০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
নাইজেল সিলভেস্টার ও জর্ডান ব্র্যান্ড: বেটার উইথ টাইম স্নিকারের যাত্রা লাইওনেল রিচির আত্মজীবনী ‘ট্রুলি’: জীবনের উত্থান-পতনের গল্প সিঙ্গাপুরের সিনেমা হলের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ঘটনা: জাতীয় বিনোদন কার্যকলাপ সংকটে আর্কটিক সাগরে নতুন ইতিহাস: ‘জিয়ালং’ সাবমারসিবলের যৌথ অভিযানে চীনের বৈজ্ঞানিক সাফল্য সমুদ্রপথে অর্থনীতির জোয়ার: ক্রুজ মৌসুমে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ডারউইন টোকিওর ডিপার্টমেন্ট স্টোর গ্লোবাল মার্কেটে প্রবেশ করতে চায় কাস্টম ডায়মন্ড দিয়ে সোনার দাম ৪ হাজার ডলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২৯) একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইউরোপ সফর: ইতালি ও সুইজারল্যান্ডে নতুন কূটনৈতিক গতি

আর্কটিক সাগরে নতুন ইতিহাস: ‘জিয়ালং’ সাবমারসিবলের যৌথ অভিযানে চীনের বৈজ্ঞানিক সাফল্য

বরফে ঢাকা আর্কটিক সাগরের গভীরে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে চীন। প্রথমবারের মতো দেশটির মানবচালিত সাবমারসিবল ‘জিয়ালং’ আর্কটিকের পানির নিচে পরিচালনা করেছে একটি রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল (ROV)-এর সঙ্গে যৌথ অভিযান—যা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম।

চীনের ১৫তম আর্কটিক বৈজ্ঞানিক অভিযানের অংশ হিসেবে এই সাফল্য অর্জিত হয়, জানিয়েছে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (CMG)। এর মাধ্যমে আর্কটিক বরফের নিচে দেশের প্রথম মানবচালিত গভীর ডাইভ সম্পন্ন করার পর চীনের গবেষণা কার্যক্রমে যোগ হলো নতুন মাইলফলক।

মানুষ ও মেশিনের গভীর সমন্বয়
‘জিয়ালং’-এর প্রধান পাইলট ফু ওয়েনতাও জানান, “এটি ছিল সাবমারসিবলের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক ধাপ। আগে এটি এককভাবে কাজ করত, কিন্তু এবার আমরা ROV-এর সঙ্গে একযোগে পরিচালনা করেছি। যোগাযোগ ও অবস্থান নির্ধারণে নানা প্রযুক্তিগত বাধা অতিক্রম করেই আমরা এই যৌথ অভিযানে সফল হয়েছি।”

১৪ আগস্ট প্রথম যৌথ ডাইভে পরীক্ষামূলকভাবে পানির নিচে যোগাযোগ ও অবস্থান নির্ভুলতা যাচাই করা হয়। ১৫ আগস্টের দ্বিতীয় ডাইভে শুরু হয় পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা—ROV ধারণ করে জিয়ালং-এর সমুদ্রতল থেকে জীববৈজ্ঞানিক ও তলানি নমুনা সংগ্রহের দৃশ্য। সাবমারসিবলটি পাথর ও মার্কারসহ বিভিন্ন উপকরণ হস্তান্তর করে ROV-কে, আর উভয় যান একে অপরের কার্যক্রমও ধারণ করে গভীর সমুদ্রে।

China finishes deep-sea tests on upgraded Jiaolong submersible | South China Morning Post

জাতীয় গভীর সমুদ্র কেন্দ্রের প্রকল্পপ্রধান লি দে-ওয়েই বলেন, “মানবচালিত সাবমারসিবল ও রোবটিক যান একত্রে কাজ করলে গবেষণার পরিধি বহুগুণ বাড়ে—এটি ভবিষ্যতের গভীর সমুদ্র অনুসন্ধানের দিক নির্দেশনা।”

এআই ও ডিএনএ-ভিত্তিক জীব শনাক্তকরণে নতুন অগ্রগতি
এই অভিযানে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও পরিবেশগত ডিএনএ নির্ভর যৌথ বিশ্লেষণ পদ্ধতি। এতে ১০,০০০টিরও বেশি গভীর সমুদ্র জীবের ছবি সংগ্রহ করে AI-চালিত শনাক্তকরণে সহায়তা করা হয়, আর ডিএনএ পরীক্ষায় যাচাই করা হয় ফলাফলের নির্ভুলতা।

চীনের চারটি গবেষণা জাহাজ—শুয়েলং ২, জিদি, শেনহাই ১ এবং তানসুও ৩—এর সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযান সেপ্টেম্বরের শেষে শেষ হয়। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, আর্কটিক অঞ্চলে তলদেশীয় জীবের ঘনত্ব, বৈচিত্র্য ও আকারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। এসব তথ্য ভবিষ্যতে মেরু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চীনের এই যৌথ গভীর-সমুদ্র অভিযান তাই শুধু প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়—এটি মানুষ ও মেশিনের মিলিত অনুসন্ধান, যেখানে কল্পনা রূপ নিচ্ছে বৈজ্ঞানিক বাস্তবতায়।

Meta Description: আর্কটিক সাগরের গভীরে প্রথমবারের মতো চীনের ‘জিয়ালং’ সাবমারসিবল ও রোবটিক যান ROV-এর যৌথ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

#চীনের_জিয়ালং_সাবমারসিবল #ChinaDeepSea #ArcticExpedition #ScienceAndTechnology #Sarakhon #ThePresentWorld #Research #Innovation #ROV #Exploration

জনপ্রিয় সংবাদ

নাইজেল সিলভেস্টার ও জর্ডান ব্র্যান্ড: বেটার উইথ টাইম স্নিকারের যাত্রা

আর্কটিক সাগরে নতুন ইতিহাস: ‘জিয়ালং’ সাবমারসিবলের যৌথ অভিযানে চীনের বৈজ্ঞানিক সাফল্য

১১:১৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

বরফে ঢাকা আর্কটিক সাগরের গভীরে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে চীন। প্রথমবারের মতো দেশটির মানবচালিত সাবমারসিবল ‘জিয়ালং’ আর্কটিকের পানির নিচে পরিচালনা করেছে একটি রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল (ROV)-এর সঙ্গে যৌথ অভিযান—যা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম।

চীনের ১৫তম আর্কটিক বৈজ্ঞানিক অভিযানের অংশ হিসেবে এই সাফল্য অর্জিত হয়, জানিয়েছে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (CMG)। এর মাধ্যমে আর্কটিক বরফের নিচে দেশের প্রথম মানবচালিত গভীর ডাইভ সম্পন্ন করার পর চীনের গবেষণা কার্যক্রমে যোগ হলো নতুন মাইলফলক।

মানুষ ও মেশিনের গভীর সমন্বয়
‘জিয়ালং’-এর প্রধান পাইলট ফু ওয়েনতাও জানান, “এটি ছিল সাবমারসিবলের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক ধাপ। আগে এটি এককভাবে কাজ করত, কিন্তু এবার আমরা ROV-এর সঙ্গে একযোগে পরিচালনা করেছি। যোগাযোগ ও অবস্থান নির্ধারণে নানা প্রযুক্তিগত বাধা অতিক্রম করেই আমরা এই যৌথ অভিযানে সফল হয়েছি।”

১৪ আগস্ট প্রথম যৌথ ডাইভে পরীক্ষামূলকভাবে পানির নিচে যোগাযোগ ও অবস্থান নির্ভুলতা যাচাই করা হয়। ১৫ আগস্টের দ্বিতীয় ডাইভে শুরু হয় পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা—ROV ধারণ করে জিয়ালং-এর সমুদ্রতল থেকে জীববৈজ্ঞানিক ও তলানি নমুনা সংগ্রহের দৃশ্য। সাবমারসিবলটি পাথর ও মার্কারসহ বিভিন্ন উপকরণ হস্তান্তর করে ROV-কে, আর উভয় যান একে অপরের কার্যক্রমও ধারণ করে গভীর সমুদ্রে।

China finishes deep-sea tests on upgraded Jiaolong submersible | South China Morning Post

জাতীয় গভীর সমুদ্র কেন্দ্রের প্রকল্পপ্রধান লি দে-ওয়েই বলেন, “মানবচালিত সাবমারসিবল ও রোবটিক যান একত্রে কাজ করলে গবেষণার পরিধি বহুগুণ বাড়ে—এটি ভবিষ্যতের গভীর সমুদ্র অনুসন্ধানের দিক নির্দেশনা।”

এআই ও ডিএনএ-ভিত্তিক জীব শনাক্তকরণে নতুন অগ্রগতি
এই অভিযানে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও পরিবেশগত ডিএনএ নির্ভর যৌথ বিশ্লেষণ পদ্ধতি। এতে ১০,০০০টিরও বেশি গভীর সমুদ্র জীবের ছবি সংগ্রহ করে AI-চালিত শনাক্তকরণে সহায়তা করা হয়, আর ডিএনএ পরীক্ষায় যাচাই করা হয় ফলাফলের নির্ভুলতা।

চীনের চারটি গবেষণা জাহাজ—শুয়েলং ২, জিদি, শেনহাই ১ এবং তানসুও ৩—এর সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযান সেপ্টেম্বরের শেষে শেষ হয়। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, আর্কটিক অঞ্চলে তলদেশীয় জীবের ঘনত্ব, বৈচিত্র্য ও আকারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। এসব তথ্য ভবিষ্যতে মেরু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চীনের এই যৌথ গভীর-সমুদ্র অভিযান তাই শুধু প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়—এটি মানুষ ও মেশিনের মিলিত অনুসন্ধান, যেখানে কল্পনা রূপ নিচ্ছে বৈজ্ঞানিক বাস্তবতায়।

Meta Description: আর্কটিক সাগরের গভীরে প্রথমবারের মতো চীনের ‘জিয়ালং’ সাবমারসিবল ও রোবটিক যান ROV-এর যৌথ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

#চীনের_জিয়ালং_সাবমারসিবল #ChinaDeepSea #ArcticExpedition #ScienceAndTechnology #Sarakhon #ThePresentWorld #Research #Innovation #ROV #Exploration