০২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা অ্যাশেজ ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া মাত্র এগারো দিনে, কথিত দুর্বল দলেই ইংল্যান্ডকে ধস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২৮)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • 90

ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন সৈনিকের কেউ একজন হয়তো সাতসকালে প্লেনে করে চলে যেতেন সোজা চুংকিং-এ

প্রফেসর করিম জোর দিয়ে বলেন যে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সুবাদে ঢাকা সত্যিকারের আন্তর্জাতিক শহরে পরিণত হয়েছিল। তাঁর স্পষ্ট মনে আছে যে ঢাকা হল ও ফজলুল হক হলের মাঝখানে একটি পুকুর ছিল; আর সেই পুকুরটির ছিল সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো সিঁড়ির ধাপ।

সিঁড়ির ধাপগুলোতে বসে প্রফেসর করিম ও তাঁর বন্ধুরা মার্কিন সৈনিকদের সঙ্গে কতো যে আড্ডা দিয়েছেন, বলবার নয়! অজান্তেই, তাঁদের এই আড্ডাগুলো আন্তর্জাতিক মেজাজের রূপ নিতই নিত। যেমন: সেসময়ে চীনের “কুমিংটন” (চাইনিজ ন্যাশনাল পার্টি) ও কমিউনিস্টদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছিল। দক্ষিণ চীনের মেগাসিটি চুংকিং-এ ছিল চীনের জাতীয়তাবাদি সরকারের প্রধান অফিস।

ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন সৈনিকের কেউ একজন হয়তো সাতসকালে প্লেনে করে চলে যেতেন সোজা চুংকিং-এ; সেখানে দিনভর যুদ্ধটুদ্ধ করে সেদিনই আবার ফিরে আসতেন ঢাকায়; সে-ই সন্ধ্যায় পুকুরের ধাপে- প্রফেসর করিম ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বসে চা খেতে খেতে যুদ্ধের কাহিনি শোনাতেন। বলতেন: “জানো, আজ সকালে প্লেনে করে চুংকিং-এ গিয়েছিলাম?”

“চুংকিং বিমানবন্দরে নামার পর কমিউনিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ফিসফিস করে মাও সে তুং এবং অন্যান্য কমিউনিস্টদের নাম ধরে ডাকাডাকি করেছি! সেসময়ে চুংকিং-এর সব কমিউনিস্টরা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিলেন। তাদের সদাই ভয় ছিল পাছে না তাদের গোপনীয়তা ফাঁস না হয়ে যায়; তাই তাদের মধ্যে প্রচলিত হুঁশিয়ারি ছিল যে- ‘যে মার্কিন সেনা কথা বলে না তার থেকে সাবধান।’

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২৮)

০৯:০০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন সৈনিকের কেউ একজন হয়তো সাতসকালে প্লেনে করে চলে যেতেন সোজা চুংকিং-এ

প্রফেসর করিম জোর দিয়ে বলেন যে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সুবাদে ঢাকা সত্যিকারের আন্তর্জাতিক শহরে পরিণত হয়েছিল। তাঁর স্পষ্ট মনে আছে যে ঢাকা হল ও ফজলুল হক হলের মাঝখানে একটি পুকুর ছিল; আর সেই পুকুরটির ছিল সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো সিঁড়ির ধাপ।

সিঁড়ির ধাপগুলোতে বসে প্রফেসর করিম ও তাঁর বন্ধুরা মার্কিন সৈনিকদের সঙ্গে কতো যে আড্ডা দিয়েছেন, বলবার নয়! অজান্তেই, তাঁদের এই আড্ডাগুলো আন্তর্জাতিক মেজাজের রূপ নিতই নিত। যেমন: সেসময়ে চীনের “কুমিংটন” (চাইনিজ ন্যাশনাল পার্টি) ও কমিউনিস্টদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছিল। দক্ষিণ চীনের মেগাসিটি চুংকিং-এ ছিল চীনের জাতীয়তাবাদি সরকারের প্রধান অফিস।

ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন সৈনিকের কেউ একজন হয়তো সাতসকালে প্লেনে করে চলে যেতেন সোজা চুংকিং-এ; সেখানে দিনভর যুদ্ধটুদ্ধ করে সেদিনই আবার ফিরে আসতেন ঢাকায়; সে-ই সন্ধ্যায় পুকুরের ধাপে- প্রফেসর করিম ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বসে চা খেতে খেতে যুদ্ধের কাহিনি শোনাতেন। বলতেন: “জানো, আজ সকালে প্লেনে করে চুংকিং-এ গিয়েছিলাম?”

“চুংকিং বিমানবন্দরে নামার পর কমিউনিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ফিসফিস করে মাও সে তুং এবং অন্যান্য কমিউনিস্টদের নাম ধরে ডাকাডাকি করেছি! সেসময়ে চুংকিং-এর সব কমিউনিস্টরা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিলেন। তাদের সদাই ভয় ছিল পাছে না তাদের গোপনীয়তা ফাঁস না হয়ে যায়; তাই তাদের মধ্যে প্রচলিত হুঁশিয়ারি ছিল যে- ‘যে মার্কিন সেনা কথা বলে না তার থেকে সাবধান।’

(চলবে)