপা-সোনা ও নগদ অর্থ দান করা হতো।
— দান সংগ্রহ, গণনা ও রেকর্ড করার প্রক্রিয়া সাধারণত গোপন এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল।
ক্লার্কের অবাধ সুযোগ
— হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করার সুবাদে ক্লার্ক জানতেন কোন দান কখন, কত এসেছে।
— সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে অর্থ ও মূল্যবান জিনিস লোপাট করতে শুরু করেন গোপন অগ্নিপরীক্ষা।
— বড় অঙ্কের চুরি বহু বছর ধরে ধরা পড়েনি, কারণ ক্লার্ক তার চুরির সুরক্ষা দিতেন ছদ্মচরিত্র আর হিসাবের বিভ্রাট ঘটিয়ে।
— অবৈধ লেনদেন এবং বিকল্প হিসাবরক্ষণ নিশ্চিত করত যাতে সন্দেহ না হয়।
চুরির পরিসর ও ঘটনা
চুরি কেবল নগদ অর্থেই সীমাবদ্ধ ছিল না, অনেক মূল্যবান গহনা ও সোনার জ্যামিতিক মূর্তিও সরিয়ে নেন তিনি। মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে এসব সম্পদ সংগ্রহে সক্ষম হয়েছিলেন।
এক পর্যায়ে, সিস্টেমের ত্রুটি, নিরাপত্তার ফাঁক ও লোকসানের আশঙ্কায় ঘটনার আভাস মিলতে শুরু করে।
ধরা ও প্রকাশ
সন্দেহজনক কার্যকলাপ টের পেয়ে মন্দির পরিচালনা ও নিরাপত্তা বিভাগ তদারকি শুরু করে। তদন্তে দেখা যায়, ক্লার্ক বিপুল অঙ্কের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী গোপন করেছেন।
সর্বাধিক চাপে পড়ে তিনি অবশেষে পূর্বে সঞ্চিত সম্পত্তির কথা স্বীকার করেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে অভিযানের মাধ্যমে সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ক্লার্ককে গ্রেপ্তার করে।
গুরুত্ব ও প্রতিক্রিয়া
এই কাণ্ড সমাজে ধর্ম, আস্থা ও দান সংস্কৃতির দুর্বল দিক তুলে ধরেছে। প্রশ্ন উঠেছে — কীভাবে এত বড় চুরি এত দিন ধরা পড়েনি? মন্দিরে আরও কঠোর ও স্বচ্ছ হিসাব-নিরীক্ষা এবং নিরাপত্তা প্রক্রিয়া চালুর দাবি উঠেছে।
ধর্ম এবং আস্থাকে ব্যবহার করে অর্থ লোপাটের ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধে নজর দেওয়া হবে।