০৫:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪) পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা

অভিযোগ ‘মিথ্যা’, সাবেক সহকারীর বিরুদ্ধে বাস্টা রাইমসের পাল্টা মামলা

মামলার অবস্থান ও পরবর্তী ধাপ

র‌্যাপার বাস্টা রাইমস নিজেকেই অভিযুক্ত করে দায়ের করা মামলার জবাবে সাবেক সহকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছেন। নতুন আবেদনে তিনি অভিযোগগুলো “মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত” বলে অস্বীকার করেছেন এবং মানহানি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি নিষেধাজ্ঞাও চান যাতে ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য না দেওয়া হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা তীব্র বিবৃতি বিনিময় করেছেন, ফলে মামলাটি আরও প্রকাশ্য হয়েছে।

পাল্টা মামলায় কৌশল বদলায়—রক্ষণের জায়গা থেকে আক্রমণে যাওয়া। মানহানি আইন সেলিব্রিটিদের হাতে একধরনের ঢাল, তবে ঝুঁকিও আছে; সত্য প্রমাণ হলে অভিযোগ টেকে না, আর ডিসকভারি পর্যায়ে বার্তা, নথি বা ভিডিও আদালতে উন্মুক্ত হতে পারে। সহকারীর আগের মামলায় কর্মপরিবেশ ও একটি নির্দিষ্ট ঘটনার বর্ণনা ছিল; শিল্পীর নতুন ফাইলিং ওই বিবরণকে চ্যালেঞ্জ করে ও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ যোগ করে। চাকরি শেষের পর অ-মানহানিকর ধারা বা অন্য শর্ত কতটা প্রযোজ্য—সেটি আদালতই বিবেচনা করবে।

জনসংযোগে দুটি শ্রোতা: ভক্ত ও বিচারক। ভক্তদের জন্য বার্তা হলো চরিত্র ও দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ধারাবাহিকতা; আদালতের জন্য বার্তা—প্রমাণ ও পদ্ধতি। শিল্পীর পক্ষ নতুন কাজ ও ট্যুরের উল্লেখ করছে, অন্যদিকে অভিযোগকারী বলছেন, নিজের নিরাপত্তা ও জবাবদিহির স্বার্থে তিনি কথা বলেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেলিব্রিটি মামলার অনেকই বিচার শুরুর আগেই মীমাংসায় যায়—দীর্ঘ ডিসকভারি ও ইমেজ ক্ষয় ঠেকাতে। তবে এটি বিচার পর্যন্ত গেলে জবানবন্দি, টেক্সট আর্কাইভ ও তৃতীয় পক্ষের সাক্ষ্যই বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণ করবে।

বিনোদন শিল্পে ঘটনাটি বড় আলোচনার অংশ। শিল্পী ও টিমের কাজের পরিবেশ নিয়ে নীতিমালা আপডেট হচ্ছে—পার্সোনাল স্টাফের প্রশিক্ষণ, নজরদারি ও অভিযোগ প্রক্রিয়া শক্ত করা হচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলোও ঝুঁকি দেখছে; চলতি মামলা প্রিমিয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। অনলাইনে গুজব দ্রুত ছড়ায়, অথচ আদালতের প্রক্রিয়া ধীর—অতএব চূড়ান্ত সত্য হয় শপথকৃত সাক্ষ্যে বা মীমাংসায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪)

অভিযোগ ‘মিথ্যা’, সাবেক সহকারীর বিরুদ্ধে বাস্টা রাইমসের পাল্টা মামলা

০৩:২১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মামলার অবস্থান ও পরবর্তী ধাপ

র‌্যাপার বাস্টা রাইমস নিজেকেই অভিযুক্ত করে দায়ের করা মামলার জবাবে সাবেক সহকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছেন। নতুন আবেদনে তিনি অভিযোগগুলো “মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত” বলে অস্বীকার করেছেন এবং মানহানি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি নিষেধাজ্ঞাও চান যাতে ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য না দেওয়া হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা তীব্র বিবৃতি বিনিময় করেছেন, ফলে মামলাটি আরও প্রকাশ্য হয়েছে।

পাল্টা মামলায় কৌশল বদলায়—রক্ষণের জায়গা থেকে আক্রমণে যাওয়া। মানহানি আইন সেলিব্রিটিদের হাতে একধরনের ঢাল, তবে ঝুঁকিও আছে; সত্য প্রমাণ হলে অভিযোগ টেকে না, আর ডিসকভারি পর্যায়ে বার্তা, নথি বা ভিডিও আদালতে উন্মুক্ত হতে পারে। সহকারীর আগের মামলায় কর্মপরিবেশ ও একটি নির্দিষ্ট ঘটনার বর্ণনা ছিল; শিল্পীর নতুন ফাইলিং ওই বিবরণকে চ্যালেঞ্জ করে ও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ যোগ করে। চাকরি শেষের পর অ-মানহানিকর ধারা বা অন্য শর্ত কতটা প্রযোজ্য—সেটি আদালতই বিবেচনা করবে।

জনসংযোগে দুটি শ্রোতা: ভক্ত ও বিচারক। ভক্তদের জন্য বার্তা হলো চরিত্র ও দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ধারাবাহিকতা; আদালতের জন্য বার্তা—প্রমাণ ও পদ্ধতি। শিল্পীর পক্ষ নতুন কাজ ও ট্যুরের উল্লেখ করছে, অন্যদিকে অভিযোগকারী বলছেন, নিজের নিরাপত্তা ও জবাবদিহির স্বার্থে তিনি কথা বলেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেলিব্রিটি মামলার অনেকই বিচার শুরুর আগেই মীমাংসায় যায়—দীর্ঘ ডিসকভারি ও ইমেজ ক্ষয় ঠেকাতে। তবে এটি বিচার পর্যন্ত গেলে জবানবন্দি, টেক্সট আর্কাইভ ও তৃতীয় পক্ষের সাক্ষ্যই বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণ করবে।

বিনোদন শিল্পে ঘটনাটি বড় আলোচনার অংশ। শিল্পী ও টিমের কাজের পরিবেশ নিয়ে নীতিমালা আপডেট হচ্ছে—পার্সোনাল স্টাফের প্রশিক্ষণ, নজরদারি ও অভিযোগ প্রক্রিয়া শক্ত করা হচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলোও ঝুঁকি দেখছে; চলতি মামলা প্রিমিয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। অনলাইনে গুজব দ্রুত ছড়ায়, অথচ আদালতের প্রক্রিয়া ধীর—অতএব চূড়ান্ত সত্য হয় শপথকৃত সাক্ষ্যে বা মীমাংসায়।