শোক, স্মরণ ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন
ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চলের আক্রমণস্থল ও স্মৃতিসৌধে সমাবেশ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার দুই বছর স্মরণ করল—যেখানে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে আটক করা হয়। এখনো ৪৮ জনকে গাজায় থাকায় ধারণা, তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত। এই বার্ষিকী চলার মধ্যেই মিসরে পরোক্ষ আলোচনায় পর্যায়ভিত্তিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় নিয়ে অগ্রগতির চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তা ব্যর্থতার দায় ও আলোচনার ধীরগতিতে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি জনঅসন্তোষ প্রবল। গাজা সীমান্তের সম্প্রদায়গুলোতে শোকাতুর পরিবারেরা সরকারি আয়োজন থেকে আলাদা অনুষ্ঠান করে—চলমান রাজনৈতিক বিভাজন আরও উন্মোচিত হয়।
মানবিক সংকট ও আন্তর্জাতিক চাপ
গাজার ধ্বংসস্তূপ এখনো কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দু। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসেবে ফিলিস্তিনি মৃত্যুহার ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে; প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত, দুর্ভিক্ষসদৃশ পরিস্থিতি ও সহায়তা প্রবেশে বাধা অব্যাহত। বিশ্বনেতারা উত্তেজনা প্রশমনে, দ্রুত মানবিক প্রবেশাধিকার ও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আর্জি তুলেছেন; কেউ কেউ জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য হামাসের ওপরও চাপ দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে কায়রোয় অগ্রগতি নির্ভর করবে ধাপ-সাজানোর ওপর—জিম্মি মুক্তি, যাচাইযোগ্য যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধোত্তর গাজা শাসনব্যবস্থার রূপরেখা। ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সীমান্তবর্তী উত্তেজনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওয়াশিংটন, কায়রো ও আম্মান থেকে আসা সংকেতই নির্ধারণ করবে পুনর্গঠন ও স্থায়ী বিরতির সম্ভাবনা।