০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
গাজা-পরবর্তী ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য নেতা কারা? পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০৮) নরকের শ্বাপদ ও অতিপ্রাকৃত কুকুর: ব্রিটেনের লোককথায় ভৌতিক কুকুরদের গল্প করপোরেট ছাঁটাই ও ব্যয়ের কড়াকড়ির মাঝেও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ বেড়েছে ৭৭ শতাংশ টিম্বার র‍্যাটলস্নেক: উত্তর আমেরিকার বনে এক ঝনঝনানো সতর্কতার প্রতীক কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রশ্ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৬) মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ, হিজলায় যৌথ অভিযানে ২৭ আটক দক্ষ ব্যবস্থাপকরা জানেন কোথায় কাকে বসাতে হয় — কর্মীদের সঠিক ভূমিকা নির্ধারণই সাফল্যের মূল রহস্য কয়রায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ নারী আটক—সুন্দরবন ঘিরে চোরাশিকার রুট খতিয়ে দেখছে পুলিশ

পাকিস্তানের তারবেলা বাঁধে পলিমাটি সংকট: ‘ফ্লাশিং’ পরিকল্পনা আটকে গেল কার স্বার্থে?

দেশের সবচেয়ে বড় জলাধার তারবেলা বাঁধে দীর্ঘদিনের পলিমাটি জমে পানি ধারণক্ষমতা দ্রুত কমছে—এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবিত ‘ফ্লাশিং’ বা নিয়ন্ত্রিত পানি ছেড়ে তলানির মাটি বের করার পরিকল্পনা প্রাদেশিক আপত্তিতে থমকে গেছে। জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে এর প্রভাব নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে।

কেন আটকাল পরিকল্পনা

প্রাদেশিক পানি-বণ্টন হিসাব, সেচ মৌসুমের সময়সূচি ও সম্ভাব্য বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আপত্তি তোলে। ফলে ফ্লাশিং-এর খসড়া কর্মসূচি অনুমোদন পায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেরি বাড়লে পলিমাটি আরও শক্ত হয়ে যাবে, পরে ব্যয় ও ঝুঁকি উভয়ই বাড়বে।

কী ঝুঁকি, কী বিকল্প

পানি ধারণক্ষমতা কমলে খরা মৌসুমে সেচ—আর বর্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ—দু’দিকেই বাধা তৈরি হবে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও কমতে পারে। বিকল্প হিসেবে ধাপে ধাপে ফ্লাশিং, শুষ্ক সময়ে ‘ড্রডাউন’ কৌশল ও নিকট-মেয়াদি ড্রেজিংয়ের সমন্বিত রোডম্যাপ প্রস্তাব করেছেন বিশেষজ্ঞরা, যাতে কৃষি, বিদ্যুৎ ও পরিবেশ—তিন দিকের ভারসাম্য রাখা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজা-পরবর্তী ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য নেতা কারা?

পাকিস্তানের তারবেলা বাঁধে পলিমাটি সংকট: ‘ফ্লাশিং’ পরিকল্পনা আটকে গেল কার স্বার্থে?

০৬:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

দেশের সবচেয়ে বড় জলাধার তারবেলা বাঁধে দীর্ঘদিনের পলিমাটি জমে পানি ধারণক্ষমতা দ্রুত কমছে—এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবিত ‘ফ্লাশিং’ বা নিয়ন্ত্রিত পানি ছেড়ে তলানির মাটি বের করার পরিকল্পনা প্রাদেশিক আপত্তিতে থমকে গেছে। জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে এর প্রভাব নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে।

কেন আটকাল পরিকল্পনা

প্রাদেশিক পানি-বণ্টন হিসাব, সেচ মৌসুমের সময়সূচি ও সম্ভাব্য বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আপত্তি তোলে। ফলে ফ্লাশিং-এর খসড়া কর্মসূচি অনুমোদন পায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেরি বাড়লে পলিমাটি আরও শক্ত হয়ে যাবে, পরে ব্যয় ও ঝুঁকি উভয়ই বাড়বে।

কী ঝুঁকি, কী বিকল্প

পানি ধারণক্ষমতা কমলে খরা মৌসুমে সেচ—আর বর্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ—দু’দিকেই বাধা তৈরি হবে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও কমতে পারে। বিকল্প হিসেবে ধাপে ধাপে ফ্লাশিং, শুষ্ক সময়ে ‘ড্রডাউন’ কৌশল ও নিকট-মেয়াদি ড্রেজিংয়ের সমন্বিত রোডম্যাপ প্রস্তাব করেছেন বিশেষজ্ঞরা, যাতে কৃষি, বিদ্যুৎ ও পরিবেশ—তিন দিকের ভারসাম্য রাখা যায়।