রেলওয়ে, অটোমোবাইল, ধাতু, কয়লা, হীরা ও সিমেন্ট—বিভিন্ন খাতে রাশিয়ার শীর্ষ কোম্পানিগুলো কর্মীদের ফার্লোতে পাঠাচ্ছে বা সাপ্তাহিক কর্মদিবস কমাচ্ছে। লক্ষ্য হলো বড় আকারে ছাঁটাই না করে বেতন ব্যয় কমানো। দেশীয় চাহিদা কমে যাওয়া, নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানি সংকোচন, উচ্চ সুদের হার ও শক্তিশালী রুবলের চাপে যুদ্ধ–অর্থনীতির গতি থমকে গেছে।
রাশিয়ান রেলওয়েস আয় হ্রাসের মুখে অতিরিক্ত বেতনের ছুটি নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মীদের। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একাংশ চার–দিনের কর্মসপ্তাহে গেছে; ট্রাক ও ভ্যান উৎপাদনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। খনিশিল্পে কোয়াল সেক্টর বিশেষভাবে সংকটে—কয়েকটি খনি বন্ধ, উৎপাদন স্থগিত ও বেতন কমার অভিযোগ বাড়ছে। কাঠ–কাগজ ও সিমেন্টেও কারখানা বন্ধ ও উৎপাদন কমানোর ধারা দেখা যাচ্ছে।
ম্যাক্রো ইঙ্গিত
সামরিক খাতের বাইরে অর্থনীতির অংশ উল্লেখযোগ্যভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে বলে দেশীয় বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো জানাচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যানে বকেয়া বেতন বেড়েছে; বহু শিল্পশহর একক নিয়োগকর্তার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় আঞ্চলিক আয়ে চাপ পড়ছে। প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কায় সরকার পরিবহন ছাড়, কর অবকাশ ও লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা দিচ্ছে—তবু উচ্চ সুদের হার ও দুর্বল চাহিদা পুনরুদ্ধারকে ধীর করছে।
সরকার বড় নিয়োগকর্তাদের বেলআউট, রেলভাড়া ছাড় ও ট্যাক্স–ডিফারালের মতো সহায়তা বাড়াতে পারে। তবে রপ্তানি বাজার পুনরুদ্ধার, চাহিদা জাগানো ও পুঁজির খরচ কমানো ছাড়া শিল্পে স্থিতি ফিরবে না। দীর্ঘমেয়াদে ধাতু, কয়লা ও অটো সেক্টরে উৎপাদন সমন্বয় ও কর্মসংস্থানে কাঠামোগত পরিবর্তনের ঝুঁকি রয়ে গেছে।