গণতান্ত্রিক রূপান্তরে এনসিপির সহযোগিতায় আশাবাদ সিইসির
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আশা প্রকাশ করেছেন যে, ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও ন্যাশনালিস্ট সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
রবিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক বন্ধ দরজা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এনসিপি নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের আইনি সীমাবদ্ধতা ভালোভাবেই বোঝে।
‘শাপলা’ প্রতীক অনুমোদিত তালিকায় নেই
সিইসি ব্যাখ্যা করে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন নিবন্ধন পায়, তখন তাকে কমিশনের অনুমোদিত প্রতীক তালিকা থেকে বেছে নিতে হয়। যেহেতু ‘শাপলা’ প্রতীকটি অনুমোদিত তালিকায় নেই, তাই কমিশন সেটি বরাদ্দ দিতে পারেনি।
“এখন পর্যন্ত আমরা অনুমোদিত তালিকার বাইরে কোনো প্রতীক কোনো দলকে দিইনি,” বলেন নাসির উদ্দিন।
এনসিপির সহযোগিতার প্রতি আস্থা
বিতর্ক সত্ত্বেও এনসিপির সহযোগিতার বিষয়ে তিনি আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেন।
“এনসিপির নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা ২০২৪ সালের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন না,” বলেন সিইসি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাই বড় চ্যালেঞ্জ
নাসির উদ্দিন বলেন, আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের পরবর্তী সময়—এই তিন পর্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি
সিইসি বলেন, “আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কোনো গোপন ভোট হবে না, রাতের অন্ধকারে ব্যালট দেওয়া হবে না।”
ভুয়া তথ্য প্রচারে গণমাধ্যমকে সতর্কবার্তা
নির্বাচনকালীন সময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
“বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো নির্বাচনী সংবাদ প্রকাশ বা সম্প্রচার করা উচিত নয়। ভুয়া তথ্য অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে,” সতর্ক করেন সিইসি।
প্রশাসন ও বাহিনীর অংশগ্রহণ
চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ, র্যাব ও সেনাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#নির্বাচন২০২৫ #সিইসি #এনসিপি #শাপলাপ্রতীক #গণতান্ত্রিকপ্রক্রিয়া #বাংলাদেশনির্বাচন #চট্টগ্রাম