সংকেত ও বার্তা—কূটনীতির প্রাধান্য
তাইপে-তে বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-দে বলেন, বেইজিংকে শক্তি প্রয়োগ থেকে সরে আসতে রাজি করানো গেলে সেটি নোবেল-যোগ্য সাফল্য হবে। ৭ অক্টোবরের নিরাপত্তা পুনর্মূল্যায়নের মধ্যে তিনি “মর্যাদাসম্পন্ন শান্তি”র অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন, সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ গড়ার কথা বলেন। তাইপে সংলাপের প্রতি উন্মুক্ত, তবে প্রতিরক্ষা শক্তি—বিশেষত অসম প্রতিরক্ষা—বাড়াতে থাকবে যাতে আগ্রাসনের খরচ বেড়ে যায়। সেমিকন্ডাক্টর ও সাপ্লাই-চেইনে সমমনাদের সাথে বাস্তব সহযোগিতাকে তিনি অর্থনীতিভিত্তিক প্রতিরক্ষা হিসেবে তুলে ধরেন।
ওয়াশিংটন-বেইজিং বার্তা ও ঝুঁকি
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি জোরালো, আর চীন তাদের অবস্থান কড়া ভাষায় জানাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শিগগিরই হটলাইন, অস্ত্র সরবরাহ ও আকাশ-সমুদ্রে ঘনিষ্ঠ ‘এনকাউন্টার’ ঠেকানো বড় পরীক্ষা হবে। বাজারও নার্ভাস—তাইওয়ান ডলার ও টেক শেয়ার ওয়াশিংটন, টোকিও ও ইউরোপের সংকেতেই দুলছে, যেখানে নেতারা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার গাইডলাইন ঝালাই করছেন। তাইপের লক্ষ্য অপরিবর্তিত: স্থিতাবস্থা রক্ষা, গ্রে-জোন চাপে সমাজকে দৃঢ় করা, এবং মিত্রদেরকে প্রতিরোধ-সাথে-ডি-এস্ক্যালেশনের দ্বৈত পথে ধরে রাখা।