মতপ্রকাশ বনাম জননিরাপত্তা
অক্টোবর ৭–এর বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত প্রো-প্যালেস্টাইন ছাত্রবিক্ষোভকে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার “অব্রিটিশ” ও “অসম্মানজনক” বলেন। মন্ত্রীরা যুক্তি দেন—এই দিনটি শোক ও স্মরণের, শোভাযাত্রার নয়। ম্যানচেস্টারের এক সিনাগগের কাছে সাম্প্রতিক প্রাণঘাতী হামলার পর শিক্ষা সচিব ব্রিজিট ফিলিপসন সংযমের আহ্বান জানান; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ ধারাবাহিক, প্রভাবশালী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। ইস্যুটি মতপ্রকাশ ও নিরাপত্তার সংঘাতে গাঢ় হচ্ছে—ইহুদি সম্প্রদায় বিক্ষোভ ঘিরে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়েছে বলে সতর্ক করছে, আর নাগরিক অধিকারকর্মীরা বলছেন, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ বৈধ প্রতিবাদেই শীতলতা আনতে পারে। পুলিশ জানায়, উত্তেজনা না বাড়িয়ে ঘটনাভিত্তিক শর্ত আরোপই তাদের লক্ষ্য।
রাজনীতি, পুলিশিং ও বিশ্ববিদ্যালয়
মাসের পর মাস সড়কবিক্ষোভের পর ‘শৃঙ্খলা’ দেখানোর চাপেই স্টার্মারের কড়া বক্তব্য এসেছে বলে বিশ্লেষকদের মত। সমালোচকদের দাবি—‘অব্রিটিশ’ বলায় তরুণ ভোটারদের প্রতিবাদই অবৈধ প্রমাণিত হবে; সমর্থকদের জবাব—সময় ও স্লোগানের প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ, যখন একটি সম্প্রদায় নিজেকে নিশানায় মনে করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হয়রানি-বিরোধী নীতিমালা কঠোরভাবে মানাতে বলা হচ্ছে, তবে একাডেমিক স্বাধীনতাও রক্ষা করতে হবে। প্রস্তাবিত জনশৃঙ্খলা আইন কড়াকড়ি কার্যকর হলে মূল পরীক্ষা হবে আনুপাতিকতা—ঝুঁকি নিরসনে সীমা কতটা প্রয়োজনীয় ও মতপ্রকাশ ব্যাহত করছে না। স্বল্পমেয়াদে আরও ক্যাম্পাস উত্তেজনা হতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ চলছে এবং যুক্তরাজ্য অস্ত্র রপ্তানি, মানবিক সহায়তা ও কমিউনিটি নিরাপত্তা—সবই নতুন করে পর্যালোচনা করছে।